বৃষ্টির পিপাসা অন্তহীন বিষাদ উদ্যানে
আসে নিয়ে আশ্বিনের আনন্দ।
নবান্ন উৎসবের রাত আর-
উষারম্ভের সিক্ত অধরে ফুল ফোটে
আর ঘৃতান্নপাতে শ্বেতদুগ্ধ।
সমীরণ অনন্ত শয্যায় হাসি-হাসি রংধনু
বৈকালিক আড্ডা ঠেলে বোধন দ্বিপ্রহর
মরূদ্যানে চন্দন সুবাসে জোছনা ভাসে
চাঁদ হাসে শিউলির কোলে।
সব দীর্ঘকাল আশীর্বাদের রেণু হয়ে ঝরে,
সব দীর্ঘশ্বাস শ্বাস তুলে মহানন্দে।
আমি তৃণসম ঘাস হয়ে কুয়াশা বেলায়
তোমার আঙ্গুলের স্পর্শে চমকে খুলেছি চোখ।
আধোরাত অনুরোধ ভরা দীর্ঘতম পথে
বদলে গিয়ে বলো, প্রেম ছিলো কতো গভীর
জলমগ্ন উদ্ধতবক্ষে ছোঁয়াও ফিরে আসা
বর্ষার গান, সে না-বলা প্রেম আর তৃণভূমির মৌনতা
ছড়িয়ে দিয়েছি ডুবন্ত সূর্যের লালিমায়।
                                    
(২১শে আগস্ট, ২০১৯)