করোনার দাপটে কেমন!
সকলে হয়েছে সংযত
যত্র-তত্র থু-থু ফেলা  
সকলকে করেছে বিরত।


মানুষ বুঝেছে ডিস্টেনসিং
কত যে স্বাস্থ্যকর
মুখ ঢেকে কথা, হাঁচি, কাশি
কতটা রুচিকর।


নানা রঙের ফল-সবজী
বাড়ায় দেহের ইমিউনিটি
নানা প্রকার মসলা-খাবার
বাড়ায় স্বাস্থ্যের পরিপাটী।


করোনা যেন বলছে সবায় -
তামাক আর খেওনা,
নিপাট রাখ দেহের গড়ন
সহজ কর চলনা।


ছাত্র-ছাত্রী শিখেছিল কেবল
সঙ্গীত, খেলা আর পড়াশুনা
করোনা যেন শিখিয়ে দিল
কাপড়-কাচা, রান্নাকরা।


পরের উপর নির্ভর করা
কেমন যে অভ্যাস
নিজের কাজ নিজে করা
রাখে স্বাস্থ্যকে নিপাট।


সময় অপচয় না ক’রে আজ
ক’রে আত্ম সমীক্ষার সাধন
অভাব মেটাতে সু-চিন্তিত হয়ে
কৌশল বিকাশের প্রয়োজন।


কাহাকেও না ক’রে হেলা,
কা’কে কোথায় প্রয়োজন
কৃষি-শিল্পের বিকাশ ঘটাতে
নিয়োগ করা প্রয়োজন।


প্রয়োজন মেটাতে, দূষণ রুধিতে
না করা কিছুরই অপচয়
অনুসন্ধানী মন নিয়ে চলা
রক্ষা করিতে পরিবেশ।


‘সকলের তরে সকলে আ্মরা’
বুঝেছে সকলে আজ
সকল বিরোধ দূর করে
বিলায় আর্তেরে ত্রাণ।


‘জীবন সঙ্কট’ করেছে আপন
দূর ও কাছের মানুষে
‘বাঁচা ও বাড়া’ চলার নীতি হলে
সকল অভাব দূর হবে।


'বাঁচা-বাড়ার নীতি' মূর্ত যেথায়
সঞ্চারিত হয় তার প্রেরণা
ভেদাভেদ যেথায় ম্লান হয়ে যায়
জাগে 'অন্যকে বাঁচিয়ে নিজে বাঁচা'।


এই চেতনা রাখতে চেতন
নিত্য অন্তর প্রদীপে
ভালোবাসা দিয়ে বাঁধতে হবে
সেই মূর্ত আদর্শে।


কেবল কোরনা নয়,
নয়কো কোরনা উদ্ভুত পরিস্থিতি
সকল বাধা দূর ক'রে
অবাধ হবে জীবন-গতি।