জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )-এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )-এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:2782cc4c-711d-4403-b8f7-50c47540831c;id=14972024-03-29T05:58:39Zhttps://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20160814030624/ঈশ্বর (দুই)2016-08-14T03:47:56-04:002023-06-27T05:52:24-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>স্বর্গীয় সুর ছিলো আদিম সেই বেহালায়,<br />অলিম্পাস পর্বতে নেকটারের পেয়ালায় নিমগ্ন ঈশ্বর,<br />পাশেই বিবাহদেবী হেরা,<br />যুদ্ধদেবী এরিস,<br />ছিলেন রূপ আর প্রেমের দেবী আফ্রোদিতিও।</p>
<br /><p>ইজিয়ান তটের রাত............ <br />গ্রীক বীরদের আদিম নৃত্য, সোল্লাস!<br />উপত্যকারর সব সিঁড়ি ডিঙিয়ে গিয়ে<br />খুব সহজেই পৌছেছিলো দেবরাজের আড্ডায়,<br />কোরাস হয়েছিলো বড় আদিম এক মূর্ছনা!</p>
<br /><p>আগামেনন, ম্যানেলাউস, প্যাট্রোকাস কিংবা অ্যাকিউলিস....<br />কে যায় কার চেয়ে কম?<br />কুমারী চাই যে সবারই,<br />চাই নয়নাভিরাম নীলনয়না কিশোরী!<br />যতো বড়ো বীর, ততো পাশব তার পৌরুষ, <br />সুতরাং রাতভর জান্তব উল্লাস-বীরের আদিম হুঙ্কার!<br />দেবতাময় আকাশ আর ভোগময় জমিন,<br />সেই রাত ছিলো শুধুই কামময়!</p>
<br /><p>ঢুলুঢুল চোখ ছিলো দেবরাজ জিয়াসের<br />ভীষণ কামুক এক ঈশ্বর!<br />নাকে মুখে আফ্রোদিতির চুল, নিশ্বাসের ঘ্রাণ<br />তাঁকে করে তুলেছিলো আরো কামুক আরো নেশাতুর।</p>
<br /><p>সুতরাং যতো পারে পুড়োক ট্রয়!</p>
<br /><p>আর ট্রোজান কিশোরীদের আর্তচিৎকার?<br />না তো, <br />মোটেও এতোটা উপর অবধি পৌছুবার অনুমতি নেই,<br />ছিলো না কখনোই.........<br />নারীর কান্না, সেতো খুব মামুলী ব্যাপার!<br />অতএব পেরোতে পারেনি উপত্যকার ধাপ একটাও।</p>
<br /><p>ইজিয়ান পাড়ের আঁধারেই মিলিয়ে গিয়েছিলো সতীচ্ছদ্যের সব অপমান, সব বেদনা-যন্ত্রণা,<br />সাগরের পানিতে আরো নোনতা বাড়িয়েছিলো প্রবাহমান শোণিতধারা!</p>
<br /><p>খুব অদ্ভুত!<br />যতোবারই এখানে রক্তের হোলিখেলা হয়েছে,<br />কিংবা মানবতা কেঁদেছে,<br />ততোবারই ঈশ্বর নিমগ্ন ছিলেন পানশালায়!</p>
<br /><p>ঈশ্বর একাত্তরেও ছিলেন............<br />হয়তো ছিলেন বধ্যভূমির নিশ্ছিদ্র পাহারায়<br />কিংবা ক্রমশ এগিয়ে আসা সপ্তম নৌবহরে মাস্তুলের আগায়।</p>
<br /><p>ঈশ্বর আজও আছেন আজন্ম তৃষ্ণার্ত বালুময় সাহারায়,<br />তিনি বেঁচে থাকেন বড় বিচিত্র এক তৃষ্ণায়!<br />ছাপছাপ রক্ত উড়ে ঈশ্বরের সব পতাকায়,<br />ঈশ্বর স্মিত হাসেন- <br />যখন নতুন কোন লাশ তাঁর জমিনে উর্বতা বাড়ায়।</p>
<br /><p>ভীষণ করুণ সুর বাজে দূরের সব একতারায়,<br />রক্তের নদী হয় হলি আর্টিজান, শোলাকিয়ায় !<br />আমি ঈশ্বর খুঁজি-<br />শিয়া মসজিদের মোয়াজ্জিন, রামুর বৌদ্ধবিহার <br />কিংবা পঞ্চগড়ের মঠে পুরোহিতের রক্তধারায়।</p>
<br /><p>রাতগভীরে কান্না শুনি<br />চিনের হানজেন সড়কের গীর্জার বেহালায়।<br />আর মদ্যপ ঈশ্বর......<br />যথারীতি পানশালায়!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20160330104603/নেফারতিতি2016-03-30T22:58:34-04:002023-06-25T01:25:25-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>অ্যালোভেরা পাতার আড়ালে লুকিয়ে সূর্যটা,<br />প্রাতঃস্নান শেষে নীলনদের জলে আবক্ষ দাঁড়িয়ে নেফারতিতি!<br />অত:পর আরো কাছে এলো,<br />ক্রমশ নেমে এলো জলভেজা মিহি লিলেন অবধিঃ<br />বায়ু দেব আমুনের হিম পরশে মুদিত নেফারতিতির লাজুক চোখ।<br />জলভেজা চুল,জলার্দ্র ভ্রু-ঠোঁট!<br />কিছুটা কাঁপছিলো কি সে? হয়তো......<br />আর ভয়ে ভয়ে একসময় জানতে চেয়েছিলো, <br />কে তুমি?<br />তিনহাজার বছর আগের তরুণ সূর্যটা উত্তরে বলেছিলো,<br />-আমি আতেন, তোমার কাছে এসেছি,<br />এসেছি তোমাকে উষ্ণতা দিতে।</p>
