পৃথিবীটা কেমন হতো , মানুষ না থাকলে
সে বড় আজব কথা , শুনবো তাহলে ।
মানুষ না থাকলে , পৃথিবী হতো জঙ্গলে ঢাকা
নদী নালা পর্ববতে ভরা , মাঠ ঘাট থাকত ফাঁকা ।
সিংহ মশাই দিতো দাপট , পৃথিবীটা ভোর
হাতির দল দিতো দৌড় , করতো নাকো ডর ।
পশুরাজ ছাড়তো গর্জন , কাঁপতো সারাবন ,
ভয়ংকর বিপদ বুঝে , সকল পশুর হতো কম্পন ।
বাঘ ভল্লুক হরিণ হাতি , বিড়াল শূকর ছানা ,
থাকতো বনে ভর্তি হয়ে , চরতো কত হায়না ।
জিরাফ বানর খরগোশ , গরু মহিষ ভেড়া ,
জলহস্তী চরতো জলে , ছুটে বেড়াতো ঘোড়া ।
শিয়াল ডাকতো হুক্কা হুয়া , গাছে লাফাতো গরিলা ,
ছাগল পাল ছুটতো মাঠে , যখন আসতো বাদলা ।
সকল পশু স্বাধীন ভাবে , ঘুরতো বনের মাঝে ,
বাঘ ভল্লুক শিকার ধরতো , যাদের পেতো কাছে ।
পাখিরা সব কিচিমিচি , করতো মাঠের মাঝে ,
আহার করে আনন্দে সব , ফিরতো বাসায় সাঁঝে ।
কোকিল ডাকতো কুহু কুহু , বর্ষায় নাচতো ময়ূর ,
জৈষ্ঠ মাসের আম গুলি সব , পেকে হতো সিঁদুর ।
মৌমাছি সব গুনগুনিয়ে , ছুটতো ফুলের বনে ,
বাঘের গর্জন আসতো বনে , হরিণ পালের কানে ।
মাছ গুলো সব কাটতো সাঁতার , দুর সমুদ্রের জলে,
মোষ গুলো সব চরতো বনে ,ছুটতো দলে দলে ।
কাক গুলো সব ডাকতো কা কা , চিল থাকতো তাকিয়ে ,
উট গুলো সব চলতো মাঠে , ঘাড় গুলো সব বাঁকিয়ে ।
বানর গুলো গাছে ঝুলতো ,ভুলুক ভুলুক তাকিয়ে ,
জিরাফ গুলো পাতা খেতো সব , লম্বা গলা বাড়িয়ে।
শালিক চড়ুই ঝগড়া করতো , ঝাউ খঞ্জনি বাজিয়ে ,
টিয়া পাখি ডালে বসতো ঠোঁটে আলতা মাখিয়ে ।
ফুল গুলি সব ফুটতো বনে সুগন্ধেতে ভরা ,
মানুষ না থাকলে ভোগ করবে বলো কারা ?
মাঠ ঘাট বন জঙ্গল পশু পাখিতে পূর্ন ,
মানুষ না থাকলে নিয়ন্ত্রণ হবে শূন্য ।