গুরু না ধরিলে বন্ধু, ঈশ্বরের কথা যায় না বোঝা
তিনি মোদের শুনলে পরেও, তাঁর কথা যায়না শোনা।
মাতা গুরু, পিতা গুরু, শিক্ষা গুরু, দীক্ষা গুরু,
যত বিষয় তত গুরু, অনেক ধাপের অনেক গুরু।
ধাপে ধাপে গুরু গ্রহণ, ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া
এমন চলায় আসবে কেন গুরু ত্যাগের পাপের কথা।
পাপপুণ্য ভাই জীবন নিয়ে, এগিয়ে চলাই ধর্ম
ক্রমে ক্রমে উন্নত হওয়া, এইতো পুণ্য কর্ম।
ঈশ্বরেরই তিনটি ধারা- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর
এই তিন-ধারা প্রবহমান গুরুর মাঝে নিরন্তর।
গুরুর কথা শুনলে পরে, ঈশ্বরের কথা শোনা হয়
গুরু-সেবা করলে পরে, তাঁকেই সেবা দেওয়া হয়।
গুরুর কাছেই পাওয়া যায়, তাঁকে পাওয়ার সাধনা
তাঁর কাছেই পাওয়া যায়, বাঁচা-বাড়ার লোয়াজিমা।
যা কিছু মোরা শিখি দেখো, তার পিছনে আছে গুরু
গুরু ছাড়া সাধন পূজন, নষ্ট সময়, ব্যর্থ জীবন।
গুরুর ধর্ম পরিপূরণ, সদগুরু করেন সবার পূরণ
অস্তি-বৃদ্ধির সব সমস্যার তাঁতেই থাকে নিরাকরণ।
সদগুরু তাই কীল-কেন্দ্র, তাঁকে কেন্দ্র করে চলতে হয়
সকল বাধা-ব্যাধি দূর করে, জীবন চলা সহজ হয়।