<br /><p>নেফারতিতি বিড়বিড় করেছিলো... <br />কেন?<br />-তোমাকে ভালোবাসি তাই,<br />তুমি দেবরাজ আমুনকে ভুলে যাও!<br />নাও, জড়িয়ে ধরো.....<br />সব লজ্জা, সব ভয় কেটে যাবে, বড় প্রেমোদ্দীপ্ত কন্ঠ ছিলো আতেনের।<br />তখন ফিসফিস করেছিলো কি নেফারতিতি?<br />হয়তো বলেছিলো, আর.....?<br />-আর কি! তুমি আমার হবে, <br />এই সারা জগত তোমার হবে।<br />একদিন ব্যাবিলনের নক্ষত্ররাত হারিয়ে যাবে,<br />এমন কি ঐ টাওয়ার অব ব্যাবেলও ধ্বসে যাবে!<br />তবুও এই মরু সাহারায় <br />আবক্ষ তুমি ঠিক রয়ে যাবে!</p>
<br /><p>ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150521040013/বয়সের বাড়ী2015-05-21T04:03:38-04:002023-06-25T01:25:25-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>মাঝে মাঝেই স্মৃতির কয়েদখানা ভেঙে যায়, <br />জিইয়ে উঠে দুরন্ত শৈশবের ক্ষণেরা,<br />সময়ের ধূলো ঝেড়ে স্বশরীরে উঠে আসে;<br />এদিক ওদিক পায়চারী করে- <br />খুবই চেনাজানা গতিময় সেই দিন গুলো!</p>
<br /><p>ওখানে না ছিলো কোন হীনমন্যতা, <br />না কোন জীর্ণতা;<br />চারিদিকে উড়ে বেড়াতো রঙবেরঙ প্রজাপতি স্বপ্নেরা;<br />পাখা মেলতো ঘাসফড়িঙ ইচ্ছেরা!</p>
<br /><p>বয়স কম ছিলো বলে কতো আফসোস!<br />মনে হতো যে বয়স আসবেই কোত্থেকে? <br />সব তো গিয়ে বাসা বেঁধেছিলো সেই-<br />স্কুলের পথে খাল পাড়ের বুড়ো পাকুড় গাছটায়,<br />আর নরেণ মিস্ত্রীর নব্বই পেরোনো ঠাকুর্দার ঢিলেঢালা ত্বকের ভাঁজে,<br />ঘোলাটে চোখের সরু চাহনিতে, দন্তহীন চোয়ালে।</p>
<br /><p>বাকীটুকু সময় একাই দখলে রেখেছিলো<br />আকরম ব্যাপারীর শতবর্ষী বৈঠক খানার <br />দখিন বারান্দায় পা ভাঙা তেলচিটে হেলানো বেঞ্চিটা!</p>
<br /><p>ওসব কিছুই আর এখন চোখে পড়ে না;<br />সব গিলে খেয়ে সময় আরো বলবান, <br />আরো হৃষ্টপুষ্ট এখন;<br />পাকুড় গাছের দেহে বয়সের বাসা সেই কবেই ভেঙেছে;<br />প্রজন্ম দেখবে এখন বয়সের গড়া নতুন কোন বাসা;<br />ঠিক এখানে বা ওখানে, নতুন কোন দেহে!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150415093412/বৈশাখ2015-04-15T09:37:34-04:002023-06-25T01:25:25-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আজো এখানে বৈশাখ আসে <br />আধ পাঁকা শাইল ক্ষেতের আলপথ ধরে;<br />কৃষকের নাকে গোমট বাতাসও সোনার গন্ধ মাখে,<br />নতুন সুখের স্বপ্নে মোড়া দেহ দিনভর ঘামে ভেজে, <br />চারপাশে টক-নোনতা গন্ধ ছড়ায়।</p>
<br /><p>কখনো কখনো দেয়ার ডাকে আকাশ ফাটে<br />গারো পাহাড়ের উপরে সাজে আরেক পাহাড়!<br />বৈশাখ চোখ রাঙায় নতুন ধান শুকোবার একচিলতে উঠোনের কৃষাণীকে,<br />অতর্কিতে এসে ধুয়ে নেবে- <br />দিঘীর তলা থেকে উঠানো এঁটেল মাটি আর গোবরের লেপ; <br />উড়িয়ে নেবে বসত আর গোয়াল ঘরের চালের জীর্ণ ছাউনী;<br />তছনছ করে দেবে বিয়ের বয়েসী মেয়ের-<br />তোলা জলে গা ধোয়ার বাঁশের পুরনো বেড়া!</p>
