বিশ লাখ টাকা উঠল, পুজোয় খরচ হল দশ
লাখ, মস্তানের পকেটে  পড়ল বাকি টাকা,
কৈফিয়ৎ চাইবে কে? সাহস আছে কার?
মস্তানের হিসাবের খাতার পাতায় সব টাকা ফাঁকা।


এভাবে চলে মস্তান ও তার বাইক বাহিনীর
জীবন, চলে ভরণ-পোষণ জীবন যাপন,
একে বলে কি জীবন? শোনো মস্তান ভাই,
এভাবে চলতে নাই। আমরা মহান,
আমরা মানুষ। মান আছে যার, হুঁস
আছে যার, সে হলো মানুষ, সে নয় মস্তান!


মস্তানের মান নেই, হুঁশ নেই সকল সময়
বেহুঁশ, তাইতো মস্তান বেপরোয়া দিশাহারা,
সে গুঁড়িয়ে দেয়,মাড়িয়ে দেয় জ্বালিয়ে দেয়,
পুড়িয়ে দেয়, সেতো সর্বদাই অন্যায়ে মাতোয়ারা।


সে লুটপাট করে, ডাকাতি করে, করে রাহাজানি,
মানহানি, খুন করতেও ভয় পায় নাই,
সে বাড়ি ভাঙ্গে, ঘর ভাঙ্গে, ভাঙে সংসার জীবন।
সে নিজেকে দণ্ডমুণ্ডের কর্তা ভাবে সর্বদাই।


সে গুন্ডা বদমায়েশ,শয়তান বেইমান,সে
শান্তি চায় না, সে কারোর ভালো দেখে নাই,
সে কার কি হল না হল সে কোনদিন ভাবে
নাই, সে নিজের পকেটে ভরাতে চায় সর্বদাই


সে ধাপ্পাবাজ ফন্দিবাজ সে মানে না কাউকে,
শোনে না কারুর কথা, সে শুধু প্রাণে দেয় ব্যথা,
তার তৃপ্তি নেই, শান্তি নেই, তার আছে শুধু অভাব,
সে চলে আঁকাবাঁকা, চলে না সোজা।


সে ধীর নয় স্থির নয়, সর্বদাই অস্থির,
সে তাকায় না পিছনে, তাকায় শুধু সামনে।
এভাবে হুড় দাড় চললে, কাউকে না মানলে,
সে ভাবেনা পরক্ষণে কি আসবে তার জীবনে
  
শুনো মস্তান হও সাবধান, দিন সমান নাহি
যায়, সময় চলে যায়, ভুল বুঝো নাই,
বিধির বিধানে কয় ভুল করলে ভুলের মাশুল
দিতে হয়, তুমি কি তা জানো নাই?


তোমার সব আছে, তুমি তল্লাশ করো নাই,
যা আছে ব্রহ্মাণ্ডে তা আছে তোমারি ভান্ডে,
ষড়ো রিপু ভুল পথে টানিছে তোমায়, আঘাত
হানো, চাবুক মারো, তোমার বিবেকেরি দন্ডে।


কাম ক্রোধ লোভ মদন মোহ ও মাস্চর্য,
কি আশ্চর্য! ছেয়ে ফেলেছে তোমায়!
গুরু কৃপা হলে অসাধ্য সাধন হয়, ভক্তিতে
হয় মুক্তি, ভক্তি আসে গুরুর চরণ সেবায়।


তোমার শক্তি আছে স্বস্তি নেই, বুদ্ধি আছে
ধৈর্য নেই, প্রথমে তুমি হও ধীর-স্থির,
তাহলে তুমি ষড়োরিপু জিনতে পারবে,হবে
তুমি মহান, বিশ্ব জানবে তুমি হলে খাঁটি বীর।



রচনা - 05.08.2017