হে ভারত ,তুমি ধন্য এ পুন্য ধরা ধামে ,
অসম্পূর্ণ থাকতো ধরা তোমারি বিহনে ।
কত মুনি ঋষি সাধক , সাধনা করলেন তব কোলে ,
সিদ্ধিলাভ করলেন তাঁরা , নিজ নিজ তপ বলে ।
আদি কবি বাল্মীকি মহামুনি , করলেন কত সাধনা ,
ভারত না থাকলে পরে , রমায়ন রচনা হতো না ।
মন্থরার - কুমন্ত্রণায় , রাম - সীতা - লক্ষন গেল বনে ,
সোনার লঙ্কা শ্মশান হলো , সীতা চুরির কারণে ।
মহাভারত রচনা করলেন , ব্যাসদেব মহামুনি ,
ভীষ্ম হলেন মহাবীর , কর্ন ছিলেন দানী ।
গীতা ভাগবত রচনা , ব্যাসদেবেরই সাধনা ,
ধর্ম রাজ্য প্রতিষ্ঠা , শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া হতো না ।
সীতা সাবিত্রী সতী পতিব্রতা , যথা ধর্ম তথা জয় ,
রামায়ন - মহাভারত এ সকল ধর্ম কথা কয় ।
বেদ হলো পৃথিবীর প্রাচীতম বই
সভ্যতার মূলমন্ত্র সেখানেতেই পাই ।
কুরুক্ষেত্রে শর শয্যায় ভীষ্মের জল পান ,
ভূগর্ভে যে জল আছে তারি জয়গান ।
অন্ধ ধৃরাষ্ট্রের কানে আসে যুদ্ধের বিবরণ ,
ওর মধ্যে লুকিয়ে আছে আধুনিক দূরদর্শন ।
বিমান , বেতার , দশমিক প্রথার কথা ,
সবকিছু আছে বাবা পুরানেতে গাঁথা ।
রাজনীতি সমাজনীতি আর আছে যত যত ,
সব কিছু পাবো মোরা পূরাণে যথা যথ ।
  'আধ্যাত্মিকতা ' হলো পূরাণের বড় অবদান ,
ভারত ছাড়া এসব তত্ত্ব পাবো না কোন স্থান ।
কর্নের দান আর দ্রোণাচার্যের শিক্ষা ,
পৃথিবী জুড়ে রয়েছে তাঁদের অমর আখ্যা ।
গীতা হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম গ্রন্থ ,
বিশ্ববাসী হয়েছেন তাঁর গবেষণায় রত ।
যুধিষ্ঠির খ্যাতি পেয়েছেন ধর্মে ও ধৈর্যে ,
ভীষ্ম অমর রয়েছেন ন্যায় সত্য শৌর্য বীর্যে ।
কুরুক্ষেত্রের রনাঙ্গনে শ্রীকৃষ্ণের বাণী ,
শুনলে পরে ত্রিতাপ দুঃখ হয়ে যায় পানি ।
হনুমানের রাম ভক্তি একলেব্যের সাধনা ,
ভারত না থাকলে পরে এসব কিছুই হতো না ।
গুরুনানক কবীর গৌতমবুদ্ধ সাধনা করলেন কতো !
বিশ্ব কী জানতো ? ভারত যদি না থাকতো !
ভাগীরথী মহানাদী কাবেরী গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র সিন্ধু গোদাবরী ,
ভারত না থাকতো যদি , বিশ্ব কিছুই জানতো কী ?
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব , আর বিবেকের বাণী ,
মাদার টেরেসা ছিলেন আমাদের জগজ্জননী ।
সতীদাহ প্রথা তুলতে রামমোহন করলেন কঠোর সাধনা,
জগদীশ বসুর উদ্ভিদ তত্ত্ব , বিশ্ব জগৎ জানতো না ।
মহাত্মাজী  করলেন প্রচার অহিংসার বাণী ,
চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন ভারত খ্যাত দানী ।
ক্ষুদিরাম ,বিনয় - বাদল - দীনেশ আর নেতাজী
ভগৎ সিং ,মাস্টার দার অবদান ভুলার মতো কী ?
শ্রী চৈতন্য - মহাবীর , জীবের লাগি করলেন কত কী ?
ভেবে মোরা পাগল হই , ভারত যদি না থাকত ই !