<br /><p>টানটান দুপুরে কাঁচামিঠে আমের ছায়ায়<br />মেটো বাসনে জল ভাসা লম্বাটে আমের ফলি; <br />কাঠালের রোম উঠা মজি,<br />সর্ষে বাটা আর মরিচ গুঁড়োতে মিশে এ পাড়ায় ষোড়শীর বৈশাখ হাসে, <br />চোখে তৃপ্তির জল আনে; খুনসুটিতে যায় ভেসে। </p>
<br /><p>সুতো কেটে আটকে থাকা লাল বেগুণী ছাপের ঘুড়িতেই<br />ডানপিটে কিশোরের বৈশাখ দিনভর ঝুলে<br />তেপথার বুড়ো অশত্থের ডালে ।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150413065830/বিবর্তন2015-04-13T07:02:11-04:002023-06-25T01:25:23-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>একদিন নদী ছিলাম আমিও<br />আর তুমি জল;<br />এক শ্রাবনে বয়ে গেলে কূল ছাপিয়ে-<br />ভেজালে; ভাসালেও।</p>
<br /><p>ক্রমশ জল হলাম এই কূল হারা আমিও;<br />বয়ে যাই অচেনা সব নদীতে....</p>
<br /><p>অত:পর একদিন আমি পানা হবো;<br />থাকবো পড়ে একদম নিশ্চল- <br />কোন এঁদো ডোবার জলে;<br />আর তুমি?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150412064655/জল রঙের চিত্রকর2015-04-12T06:53:19-04:002023-06-25T01:25:23-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>এবার খুলেই দিলাম কবিতার দোর<br />সে যাক চলে,<br />ছেড়েই দিলাম উজাড় করে,<br />করে দিলাম একদম মুক্ত তারে <br />কিশোরী প্রেমিকাটির মতন।</p>
<br /><p>খোলা চুলে ছুটুক সে ইচ্ছে যতো,<br />হাঁটুক লাজুক রোদে, হাসুক দুষ্টুমি ভরা মুখে;<br />বনে-বাদারে ঘুরুক আলতা ভেজা পায়ে।</p>
<br /><p>অতঃপর দিনের শেষে আবার আসুক ফিরে<br />ঢলুঢলু চোখ আর আলসি নিয়ে একবুক,<br />চুপচাপই থাকুক না বসে পাশে;<br />অথবা ঢলেই পড়ুক গভীর ঘুমে এ বুকে।</p>
<br /><p>আর আমি তুলি হাতে- <br />জল রঙের সুনিপুণ চিত্রকর এক<br />তার ঘুমের দেশের মুখাবয়ব আঁকি.....<br />ঠোঁট আঁকি, মুখ আঁকি;<br />আঁকি কাজল টানা কবিতার চোখ;<br />আমার কবিতার স্কেচ আঁকি নিখুঁত।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150411010919/অনুভব2015-04-11T01:13:01-04:002023-06-25T01:25:23-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কখনো ইচ্ছে হয়, নিরবে অস্তিত্ব বুঝি নিজের...<br />মন দিয়ে শুনি- <br />ভেতর থেকে কেউ বলে কিনা যে, <br />তুমি বেঁচেই আছো ঢের।</p>
<br /><p>সময়ের স্রোতে সাঁতারকাটা মোটেও কিন্তু ডালভাত নয়!<br />তবুও কেউ কেউ জেনেই যায় কৌশল....<br />হয়তো তুমিও শিখে গেছো ঢের;<br />জেনেছো কিভাবে নিজেকে না ভিজিয়েই<br />পেরোতে হয় সময়ের মৌসুমী নদী।</p>
<br /><p>আর আমি আজন্ম ডুবে যাই... <br />সবাই তো আর উভচর হয় না, চাইলেই পারে না ফিরে যেতে- <br />বিবর্তনের ধারায় একদিন ছেড়ে আসা ফুলকায়!<br />প্রকৃতিই সে সুযোগ দেয় না, তাই সবাই টিকে থাকে না।<br />অন্তত ভারসাম্য রক্ষার জন্যই কেউ কেউ চিরঅক্ষম থেকে যায়;<br />ডুবে যায়, বিলীন হয়, তলানী হয়।<br />উপর দিয়ে প্রহরের গাঢ় স্রোত বয়, <br />আর সে হয় কোন নতুন পলল ভূমির উপকরণ!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150302081233/একদিন আমিও নদী ছিলাম2015-03-02T08:14:13-05:002023-06-25T01:25:23-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>একদিন আমিও নদী ছিলাম<br />আর তুমি জল;<br />এক শ্রাবণে বয়ে গেলে কূল ছাপিয়ে....<br />ভেজালে; ভাসালেও।</p>
<br /><p>ক্রমশ জল হলাম- <br />এই কূল হারা আমিও;<br />বয়ে যাই অচেনা সব নদীতে....</p>
<br /><p>অত:পর একদিন আমি পানা হবো;<br />পড়ে থাকবো নিশ্চল-<br />কোন এঁদো ডোবার জলে......</p>
