সতীদাহ ; প্রথায় রাজা রাম মোহন রায়
গর্জে উঠল সিংহের প্রায় !
সমাজ পতি দের কাছে যায়, প্রতিবাদ করল তায়,
মিললো  না সায়, তাড়িয়ে দিলো কুকুরের ন্যায়,
বড়োলাট বেন্টিঙ্কের  কাছে যায়,  মিললো না
সায়, যেতে হলো এলিজাবেথের কাছ,
মহারানী নারীর মর্যাদা রাখলেন,  আইন সভায়
'সতীদাহ রোধ, হলো পাশ সমাজ পতিদের মাথায় পড়লো বাজ,
ভারতবর্ষের থানায় থানায় 'সতীদাহ রোধ; আইন
জারি হলো, নিষিদ্ধ হলো সতীদাহ প্রথা,
তুলি, বন্ধ হলো নারীজাতির ব্যাথা।


বালিকা  বিদ্যালয় স্থাপন, বিধবা বিবাহ
প্রচলন, নারীজাতির দুঃখ মোচন,
ভগীরথ তুল্য পূন্য অর্জন করলেন
বিদ্যাসাগর এ  মর্ত্য ভুবন।
বাঙালির ঘরে ঘরে নারী  শিক্ষা বিস্তারে
বেগম  রোকেয়া উজ্বল তারা ,
বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন বহু বই লিখন
নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে যারা।
নারী সমাজ ভূমি সংস্কার আইনে
পৈতৃক সম্পদের অধিকার  পেয়েছে,
সরকারী চাকরি ও সমাজে নারী
অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


নরেন্দ্রমোদির শাসনকালে  'তিনতালাক,
উঠে গেল সুপ্রিম কোর্টের আদেশে,
নারী জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল
ভারত বর্ষে তথা সারা বিশ্বে।
আঠারো বছর বয়স পর্যন্তপড়বে যারা
কন্যাশ্রী, বৃত্তি পাবে সেই কন্যারা,
আঠারোর পর কন্যাশ্রী নিয়ে  বিয়ে করে
সুখে শান্তিতে সংসার  করুক তারা।
নারীজাতি উন্নয়নে মমতাজি
করলেন কন্যাশ্রী পরিকল্পনা,
কন্যাশ্রী না হলে পরে মমতাজি
বিশ্ব সম্মান পেতেন না।


যুগের পরিবর্তনে মহামানবের আগমনে
নারীজাতির সকল বন্ধন হয়েছে মোচন,
নারী পুরুষ সকল ক্ষেত্রে সমান  অধিকার
স্থাপন,  তাঁদের কাটছে সাচ্ছন্দে জীবন।
রয়ে গেছে মদ্যপান এ যেন বিষের সমান,
যে স্বামী মদ্যপায়ি না হয়  উপায়ী,
সে সংসার হয় ছারখার;
স্ত্রি পুত্র কন্যা  করে হা-হা কার।
স্বধীন  রাষ্ট্রে আছে তো সরকার,
তবে কবে হবে এর প্রতিকার ?



প্রকাশিত  - ০৬/০৯/২০১৭