"বাংলাভাষার গৌরব"
(৭+৭ মাত্রা বৃত্ত ছন্দ)


লেখকঃ প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
সংশোধিতঃ ০৮/১২/২০২০ ইং।


বদনখানি  ভরা - মায়ের ভাষা বুলি,
জননীর জঠর - থেকে বেরিয়ে এলি।
কালক্রমে বাংলা - জবানের উর্মি,
বাংলাব্যাপী ঘুরে -  প্রচন্ড ঘুর্ণি,
রবিকরের মতো - ত্যাজদীপ্ত ভাষা,
নীলিমায় পেখম - মেলে পূরলো আশা।
বাঙালির ভাষা - বাংলা রক্তে রয়,
সৃষ্টি কাল থেকে - তা গৌরবময়।


কন্ঠে শকুনের - অতি কালোথাবা,
ম্রিয়মাণে ব্যর্থ -  জ্যোস্নাসম আভা।
সৃষ্টির লগ্নে - ব্রাহ্ম মতিগতি,  
ছেদিয়া বের হলো - এভাষার দীপ্তি।
এভাষার তীব্র - বিদ্যুতের গতি,
সেযুগে ডালপালা -  মেলে চর্যাগীতি।
স্বমহিমায় গিরি - ডিঙিয়ে বাধার,
অব্যাহত রাখে - গৌরব তাহার।


আবার মুসলিম - শাসনপালা এলো,
রাষ্ট্রীয় ঝড় - তখন থেমে গেলো।
ঐশ্বরিক পুথি- লোকভাষায় পাপ,
রক্ষণ শীলরা - বলে বাপরেবাপ।
তবুও প্রাগ্রসর - সাহিত্যিক গণ,
করলেন সবুজ - বিপ্লব সাধন।
আলাওল সগির - (কাশিরাম) দাস কীর্তিবাস,
বাংলার গর্ব - রাখলো অবিনাস।


পাকিস্তানীদের - অশুভ কালোহাত,
উপড়ে ফেলেদেয় - বাংলাবলা দাঁত।
জননীর ভাষায় - মুখে বাংলাবুলি,
আওড়াতে থাকলে - চালতে থাকে গুলি।
কঠিন আইনের - সকল ধারা ভেঙে,
উড়লো বিজয়ের - কেতন বাধা ডেঙে।
সালাম বরকত - রফিক জব্বার,
গৌরবগাথা লিখে - রক্তে এভাষার।


জাতির জনকের - বাংলায় ভাষণ,
জাতিসংঘে তিনি - দিয়েছেন যখন।
এভাষার দীপ্তি - ছড়ে বিশ্বব্যাপী,
শাখা প্রশাখা মেলে - ছড়িয়ে পড়ে জ্যোতি।
বিশদশে জাতির - সংঘে মানা হয়,
একুশে ফেব্রুয়ারি - বিশ্ব মর্যাদায়।
সব দেশে পালন - হচ্ছে জাগরণ,
উড়ছে বংলার - বিজয়ের কেতন।


উল্লেখ্য যে "বাংলাভাষার গৌরব" আট পঙক্তি স্তবক বিশিষ্ট অক্টেট  কবিতা টি ৭+৭ মাত্রা বৃত্ত ছন্দে রচিত হলো।