<br /><p>আর তুমি?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150213094127/বসন্ত2015-02-13T09:46:33-05:002023-06-25T01:25:22-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>হ্যাঁ এসেই যায় তবুও-<br />আসেই বসন্ত;<br />লেগেই যায় রঙের ঢেউ<br />এখানে না হোক, ওখানে হলেও।</p>
<br /><p>বাসন্তী না হোক;<br />নাই হোক পলাশ কিংবা শিমুল-<br />বনসাই স্বপ্নের ভাটফুলের ঝোঁপেও <br />আসেই শিহরণ-<br />নিতান্ত সাদামাটা হলেও।</p>
<br /><p>কারো চোখে পড়ুক বা না পড়ুক<br />রঙ লেগেছে;<br />ভেতর বাহির সর্বত্রই,<br />পুলক প্রকৃতির লুকনো অঙ্গেও।</p>
<br /><p>হ্যাঁ আজ বসন্ত;<br />অন্তত- <br />কারো মনে তো এসেছেই।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150211091222/থাকুক ওরা ওদের মতই2015-02-11T09:15:42-05:002023-06-25T01:25:22-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ওদের কথা বাদ দাও;<br />থাকুক না ওরা ওদের মতই-<br />যারা তোমাকে কালো বলে!</p>
<br /><p>আর তাতে মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিয়ে যাওয়া-<br />অবিবেচক আয়নাটা!<br />বড্ড লোভী হয়েছে আজকাল,<br />হয়েছে চোরও-<br />শুধুই তোমার রূপ চুরি করে!<br />করুক তবে-<br />তার ভার আমাকেই দাও ছেড়ে;<br />নির্ঘাত ভেঙে যাবে হিংসার বিভেদতল; <br />হারিয়ে যাবে সে উৎসমূলে-<br />কোন আদিম ঝড়ে!</p>
<br /><p>আর এই আমি?<br />কখনো ঠিক চণ্ডালই হবো!<br />প্রেমের আগুনে আফ্রোদিতির দেহ পোড়াবো; <br />জিয়াসের ভান্ডারের সব সৌন্দর্য লুটে-<br />দ্যাখো এই পায়ে দেবো;</p>
<br /><p>অতঃপর সময়ের চাকা থামিয়ে<br />পাথর চোখে শুধুই দেখবো-<br />এই তোমাকে, যেমনটা আছো তুমি।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150209063052/বীভৎস পম্পেই যেন2015-02-09T06:32:54-05:002023-06-25T01:25:22-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>পুড়ে খাক বুকের নদী;<br />অলিগলি;<br />নৈশ কোচের নিশ্চিন্ত ঘুমের স্বপ্নেরা;<br />ছোট, মাঝারী আর বড়;<br />পুড়ে যায় জল সমেত; প্রাণ সমেত-<br />অগ্নি লাভায়;<br />বীভৎস পম্পেই যেন!</p>
<br /><p>তবে আর কুম্ভকর্ণের ঘুম কেন?<br />জেগে উঠুক ঘুমন্ত কলমের ঠোঁট সব-<br />বিষ্ণুর বাহন সর্পগ্রাসী গরুড়ের মতন;<br />ধেয়ে আসুক লেলিহান জিহ্বায়-<br />আর ভাবনারাও ফণা তুলুক ;<br />বাসুকীর মতন!<br />চলুক কি-প্যাডও<br />এভাবেই- <br />বিরামহীন সাইক্লোন আসুক।</p>
<br /><p>আর কোন নদী নয়- <br />লুকনো বুকে কারো;<br />এবার তবে ঈশ্বরের কুশন জ্বলুক; <br />পুড়ে খাক হোক;<br />জ্বলুক অন্তত এক আসমান- <br />অত:পর <br />তিন, পাঁচ........ <br />এভাবেই- <br />ক্রমশ সপ্তম অবধি!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150208023548/একশো আট নীল পদ্ম হই2015-02-08T03:00:11-05:002023-06-25T01:25:22-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>অত:পর মাতাল ডোমের মতন<br />নামে রাত -<br />কাক কালো ডানায় চেপে;<br />নখর লোমশ হাত!<br />বুকে টানে পরম খাতিরেই- <br />ভাবনার গুহায় বন্দি আমারে।</p>
<br /><p>আমি তো সটান পড়ে<br />বিবেকের সফেদ টেবিলে-<br />টুকরো টুকরো হই;<br />কষ্টের নীল একশো আট পদ্ম হই!</p>
