এসেছি রাঙা পথের ধুলোর ঝঞ্ঝা পেছনে ফেলে
প্রণয়ের লগনে ব্যর্থ বৃষ্টির তৃষিত চোখের রাজ্য ভুলে;
ফিনিক্স পাখির সন্ধ্যে নামার নিরব ক্ষণে
দ্বিধাহীন মনের যাত্রাপথ ছেড়ে,
নিজের ছায়ার প্রকট ছবি, নিস্তেজ দেহ
মাকড়শার জাল বুনে।


বয়স কতো হলো ভাবনার অনুনয় ভঙ্গি তুলে
দ্বিপ্রহর পেছনে গুণ ভাগ করে পায় না।
কিন্তু পাখির নির্মল ডাক প্রেমিক মনে দুর্বিনীত
সাহস পোষে, কথা বলা পাখির অন্তরালে
আত্মগ্লানিতে দংশন করে বিষধর সাপ।


ঠাণ্ডা আলোর ক্ষণিকের চাহিদা বসে থেকে
দেহ ভোগ করার চিন্ময় সত্যে, অঘোরী
নিজেই বঞ্চিত হয়।
সত্য-মিথ্যের কশাঘাত করা বয়সের ছাপ,পরে
মধ্য দুপুরের ধূলোমাখা পথের ক্লান্তিতে।


অক্ষম শব্দের লেলিহান শিখা পীড়িত মনে
জিজ্ঞেস করে, কতো সময় পরে
ওঠবে গৃহহারা পাখির কলতান,
তাই যৌবনবতী বৃক্ষ নিষিদ্ধফল ফেলে
অন্নজল আস্বাদন করে বিধির লিখন।


সাতদিনে আটপ্রহর, মাঝির হাঁকডাক
বিশ্রামে তুলে শান্তির নৌকাডুবি চিরদিন,
বিবেকের কৃষ্ণপক্ষ চন্দ্রমল্লিকার কাছে
শুক্লপক্ষের অভিমান শোনাতে গিয়ে
প্রশ্ন তুলে বেঁচে থাকার ইতিহাস।


তবু জীবিত প্রাণীর বুকের স্পন্দনে মাথা রেখে
নিজের হৃদয় উদ্বেলিত হয়, চাওয়া-পাওয়াহীন জীবন নীতি-গল্প শুনতে চায় না বারংবার,
এইতো সারমর্ম উপসংহার টানে
বুঝা না বুঝার রোমন্থনে।


(২৬শে মে, ২০১৯)