শ্রীকৃষ্ণ মুরারী ধরাধামে আসি,
হয়ে ভারতবাসী
মানুষের করলেন কত কল্যাণ,
শ্রীমাধব পঞ্চ পান্ডবের কত আপদ বিপদে,
রাখলেন জীবনে,
ঘোর সংকটে পরামর্শ প্রদান।
ভীষ্ম দ্রোণ জয়দ্রথ আদি বধে,
শেষে গদাঘাতে দুর্যোধনে,ধর্মরাজ্য
স্থাপনে শ্রীকৃষ্ণের ছিল উপদেশ,
অষ্টবক্রমুনির  অভিশাপে যাদব বংশ
হলো ধ্বংস ব্যাধের বানে শ্রীকৃষ্ণ
স্বয়ং দেহ রাখলেন অবশেষ ।
কুরুক্ষেত্রের রনাঙ্গনে সামনে রেখে
অর্জুনে ত্রিকালজয়ী  মহাজ্ঞানতত্ত গীতা
শ্রীকৃষ্ণ উপহার দিলেন বিশ্বাজনে,
ধীর স্থির মহাজ্ঞানী মহাত্মাজী
দমন করলেন অত্যাচারী ইংরেজে
অসহযোগ অহিংস আন্দোলনে।


সদাসত্য প্রেমানন্দে ভরা
হৃদয় ছিল হিংসা হারা,
শুভদিনে শুভক্ষণে ভারতবর্ষের
পোর বন্দরে জন্মিলেন গান্ধীজী,
মাতা পুতলি বাই,পিতা কাবাগান্ধী,
নিজ চেষ্ঠায় লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার হলেন  
তিনি বাল্যে ছিলেন খুব মেধাবী।
ভারতমাতার পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনে,
অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেন
গান্ধীজী সারা ভারতবর্ষ জুড়ে,
প্রবল প্রতাপশালী ধুরুন্ধর অত্যাচারী
ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে অহিংস
আন্দোলন করতে হবে ঠান্ডা মাথায় ধীরে।
মাতঙ্গীনির আত্মাহুতি ক্ষুদিরাম ভগৎসিঙ্গের,
ফাঁসি ভুলেনা ভারতবাসী,
জালিয়ানা বাগের কী বিভৎস কান্ড !
নৌ - সিপাহী বিদ্রোহ আজাদ বাহিনীর আক্রমণ,
যুবজাগরণ ইংরেজের নড়ল টনক
এখন সইলো না একদণ্ড।
শেষে জিন্না ও গান্ধীজীকে মাথায় রেখে
অখণ্ড দেশকে খণ্ড করে ইংরেজ সরকার
স্বাধীনতা দিলেন ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে,
কৃষ্ণাঙ্গের অধিকার দানে ভারত স্বাধীনে
কত দুঃখ যন্ত্রণা পোয়ালেন শ্রীকৃষ্ণের ন্যায়,
জাতির জনক প্রাণ হারালেন কেঁদেছিল সকলে ।