জামরুল গাছের নিচু ডালটার ফাঁক দিয়ে,
বাড়িটা পুরো দেখা যায়।
বড় রাস্তার ডান দিকে, একটা সাইনবোর্ড,
একটু এগিয়ে ডানদিকে তিন নম্বর বাড়িটা-
বাড়ির জানালায় বসে বাইরের দিকে ,
একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে হৈমন্তী;
আজকের আবহাওয়ার বেয়াদপি আর কি!
বেয়াড়া বৃষ্টি আর মৃদুমন্দ হাওয়া
দিগ্বিদিক ভুলে শুধু এটুকু  দেখতেই
মেয়েটা জানলায় মুখ  বাড়ায়।
বৃষ্টির সাথে তার গোপন আলাপ চারিতা,
ব্যাকুলতায় দীর্ঘশ্বাসের ছন্দ মেলানো আর কি!
অন্যথায় মেয়েটার দেখা মেলা ভার!
কিন্তু বৃষ্টি আসলেই সে জানালায় আসে।
বৃষ্টির শব্দ আর ঠাণ্ডা বাতাসে কি যেন খোঁজে;
কালো মেঘের দেখা পেলেই হল,
টুপটাপ শব্দের প্রতীক্ষায় হাজির সে।
মেঘের গোঙানি হয়তো মনে ঢেউ তোলে।
মেঘলা দিনের সিক্ততায় সম্মোহিত হয় বারবার,
সাদামাটা গড়ন আর তীক্ষ্ণ চাহনির অভিপ্রায়
দীর্ঘ অপেক্ষার পর , সাক্ষাতের অভিব্যক্তির মত।
কিছু অনুভূতির আদানপ্রদানের সেই সন্ধিক্ষণ,
যা মুহূর্তের মধ্যে অতীত হলেও, সত্যি!
মেঘেদের ফাঁকে রোদের ঝিলিকের দেখা-
গাছগুলোর আজকের মত ভেজার পালা শেষ।
বেলা  গড়ালে বৃষ্টির চপলতার ইতি।
সিক্ত হাওয়ায় গাছের পাতা কাঁপতে থাকে,
জানলায় আর সে চাহনির দেখা নেই
আবার কোনো এক মেঘলা দিনে ,
ফ্যাকাসে জানলাটায় ,হয়তো উঁকি দেবে হৈমন্তী।