পাহাড়-সমুদ্র-জঙ্গল-নদী, জীবের জন্ম হতো কী?
ভেবে ভেবে পাগল হই,পৃথিবী যদি না থাকত ই!
জন্ম-মৃত্যু, জোয়ার-ভাটা, অবিরত চলছে পৃথিবীতে,
দিন-রাত্রি না হলে পরে, কেমন লাগে ভাবতে?
ভাঙ্গা গড়ার চলছে খেলা,এই পৃথিবীর মাঝে,
সিরাজের পরাজয় ঘটে,লর্ড ক্লাইভের কাছে।
আকাশের চাঁদ দেখা যায়,কেমন সুন্দর দেখতে!
ক্লান্ত শরীর জুড়িয়ে যায়,মৃদু বাতাস বইতে ।
পাল তুলে নৌকা যায়,নদী কেমন দেখতে!
বনের মাঝে বাঘের গর্জন, কেমন লাগে শুনতে!
মেঘ ডাকে বিদ্যুৎ চমকায়,কেমন লাগে ভাবতে,
রাতের বেলা মাঠের মাঝে, একা যদি পড়তে!
ঝিম ঝিম বৃষ্টি পড়ে,ভাবনা লাগে বারে বারে,
ময়ূর তখন পেখম ধরে, বন ময়ূরী নাচে রে!
মৌমাছি সব গুনগুনিয়ে,ফুলের বনে ধায়রে,
কোকিল ডাকে কুহু কুহু, চাতক বারি যাঁচরে ।
মেঘ ডাকে বর্ষা হয়,সোনার ফসল ফলতো কী!
ভেবে ভেবে পাগল হই, পৃথিবী যদি না থাকত ই!
চাষী চাষ করে আনন্দে,ভ্রমর উড়ে পদ্ম ফুলের গন্ধে,
সূর্য দেব অস্ত যায়,যখন নামে সন্ধে।
গরু চড়ায় রাখল মাঠে, বধুরা সব কলসি কাখে ঘাটে,
গাঁয়ের মানুষ ছুটে ছুটে, যাচ্ছে সবাই হাটে।
রেল ছুটে গাড়ি চলে, ছাত্র পড়ে ইস্কুলে,
মন দিয়ে শিখলে পরে,জীবন যাবে না বিফলে।
জাহাজ ছুটে সাগর জলে, উড়ান উরে আকাশে,
পাখিরা সব উরে বেড়ায়, গগন ভরা বাতাসে।
পুরুত ঠাকুর মন্ত্র পড়ে, শিব ঠাকুরের মন্দিরে,
মসজিদে সব নামাজ পড়ে আল্লা, আল্লা বলেরে।
পাশ্চাত্যের মহাকাব্য ইলিয়ড ওডিসি,
হোমার না থাকলে এ সব হতো কী?
আদি কবি বাল্মীকি ব্যাসদেব করলেন কত সাধনা,
রামায়ণ মহাভারত মহাকাব্য বিশ্বজগৎ জানতো না।
রবিঠাকুর সেকশপীয়ার করলেন কত সাধনা,
গীতাঞ্জলি না লেখলে,নোবেল পুরস্কার হতো না।
ইঞ্জনিয়ার সেতু বানায়, বিদ্যাসাগর লেখলেন কত বই,
ভেবে মোরা পাগল হই,পৃথিবী যদি না থাকত-ই!
নিউটনের গতিতত্ত্ব,বসুর উদ্ভিদতত্ত্ব বিশ্বজগৎ জানতো না,
পৃথিবী না থাকলে পরে,এ সব কিছুই হতো না!


                                              ৫/৭/১৭