কলি যুগে সারা বিশ্ব জুড়ে দেখা দিলো
'মৎস্যের নায় রাজত্ব, এ মর্ত ভূবনে,
অন্যায় অত্যাচারে নির্জাতিত প্রজা গন
ধরা পরিনত হলো মহা শ্মশানে।
দূর করতে ঘোর অন্ধকার অন্যায় অত্যাচার,
এলেন ধরায় নব নব অবতার।
পাশ্চাত্যে বেথেল হেম শহরে এলেন যিশু
মক্কায় মহম্মদ ,প্রাচ্যে মহাবীর গৌতম বুদ্ধ,
কলিযুগে নবদ্বিপে এলেন শ্রী চৈতন্য
হরিনাম বিতরনে জীবে প্রেম জাগরনে করতে চিত্ত শুদ্ধ।
শ্র কৃষ্ণ চৈতন্য মহাবীর বুদ্ধ মহম্মদ যিশু খ্রীষ্ট
সকল মহামানব বলেন-'মানুষ হবে ধর্ম নিষ্ঠ,
জীব হিংসা প্রানী হত্যা হলো মহাপাপ,
মানুষ হয়ে না মানলে পেতে হবে মহা তাপ;
ছেলে বেলায় গোদা ধর পরে দক্ষিনেশ্বরে
পাগোল ঠাকুর রামকৃষ্ণ বিদিত ভূবনে,
বিশ্বের সকল জীব মজিলেন-'যত্র জীব তত্র শিব;
ও' ঠাকুর রামকৃষ্ণ কথামৃত; শ্রবনে।
বিবেকা নন্দ ছিলেন বিবেকে পূর্ন সদানন্দ, বিশ্ববাসিকে
দিলেন' জ্ঞান শিক্ষা সেবা আনন্দ; অফুরন্ত।
'জীব সেবা ঈশ্বর সেবা; এই মহামন্ত্রে বন্যা খরা,
ভূমিকম্পে,আর্তের সেবায় অগনিত সাধু সন্ত।
রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের সেবায়,মুগ্ধ
ভারত বাসি,মুগ্ধ বিশ্ব বাসি,এ পূন্য ধরায়,
অমর রহে বিবেকা নন্দ এ পূর্ন ধরা ধামে,গাণ্ডিব ধারি
অর্জুনের ন্যায়, ঠাকুর রাম কৃষ্ণ যাঁর সহায়।
রাজা রামমোহন রায় পৌরষে ভরা হয়।
তিনি অন্যায়ে নয় সর্বদাই ন্যায়ে রয়,
'সতীদাহ; প্রথা রোধ,ন্যায় ও সত্যকে
গ্রহন , এগুন তাঁর চিরকালই হয়।
বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন,বিধবা বিবাহ
প্রচলন, নারীর দুঃখ মোচন,
ভগীরথ তুল্য পুন্য অর্জন করলেন
বিদ্যাসাগর, এ মর্ত ভূবন।
সত্যের পূজারী মহাত্মাজি
করলেন প্রচার অহিংসার বানী
চিত্ত রঞ্জন দাস ছিলেন
ভারত খ্যাত দানি।
বাঙালির ঘরে ঘরে নারি শিক্ষা বিস্তারে
বেগম রোকেয়া উজ্জল তারা,
বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন বহু পুস্তক লিখন
নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে যারা।
বাল্য কালে দুঃখ মিঞা দোকানে বেচতেন টি,
বিনা সাধনে বিদ্রোহী কবি হতে পারতেন কী?
ইন্দ্রাজি ছিলেন অতিব মহান
পরাজিত হলেন ইয়া ইয়া খান।
ত্যাগ,ধৈর্য ও মহান আদর্শে
শেখ মুজিবর বাংলাদেশ বানান।
রবীন্দ্র চিন্তায় আমরা জন্মাই,জীবন যাপন করি
অবোশেষে মরি,মরেও পরপারে ঘুরি
মহাজ্ঞানি ব্যাস তুল্য এমন কবি কোথায়
গেলে পাবো তারে,খুঁজে চেষ্টা করি।



রচনা-০৭/০৯/২০১৭