"সমস্যার এবরশন"


রচনায়ঃ প্রফেসর ড. মোস্তফা দুলাল
পিএইচ.ডি. (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
রচনাকালঃ ০৩/১২/২০২০


জলন্ত বাতির নিচের আঁধার,
অরুনোদয়ে সেটা হয় পরিস্কার।


সূর্যমামা আড়ালে আবডালে  যায়,
কালো তমসায় তখন ঢেকে যায়।


নীল নীলিমার নীল রঙ ভেলায়,
চাঁদ মামা ভাসে গগন গংগায়।


শ্বেত জোছনা সর্ব অঙ্গে  মাখায়,
তমসার চাদরটা হারিয়ে যায়।


মায়ের কুহেলিকা ভরা মুখখানি,
প্রজ্জ্বলিত হয় হাসির  ঝলকানি।


ভানুর অপরূপ প্রভার ছটায়।
নিশা ভেঙ্গে দিবাগমন ঘটায়।


আঁধারে অঙ্কুরিত কদাচার রূপ,
দেখেনাতো কভু দিবাকরের মুখ।


গ্রীষ্ম রবির দহনের জ্বালায়,
ঝলসানো জননী রয়ে যন্ত্রনায়।


খালবিল হাওড়-বাওড় তটিনী,
তৃষ্ণায় ফাটে তৃষ্ণাত্ব বক্ষখানি।


তৃষ্ণা মোচনে এসেছে  সন্তর্পণে,
ভ্রমরকালো গুরু গম্ভীর বদনে।


অঝোরে ঝরে বরষার বরিষণ,
মাজননীর পিপাসা করে মোচন।


রসের রসে টৈটুম্বুর তনুমন,
অধরায় শ্যামল ভরা শিহরণ।


শীতের শীতে শীতার্ত তনুমন,
কুহেলিকার চাদরে মোড়া জীবন।


স্থবিরতার কৌটা বন্দী জননী,
সুরভিত ঋতুরাজ আসে তখনি।


শীতার্ত কৌটাটির তোড়ে আনন,
কুসুমে কুসুমিত সুরভি কানন।


নয় ভয় সমস্যার জটিলতায়,
ধৈর্য ধরে মেধা মগজ খাটায়।


সদা সমস্যার গহীন গহবরে,
যেতে হবে দৃঢ় দৃপ্ত পদভারে।


সমস্যার গর্ভের নিষিক্ত বীজ,
এবরশনের দ্বারা তুলে ফেলিস।


রোধিবে কুজাতের অব্যাহত গতি,
দেশদশ সুখে থাকবে নিরবধি।


উল্লেখ্য যে কবিতাটি  অক্ষর বৃত্ত মাত্রায় রচিত হলো।