এই তো সকালটা ছিল
অবিকল তারুণ্যের জ্বলজ্বলে মুখ ;
রাতের আসরে ছিল কালু-গাজী ,চম্পাবতী
মিটি মিটি জোনাকির নীলাভ মিছিল ।


দক্ষিনের পুকুর জলে ভেসে ওঠা
রঙ্গীন খলশেদের রক্তিম নাকফুল ;
ঝিঁঝিঁদের অবিরাম ডেকে চলা-
আমার অণিরুদ্ধ জানালায়
চুমে যাওয়া এক পশলা মিষ্টি বাতাস ।


সেই মুখ , সেই চোখা -চোখি
পড়ন্ত বিকেলের ভেঁজা রোদের শীতলতা
ঘুঘুদের ঘরে ফেরার সব আয়োজন-
আর
এক্কা দোক্কা খেলোয়ারী চোখ
খুঁজে ফেরা এক অন্য পৃথিবীকে ......।


হয়তো বেণীতে তার এখনো
লেগে আছে মৃদূ  স্পর্শ
যেন এক ঘাসফড়িং ছুঁয়ে ছিল নরোম হৃদয় ।


সকালটা বড্ড বেশি গতিময়
আমায় পিছনে ফেলে উড়ে চলে দিগন্তের স্রোতের ভেলায়
দৃপ্ত পায়ে হাঁটে - হেঁটে চলে কালের ঘোড়া
যেন ধবল পক্ক কেশের বয়সী কদম আলী-
আয়নায় দেখে নেয় বিগত যৌবন ।


মক্তবের বারান্দা থেকে কলেজের প্রশস্ত চত্বরে
ছুটে চলে দুরন্ত এক কালের ইঞ্জিন
আমি থমকে দাঁড়াই ! দাঁড়াতেই হয় ;
আমাকে নিঃশ্চল করে পোড়া মাটির বুক-
পৃথিবীর পোড় খাওয়া বৃদ্ধ সময়............।।