সুন্দরবনের বেশির ভাগ
পড়েছে বাংলাদেশে,
এমন অবস্থাটা ঘটেছে
ইংরেজ আমলের শেষে।
নদী দিয়ে দ্বীপগুলি ঘেরা
চারিদিকে তার বাঁধ,
চাষ করি ফসল ফলাই
খাটি দিন রাত।
রায়মঙ্গল,ইচ্ছামতি
গোসাবা বাঘনা,
বিদ্যাধরী,ক্যানিং,মাতলা
সবার আছে জানা।
হিঙ্গলগঞ্জ,সন্দেশখালি
ঝড়খালি,বাউনিয়া,
সাগরদ্বীপ,বাসন্তি,
বকখালি,শীতুলিয়া।
আছে ৫৬ টি দ্বীপ
সুন্দরবন অঞ্চলে,
দ্বীপ গুলির চার ধার দিয়ে
নদীর স্রোত চলে।
সুন্দরবন অরন্যে
সুন্দরী গাছ সেরা,
বানী,হেতাল,গরান গাছে
সারা বনটি ঘেরা।
টিয়া, শালীক,গাঙ,পায়রা
বানর হরীণ শিয়াল শূয়ার,
বাস করে এই অরন্যে
রয়েল বেঙ্গল টাইগর।
রয়েল বেঙ্গল তাড়ায় সেথায়
কুমীর গিলে খেতে চায়
কত অভাগা জননী
কেঁদে বলে হায়।হায়।
হাঙ্গর কামট নিত্য সাথী
কেউটে গোখুরে ফোঁস ছাড়ে,
কত অভাগা পুরুষ নারীর
কলার মান্দাস নদীর বাড়ে।
অতিবর্ষনে ঝড় ঝঞ্জায়
যখন জল বাড়ে  গাঙে
প্রবল স্রোতে জলের ঝাপটায়
নদীর বাঁধ ভাঙে
বাড়ি ঘর দোর গাছপালা
ডুবে  জলের তলায়
হাঁস মুরগী ছাগল গরু
মানুষের কি দুর্দশা হায়।
মাঠের মাঝে  ক্ষেতের পরে
চাষীরা চাষ করে ।
ঘনবর্ষনে  মেঘের ডাকে
অনেকে বজ্রাঘাতে মরে।
সুন্দর বনে বন্যা খরা
নিত্ত নৈমিত্তিক ঘটনা,
বন্যায় ফসল হানি
খরায় খালি বঞ্চনা ।
ফ্যান আমানি পাতলা ঘন্ট
দু দিন অন্তর রুটি দুটো,
গামছা গায়ে ছিন্ন বস্ত্র
অন্ন জুটে না দু মুঠো।
অর্ধ আহার অনাহার
করে সেথায় বিরাজ,
মুনাফা খোর ধনী যারা
পেতে চায় স্বরাজ
টাইফয়েড ডাইরিয়ায়
ভালো চিকিৎসা  না  পায়,
যেতে হবে অনেক দূর
নদী পার হতে হয়।
সুন্দর বনে থাকি মোরা
মারি নিয়ে বাস করি,
বিপদের পর বিপদ আসে
মোরা বিপদে নাহি ডরি ।


প্রকাশিত ২৪/০৫/২০২০



****** সমাপ্ত *******