‘কীর্তি যস্য সজীবতি’ বলে বিজ্ঞাজনে,
এর প্রতিফলন ঘটেছে ক’জনার জীবনে?
খায় দায় নেচে বেড়ায় জীবন কাটায় আনন্দে
জীবন গড়তে খাটতে হবে সকাল হতে সন্ধ্যে।
মান আছে হুশ আছে আমরা হলাম মানুষ,
খায় দায় নেচে বেড়ায় ক’জনের আছে হুশ?
দুর্বলতা অবহেলা জীবন গড়ার বাধা ঘটায়,
বসে ঘুমিয়ে রইলে খাদ্য তোমায় কে যোগায়?
উদ্যম নিয়ে কর্ম করো মনে মনে নয়,
পশুরাজ কেও নিজের খাদ্য যোগাড় করতে হয়।
সময় মতো কর্ম করো অসময়ে নয়
সময় চলে গেলে কে ফেরাবে তায়?
কুকর্মে কুফল সুকর্মে সুফল বলে বিজ্ঞজনে
গুরু কৃপাবিনা সাফল্য আসে না জীবনে।
গুরু ভজো গুরুচিন্তা গুরুকৃপা করো সার
গুরু কৃপা না পেলে জীবন হবে অন্ধকার।


কঠোর সাধনায় দিন কাটালেন মহম্মদ মহাবীর বুদ্ধ,
তাঁদের বানী স্মরন করলে জীবন হবে শুদ্ধ।
আধ্যত্মিক চিন্তায় মগ্ন ছিলেন রামকৃষ্ণ শ্রীচৈতন্য,
তাঁদের অমৃতকথা শুনলে জীবনে পাবো মহানন্দ।
লোকনাথ বাবার কথা এখন তোমরা ধরো না,
হিমালয় পব্বর্ত চূড়ায় করলেন কী কৃচ্ছ্র সাধনা।
ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের বানী হলো সুধাতে ভরা,
তাঁর বানী নিলে দূর হবে দুঃখ ব্যাধি জরা।
ঈশ্বর চন্দ্র সারা জীবন করলেন কঠোর সাধনা,
বিদ্যাসাগরকে বিশ্ববাসী কোন দিনই জানতেন না!
বাল্য কালে দুখো মিঞা দোকানে বেচতেন টী,
বিনা সাধনে বিদ্রোহী কবি হতে পারতেন কী?
নিউটন জগদীশ বসু করলেন কঠিন সাধনা,
গতিতত্ত্ব উদ্ভিদতত্ত্ব আমরা কেউ জানতাম না।
চিকাগো ধর্ম মহাসম্মেলনে কত দুঃখ যন্ত্রনায়,
স্বামীজী বিশ্ব জয় করে এলেন গুরুর কৃপায়।
দেশে ফিরে করলেন স্থাপন রামকৃষ্ণ মিশন,
চলছে আর্তের সেবন আর মানুষ গড়ার প্রশিক্ষন।
বিশ্বজুড়ে চলছে বিবেকানন্দের বানী,
চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন ভারত খ্যাত দানী।


গুরুপদে ভক্তিনিষ্ঠা কর্মে কঠোর সাধনা,
এ ছাড়া কৃতকর্মে সিদ্ধিলাভ ঘটে না।


                ০১/১১/২০১৭


:ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ সমাপ্ত :ঃঃঃঃঃঃঃ