<br /><p>তৃষিত প্রাণ তবুও<br />বয়ে যায় প্রহরের উল্টো স্রোতে<br />ক্রমশ উড়ে যাই ঐ সুদূরে-<br />পম্পেই, অলকা কিংবা <br />দূর হরপ্পা মহেঞ্জোদারো বরাবরে;<br />সময়ের ঘরে; <br />ধূলোর বিছানায়-<br />যেখানে ঘুমায় পায়ের ছাপ তোমার।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150207084750/দেখে যেও তুমিও2015-02-07T08:57:10-05:002023-06-25T01:25:20-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আরো বছর কুড়ি পরে<br />এসো একদিন এখানে;<br />পাবে- <br />স্বাধীন রাজ্য এক তোমার পথের ধারে<br />নেই নিয়ন্ত্রণ তেমন প্রবীণ ঈশ্বরেরও ; <br />অসহায়;<br />ছানাবড়া চোখ তার;<br />চেয়ে থাকে।</p>
<br /><p>এসো, দেখে যেও তুমিও- <br />সেই সরোবর; <br />দিনেদিনে বিস্তার গেছে বেড়ে-<br />ক্রমশ বিবর্তিত অথৈ সাগরে;<br />পাহাড় সমান ঢেউ তুলে.নাগ পঞ্চমী এলে<br />এখানে-<br />সেই প্রেমের নীল আগুন জলে।</p>
<br /><p>কে মাপে গভীরতা এর;<br />আছে কার এত সামর্থ্য-জোর?<br />কোথায় সেই অনন্ত দড়ি-সুতো!<br />অনায়াস টান পড়ে যে- <br />স্বয়ং ঈশ্বরের গজ ফিতেতেও!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150131092845/বিপ্রতীপ জীবনের সমীকরণ2015-01-31T09:32:54-05:002023-06-25T01:25:20-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কাটুক তবে<br />এভাবেই চণ্ডাল প্রহর; থাকুক পড়ে- <br />প্রাণের বদ্ধকূপে নির্জলা,<br />আগুন নদীর জলজ জীবন।</p>
<br /><p>ততদিনে বেশ শিখে যাবো আমিও<br />বিবর্তিত ফুলকার কার্যকরী সমীকরণ;<br />জেনে যাবো অনেকটাই- <br />কিভাবে দখলে নিতে হয় অক্সিজেন<br />এঁদো ডোবার কাদা জল থেকেই-<br />চৈত্রের কোন জিওলের মতন।</p>
<br /><p>সবার তো আর জোটে না জল- <br />নদী-সরোবর কিংবা অবারিত সাগরে!</p>
<br /><p>আমি না হয় একদিন-<br />ফণীমনসার কাঁটার কাছেই যাবো<br />রপ্ত করবো অতি সঙ্গোপনে- <br />কিভাবে অনায়াসেই বেঁধে ফেলে তারা<br />ভাসমান জল কণাদের সূচাগ্র কাঁটায়-<br />ভোরের শিশিরে।</p>
<br /><p>দেখো বেঁচেই থাকবো তবু,<br />শিখে যাবো ঢের-<br />কিভাবে বাঁচাতে হয় প্রাণহীন প্রাণ <br />গভীর কোমায়;<br />তোমার স্বপ্নে গড়া ইনসেন্টিভ কেয়ারে!</p>
<br /><p>তাই কাটুক তবে-<br />এভাবেই চণ্ডাল প্রহর;<br />সময়ের চরকায় সুতো কেটেই<br />চলুক তবে এই বিপ্রতীপ জীবন।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150129061004/তেজস্ক্রিয়তা2015-01-29T06:12:44-05:002023-06-26T18:44:09-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>যে আবেগ হৃদয়ের গোপন ভাঁজে রেখে- <br />পুড়ে খাক বুক,<br />কবিতার দেহে তা রাখার সাহস কই?</p>
<br /><p>কিছু কিছু কবিতা এমন তেজস্ক্রিয় হয়, <br />লিখতে গেলে কাগজ নয়-<br />আজো ঠিক গুহা গাত্রই ভীষণ প্রয়োজন হয়!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150128035056/মাংসাশী সরীসৃপ অনুভূতিরা2015-01-28T04:05:33-05:002023-06-26T10:19:33-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>চারপাশটা বড্ড গা ঘিনঘিনে;<br />পাতার আড়াল আর ঘাসের ভাঁজেই লুকিয়ে-<br />সোনা রোদের ভোর;<br />পরিত্যাক্ত ভিটের মতন আগাছায় ছেয়ে....<br />ভীষণ মরচেধরা!</p>
<br /><p>ঝরা পাতা পঁচে বুঁদবুঁদ উঠা এঁদো ডোবার মতন,<br />যত্রতত্র সরীসৃপের সাবলীল বিচরণ;<br />অসংখ্য, ঝাঁকে ঝাঁকে-<br />আগে তৃণভোজী, সবুজ খেকো ছিলো ওরা,<br />খুব শীঘ্রই যৌক্তিক বিবর্তন ঘটবে, <br />মাংসাশী হয়ে উঠবে এদের চোয়াল!</p>
