ধরণীর হল কী আজ হাসছে তো হাসছে,
যত রুপ বিলিয়ে সে ইশারাতে ডাকছে;


বাগানটা ভরে গেল রাশি রাশি ফুলেতে,
গোলাপেরা মাতালো মৌ মৌ সুভাসে;


সূর্য্যিটা হেসে গেল সারাদিন খুশিতে,
পৃথিবীটা ভরে ছিল সোনাঝরা আলোতে;


দখিনের হাওয়াগুলো হয়েছিল চঞ্চল,
কাশবন দুলেছিল আনন্দে উচ্ছ্ল;


প্রজাপতি রাঙলো রামধনু রঙ্গেতে,
উড়ে উড়ে ভরালো সে বর্ণিল শোভাতে;


কোকিলটা কাছে এসে স্বরলিপি খুললো,
ছন্দের লহরীতে মুখরিত করল;


চন্দের আনন্দে জোয়ার এসে থামল,
আঁধারটা জোছনাতে নেয়ে নিয়ে ফিরল;


ওই ঝোপে জোনাকিরা হীরা হয়ে জ্বললো,
ঝিকিমিকি ছন্দেতে রাত্রিকে সাজালো;


যার তরে ধরনী আজ স্বল্লাসে হাসলো,
সে যে মোর স্বর্গরানী পৃথিবীতে আসলো;


শুভ হোক শুভ হোক তোমার এই আগমন
সুখে থেকো পাশে রেখো ভালবেসে আজীবন।