ভগীরথেরর কঠোর সাধনায় রাজি হলেন
গঙ্গামাতা নামিতে ধরায়,
তুষ্ট হলেন দেবাদিদেব তপস্যায়,
গঙ্গার বেগ ধারন করতে মাথার জটায়।
ভগীরথ গঙ্গার পবিত্র বারি আনলেন
কপিল মুনির আশ্রমে,
সগর রাজার নাতিপুতি উদ্ধার হয়ে
চলে গেলেন গোলকধামে।
ঈশ্বরচন্দ্র বাংলা সাহিত্যে ও
সমাজ সংস্কারে করলেন কঠোর সাধনা,
বাংলা সাহিত্যে নারী শিক্ষা ও বিধবাবিবাহ
প্রচলনে বাধা থাকল না।
সাহিত্য সাধনায় অগাধ পাণ্ডিত্যপনায়
ঈশ্বর হলেন বিদ্যাসাগর,
কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হলেন,
পদটি ছিল বেশ ডাগর।
বাংলা গদ্যের পতিতদশা উদ্ধারিতে
লেখলেন বধোদয় ব্যাকরণ কৌমদী ,
শিশুদের সহজ পাঠ ' বর্ন পরিচয় '
বড়দের শকুন্তলা, ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।
তিনি আনন্দ পেতেন বড় অসহায়ের
সহায় হতে,এবং পীড়িতের সেবায়,
ভিক্ষারীকে কম্বল দান করতেন,মধুসূদন
ফিরে এলেন বঙ্গে তাঁর অশেষ দয়ায়।
বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন, নারীর দুঃখ
মোচনে বিধবা বিবাহ প্রচলন,
ভগীরথ তুল্য পুন্য অর্জন করলেন
তিনি এ মর্ত্য ভুবন।


                                    ১৬/০৮/২০১৭