<br /><p>তবুও বেশ থাকি ভয়হীন; <br />লাশের আবার মৃতের ভয় কি!<br />উঠোনের কোণে অবহেলার ইটের নিচে নিষ্পেষিত-<br />ক্লোরোফিল হারা জীর্ণ ঘাসের মতন <br />নেতিয়ে যাওয়া অনুভূতি গুলো...<br />আঁকড়ে ধরি পরম উদ্যমে, সোৎসাহেই তুলে-<br />হৃদয়ের ওমে আবার তা দেই।</p>
<br /><p>যাক তবে সময়.......এভাবেই;<br />আর নিজের শববাহী এই আমিও<br />নিরলস কদম গুনি কাঁকর পথে;<br />দেখা যাক জীবনের শ্মশান কতদূর!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150124063440/অক্টোপাস সময়2015-01-24T06:35:53-05:002023-06-25T01:25:19-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ঘুমায় প্রবীণ রাত-<br />নিয়ন নগরীও গভীর কোমায়;<br />জ্বলছে রাজপথ, গোটা দেশ।<br />তবুও চারপাশ শুয়ে বসে- <br />নিরবতা সুনসান;<br />ঈশ্বরও আছেন বেশ!</p>
<br /><p>বিষাদ-তেঁতো মন; নিভৃতে কাঁদে- <br />অসহায় কিছু কবিতার প্রাণ।</p>
<br /><p>তেড়ে আসা মাংসাশী সময়;<br />জ্যান্ত পথিক পোড়ায়; <br />হলদেটে বিবেক বহুরূপী অক্টোপাস;<br />চতুষ্পদ রাজনীতি চোখ রাঙায়!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150123082937/উহ্য আমি2015-01-23T08:39:59-05:002023-06-25T01:25:19-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>চলছে সময় গ্লাইডিং চলনে,<br />চলছি উহ্য-<br />এই আমিও, উঠছি নামছি।</p>
<br /><p>তুমি যখন তরঙ্গের শীর্ষে গলা সাধো-<br />উর্ধ্ব মুখী চেয়ে এই আমি-<br />তখন পাদে!</p>
<br /><p>মাঝ সমুদ্রের নোনা জল আর- <br />বিধ্বস্ত জাহাজের খসে যাওয়া আসবাবের মতো<br />কার্যকারণ সম্পর্কে এখানে বেতাল দুলি।<br /> <br />তবুও বেশ বেঁচেই থাকি; ভাসি ডুবি-<br />জেগে থাকি অসংখ্য পিরানহা প্রহরের ভিড়ে!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150122030711/নীলকণ্ঠ2015-01-22T03:10:31-05:002023-06-25T01:25:19-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কি ভাবছেন ?<br />ঝাঁকা জুড়ে সুখ নিয়ে এলাম; <br />কিংবা বুক জুড়ে প্রেমের সারগাম!<br />না, মোটেও তা নেই যে আমার; তবে-<br />কানাইয়ের বাঁশী ছিল একটা কোন কালে,<br />কবে যে হারালাম... মনেও নেই আজ। </p>
<br /><p>জিহ্বায় এখন বাসুকীর ফণা; ঠোঁটে পাঞ্চজন্য শঙ্খ!<br />না এখানে কোন রঙধনু হয়না আর, <br />কেননা এ প্রাণে যে বেনীআসহকলা নেই!<br />অথবা পুড়ে গেছে বুকের সেই ত্রিকোন প্রিজমটা।</p>
<br /><p>ও আচ্ছা-<br />কন্ঠে ওটা? তাই বলুন! জ্বী হ্যা, ঠিক ধরেছেন-<br />আমারও তাই মনে হয়, এটা বিষই হবে হয়তো!<br />যেখানে ছিলাম এতকাল চারপাশ গিয়েছিল ছেয়ে<br />কণ্ঠে ধারণ করেছি তিল তিল করে!</p>
<br /><p>হ্যা, ব্যর্থই বলতে পারেন,<br />অনেকটাই ক্লান্ত আমি সাগর মন্থনে, <br />দিনরাত পথে পথেই ঘুরি…<br />অমৃত জুটেনি আমার, তাতে কী! <br />তবুও কৈলাস ছাড়িনি আমি..<br />যদি পারি হতে নীলকণ্ঠ একদিন!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150115033140/পানকৌড়ি তৃষ্ণা2015-01-15T03:46:49-05:002023-06-25T01:25:17-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ইঞ্চি আটেক জলের ডোবায় শেকড় ঝুলিয়ে<br />ঢোল কলমীর গাছেরা যেভাবে দিব্যি ফাল্গুন কাটায়, <br />জল না ছুঁয়েই দেহে বসন্ত নামায়।</p>
<br /><p>আমিও তেমনি নেশাতুর- <br />দিনদুপুরে রাত গভীরে নেমে যাই বুকের কূয়ায়<br />ডুব দেই-<br />বুনোহাঁস হই; পানকৌড়ি হই;<br />তলানীতে হাতড়াই- <br />সুখের শামুক গুগলির নেই খোঁজ।</p>
