আগুন আমাদেরও আছে, চতুর্দশী তিথির
অন্ধকারে থরথর করা ল্যাম্পের শেষপ্রান্তের কাছে।
আগ্নেয়গিরি দেখে উড়ন্ত চিলের রূপ
ফ্রাঙ্কেস্টাইনের দৈত্য ভেবে, তোমাদের
ইট-কাঠের নগরী অবরুদ্ধ রবে।
প্রবঞ্চনাময় মুখে জপ কর দেবতার নাম
এখনও কোন প্রতিবাদী আঁকেনি যতিচিহ্ন
যে এঁকে দেবে কপালে তোমার চিহ্ন বুমেরাং।


হরিণের চামড়া ছিঁড়ে তৈরি যত দস্তানা
তার পিছে মুখোশ পড়া লোভ দাঁত বের করে হাসে।
শ্রমিকের মুঠো ভরা স্বপ্নে অজুহাত ধরো, মহাজন,
এ শহর বৃষ্টিহীন যতদিন মুহ্যমান শোকের সাড়ি
সাইসাই চলে যায় মুমূর্ষু এ্যাম্বুলেন্স, কারও প্রিয়জন।


বেগুনী অন্ধকারে হাত পাতে সময়
জলফুটে নিরন্তর, দু'মুঠো অন্নজল ভেবে
ক্ষণিকের আনন্দ সমুদ্রের সাদা ফেনাময়।
আগুন আমাদেরও জ্বলে শরীর পোড়া পেট্রোলে
চতুর্থীর রাত পোহালে পঞ্চমীর গানে মনেমনে
সুর তুলো, মহাজন।
জগতে যত পঙ্কিলতা করেছ অর্জন
সাধু সাজ আজ নির্দোষ অমৃত আস্বাদন।


আমি অবিরত ঘোরা উজ্জ্বল আলোর মিটমিটে নিশিরাত
শেষ ডিঙ্গির উজানে এসেছি ঠেলে যত ঢেউ
দেখতে তার চতুরঙ্গ এলো না তো কেউ।
উজান ঠেলে উঠা সকাতর প্রার্থনা করেছি সমর্পণ
তোমাদের পরমাত্মীয় সেইজন,
এ নগরে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা তোমাদের
এ জগতের বড় প্রয়োজন।


(১৭ই মে, ২০১৯)