বালিকা শিক্ষা বন্ধ থাকে
বংশের মান মর্যাদা রক্ষার তরে,
শিক্ষা লাভের তরে গ্রামের স্কুলে
গেলে,পিতা মাতা মানে মরে
নারী হলো গৃহ লক্ষী,এ কি ধৃষ্টামি !
তাঁকে পন্য হিসাবে ব্যাবহার করি,
পন নিয়ে বিয়ে করি , স্ত্রি রুপে
সাদরে গৃহে আনি সেই নারী।
স্বামি সেবায় বুক ভরা ভালবাসায়
সঁপে দেয় জীবন যৌবন,
ভাবে না নিজেকে , দেখে শুধু
সংসারকে,কাটায় দিন আমরন।
শ্বশুর শাশুড়ি গুরুজনে শ্রদ্ধাভক্তি করে
সবামিকে সেবা করে দেবতা রুপে,
সন্তান সন্ততি দের স্নেহ আদর করে
মন্দিরে পূজা দেয় ধূপ দ্বিপে !
বুকভরা ভালবাসায় স্নেহ মমতায়
কত কষ্টে সংসার গড়ে,
কখনও শ্বশুর শাশুড়ি স্বামি
কড়াভাষা বললে,হাঁসি মুখে দেয় উড়ে।
সংসারের যাবতীয় কাজ সেরে
দুবেলা সকলের তরে রান্না করে,
শ্বশুর শাশুড়ি স্বামি পুত্র কন্যা সকলকে
খাইয়ে, নিজে খায় সকলের পরে।
সন্তান সন্ততির অসুখ হলে পরে,মায়ের
চিন্তার অন্ত থাকে না তাদের তরে,
মায়ের খাওয়া নেই ঘুম নেই যতক্ষন
না, তাদের সুস্থ করে তুলতে পারে।


স্বামির ব্যাধি হলে পরে,চিকিৎসা
করে, সুস্থ না হয়ে মারা গেলে,
স্বামীর জলন্ত চিতায় স্ত্রি কে মরতে
হবে, সমাজ পতিদের বিধানে বলে।
পিতা মারা গেলে ছেলেরা পৈতৃক
সম্পদের অধিকারি হয়,
কন্যা সন্তান সব ভূ সম্পদ
হীনা হয়ে দাসী হয়ে রয় ।
কী পয়জান আছে মদ্যপানে !
যে নারী  পড়েছে মাতালের সনে।
চলছে নারী নির্যাতন, প্রতিনিয়ত মদ্যপান,
নারী পুরুষ সমান তবে কেন তারে কাঁদান ?
মানুষকে ভূতে ধরে কন্য ভ্রুন কে হত্যা করে,
এতে লাগে বড় লাজ, একী সভ্য জগতের কাজ ?
মুসলিম ভাইদের ঘরে তিতীক্ষার তরে
স্বামী স্ত্রকে তিন তালাক দেয়
আকাশ ভাঙিয়া পড়ে অবলা  নারীর ঘাড়ে,
কাঁদিতে কাঁদিতে সংসার ছেড়ে চলে যায়
শত কষ্টের সংসার হয় ছারখার
কী কষ্টে দিন কাটে অন্যের দ্বারে দ্বারে !
কিভাবে কোন মহামানবের আগমনে
সে মুক্তি পাবে ভাবে মনে মনে,
দুঃসহ জালা যন্ত্রনা বেদনা
সব নীরবে সইতে হয় নারী জিবনে ।



প্রকাশিত - ১৬/০৯//২০১৭