<br /><p>বেশ দেহ ভিজে এতে; প্রায় কাক ভেজাই হই;<br />তবুও মন কি বোঝে?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150114062536/খোঁজ2015-01-14T06:27:49-05:002023-06-25T01:25:17-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ঘর পালানো দুর্বিনীত ইচ্ছেরা<br />যখন তখন নাগরাজ বাসুকী হয়, <br />সর্বগ্রাসী ফণা তুলে; অনল বর্ষী হয়!</p>
<br /><p>বুকের কৃষ্ণগহ্বরটা নি:শ্বাসে নি:শ্বাসে<br />টেনে আনতে চায় ওজোন স্তর; ট্রপো সীমা;<br />ক্রমশ সৌরমণ্ডল; অনন্ত নভোমণ্ডল অবধি!</p>
<br /><p>নিমেষেই ঈশান থেকে নৈর্ঋত চষে ফেলে,<br />হন্যে হয়ে খোঁজে ফিরে সেই চুলের ঘ্রাণ; <br />একজোড়া স্বপ্ন ভরা চোখ; <br />সেই প্রেম মাখা মুখ!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150113052930/বেঘোর প্রলাপ2015-01-13T05:36:10-05:002023-06-25T01:25:17-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>না ফানুস আর উড়াই না আমি<br />আজকাল উড়াতে ভুলে গেছি রঙিন ঘুড়িও।</p>
<br /><p>বড় নিষ্ঠুর আর নিষ্প্রাণ এরা-<br />বন্ধ করেছে সবুজ দেখার দখিনের জানালাটা,<br />চৈত্রের টানে জান বাঁচাবে জলের যে শেষ ফোঁটাটা,<br />জানি অবশেষে কেড়ে নেবে তাও!</p>
<br /><p>মনে নেই? <br />কেঁদেছিলাম অনেক সেদিন, <br />দাঁড়কাক, চিল, শকুন আর ইলেক্ট্রিক তারের কাছে- <br />নির্বিচার বর্গা গিয়েছিলো আমার আকাশটা-<br />অবশেষে কাঁটা তারের ব্যারিকেড এখন সিঁড়িতে,<br />তাও দেখতে মানা; কথায় কথায় জরিমানা!<br />সশ্রম কয়েদী এক লখিন্দরের বাসর ঘরে;<br />কোমায় প্রহরের বীট গুনি; প্রলাপের ভিত বুনি।</p>
<br /><p>একদিন কায়ক্লেশে সময়ের স্রোত থামিয়ে-<br />তন্নতন্ন হয়েছিলো ঈশ্বরের লুকনো সিন্দুক অবধি!<br />অত:পর জবর দখলেই ফিরিয়ে আনা এই জীবন।<br />সূর্যের আলো থেকে প্রিজম যেভাবে টেনে আনে <br />বর্ণালীর সাতরঙ; এখানেও-<br />নিশ্চয়ই কোন বেহুলা বাজিয়েছিল প্রাণের সাতসুর;<br />ফুটেছিল যৌবন, এখানটা হয়েছিলো বসন্ত রঙিন।</p>
<br /><p>এবার গ্রাস হবে আঁধারচারী আরশোলার,<br />প্রাণ খেকো ঘুণপোকার, নরকের কীটদের-<br />তেড়ে আসা প্রেতাত্মার, <br />হোক তবে, সাবাড় করুক খেয়ে!<br />তবু নেই কোন আফসোস।</p>
<br /><p>এ জীবন যাবে যাক ভেসে গাঙুরের জলে,<br />তবু আমার রাতটুকু থাক এই নিষ্প্রাণ চরে, <br />অন্তত আলোর জোনাকটা হলেও থাকুক বেঁচে।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150112011413/দানব পৌষ2015-01-12T01:21:16-05:002023-06-25T01:25:17-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>সহসাই বেড়ে গেছে পৌষের রেষটা, <br />হিংস্র দানব যেন দাঁতাল রাতটা! <br />নিশাচর বুভুক্ষা তেড়ে আসা শীতটা- <br />আস্তই গিলে ফেলে রাহু সমেত চাঁদটা!</p>
<br /><p>করুণ চাহনির নিভু নিভু চোখে<br />প্রৌঢ়ের মতো আসে দুরুদুরু বুকে<br />পাংশু-পাণ্ডুর একচিলতে ভোর;<br />রুগ্ণ দেহে একদম নেই জোর।</p>
<br /><p>কুয়াশার বালিশে ঐ কুঁড়ে আকাশটা<br />নিশ্চিন্ত ঘুমিয়ে পার করে দিনটা; <br />অসহায় সূর্যটাও থরথর কেঁপে <br />প্রাণপণ ওম চায়, ঈশ্বর জপে!</p>
