তৃতীয় পাণ্ডব পার্থ যুদ্ধে তিনি নন ব্যর্থ, কোন যোদ্ধা নাই তাঁর সমসাথী,
তিনি বিজয়ী, তিনি নন পরাজয়ী, স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তাঁর রথের সারথী।
তিনি বীর,তিনি ধীর স্থির, দ্রপদীর বস্ত্র হরনে, আজ্ঞার অপেক্ষায় ছিলেন শুধু যুধিষ্ঠির, ভীষ্ম-দ্রোন- জয়োদ্রথ আদি বধি, শেষে ভীম গদাঘাটে দুরাচারী দুর্যোধনে, ধর্মরাজ্য স্থাপিলে হে বীর।


বিবেকানন্দ ছিলেন বিবেকে পূর্ন, সদা আনন্দ বিশ্ববাসীকে দিলেন জ্ঞান-শিক্ষা-সেবা-আনন্দ অফুরন্ত,
' জীবে সেবা ঈশ্বর সেবা ' এই মহামন্ত্রে, বন্যা-খরা- ভূমিকম্পে, আর্তের সেবায় অগণিত সাধুসন্ত।


দুরন্ত নরেন, ঠাকুর রামকৃষ্ণ ধরেন, দীক্ষা দিলেন, দিক্ষান্তে নাম হলেন বিবেকানন্দ,
সারা ভারত পায়ে হেঁটে ভ্রমিলেন, 'জীবসেবা ঈশ্বর সেবা ' ঠাকুরকে জানালেন আদি অন্ত।
ঠাকুরের দেহান্ত হলে, স্বামীজী বিদেশ ভ্রমণে বেরুলে, মা সারদা দিলেন আশীর্বাদ,
বিশ্বধর্ম সম্মেলনে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের গীতা ও বেদের ব্যাখ্যায় তৃপ্ত বিশ্ববাসী দিলেন ধন্যবাদ।
দীর্ঘদিন ধরে সারা বিশ্ব ঘুরে ভারতবর্ষে ফিরলেন বিবেকানন্দ বিশ্ব জয় করে,
রামকৃষ্ণ মিশন মাধ্যমে জ্ঞানের বাণী ক্ষুধার অন্ন,আর্তের সেবা দিতে মূর্খ দরিদ্রের ঘরে ঘরে।
রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের সেবায় মুগ্ধ, ভারতবাসী মুগ্ধ বিশ্ববাসী এ পুন্য ধরায়,
অমর রহে বিবেকানন্দ এ পুন্য ধরাধামে, গান্ডিবধারি অর্জুনের ন্যায়, ঠাকুর রামকৃষ্ণ যাঁর সহায়।