<br /><p>শিশু-বুড়ো সবি' যে সৈনিক যুদ্ধের<br />যা আছে তা নিয়েই প্রস্তুতি রণের;<br />নেই কোন গতি আজ দরিদ্র-সর্বহারার<br />দুর্দিনে তাই আর কে রাখে খোঁজ কার?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150109083019/জাগে নতুন প্রাণ2015-01-09T08:32:12-05:002023-06-25T01:25:15-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ক্রমশ মিলায় আবার কার্তিকের টান<br />বাতাসে ভাসে যে তার ভেজা আঘ্রাণ! <br />এ বুকের ফল্গুধারায় জাগে নতুন প্রাণ;<br />নিসর্গ নেচে উঠে, গায় আনন্দ গান;<br />হৃদয় এস্রাজে বেজে চলে প্রেমের তান-<br />জাগি আমিও, ডাকে চরা গাঙে বান!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150108100717/অন্য কোন আকাশ তলে2015-01-08T10:09:34-05:002023-06-25T01:25:15-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>জানি তো প্রাণের সলতে ঠিক ফুরোবেই;<br />পুড়ে খাক হবো কিংবা উবে যাবো একদিন।</p>
<br /><p>তবু, জেনে রেখো-<br />আবার সময়ের উর্ধ্ব পাতনে জমাট হবো;<br />এই অনিষিক্ত প্রেমের জলে-<br />অনায়াস নাব্যতা পাবে ঈশ্বরের হাতের তালু অবধি;</p>
<br /><p>ঠিক দেখো সেদিন-<br />মহাকালের ঢাকনার অধ:পৃষ্ঠে প্রেমের বান নামবে!<br />সুখের উপত্যকা গড়িয়ে নেমে যাবো;<br />অন্তত বিন্দু বিন্দু করে হলেও এক হবো।</p>
<br /><p>অতঃপর জড়ো হবো ফণীমনসার কাঁটায় <br />পৌষের শিশিরের মতন;<br />ঠিক এই তুমি আর এই আমি; <br />শুধুই আমরা;<br />মিলবো অন্য কোন আটপৌরে আকাশ তলে।</p>
<br /><p>আবার সজীব-কোমল হবে,<br />প্রাণ আসবে এই ব্রহ্মপূত্রের উবে যাওয়া জলে, <br />পায়ে পায়ে এঁদো হবে আবার নতুন কোন কদমতল।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150105075105/তোমার অরবিটে আমার আবর্তন2015-01-05T07:52:47-05:002023-06-27T16:50:06-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>উবে যায় আস্ত দিনটা কর্পূরের মতো, <br />আঁধারের চোয়ালে পিষে ক্ষয়ে যায় আটপৌরে রাতটাও;<br />তবু, আমি ঠিক এখানেই থেকে যাই;<br />আদিম রাত জুড়ে আঁধারের কদম গুনি,<br />আর ঘুমন্ত রঙধনুর বাঁক থেকে রঙ এনে <br />জোনাকের তুলিতে চেনা অবয়ব আঁকি।</p>
<br /><p>অষ্টপ্রহর থাকি মিলেমিশে এই শিশিরের ভোরেও;<br />প্রত্যূষের নরম রোদে অদৃশ্য রেখপথে আবর্তন করি;<br />অবিরাম এক নেশাতুর অরবিটে, প্রদক্ষিণ করি তোমাকে।</p>
<br /><p>দিনের আলোতে যেভাবে আকাশের বিছানায় ধ্রুবতারা জাগে<br />কিংবা গাঢ় মেঘমালার ওপারে যেমন<br />চিরকুমার আইবুড়ো সূর্যটা ভাবনায় থাকে ডুবে;<br />আর লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেয়সীর ভালোবাসার মাত্রা মাপে;<br />তেমনি আমি ধূলোর পথে তোমার পায়ের ছাপ গুনি।</p>
<br /><p>অত:পর মধ্য পৌষের পান্ডুর-কুঁড়ে দুপুরের মতো <br />শুধু তোমাতেই একফোঁটা উষ্ণতা খুঁজি।<br />দিনভর হেঁটে ক্লান্ত ঘর্মাক্ত বাতাসের গা থেকে<br />তোমার উষ্ণ দেহের ঘ্রাণ শুঁকি; তোমার বারতা শুনি।</p>
<br /><p>পরিশেষে সময়ের জমাট লাভাতে তলিয়ে যাওয়া জলাশয়ে ডুবি';<br />আমৃত্যু লেহনে তোলা প্রাচীন শব্দে তোমার কাব্য লিখি।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20150102064723/আঁধারেই সুনিপুণ ভাস্কর্য গড়ি2015-01-02T06:49:14-05:002023-06-25T01:25:15-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>বেঘোর ঘুমাও তুমি নিষ্প্রাণ ইটের প্রাসাদে;<br />নির্ঘুম নিশাচর আমি যোজন যোজন দূরে<br />এখানেও ঘুমায় সাঁওতাল কুমারীর মতো সাদামাঠা রাত।</p>
<br /><p>ক্রমশ দিগন্তে মিলায় এক ফালি কিশোরী চাঁদ<br />আমি আঁধারের দেহেই সঁপে দেই প্রাণ ;<br />অতঃপর স্বহস্তে চলে সপ্রাণ সুরতহাল।</p>
<br /><p>জেগে থাকে ভাবনার সাঁড়াশি আঁঙুল আমার,<br />তন্নতন্ন হয় রাতের অবয়ব, নির্মেদ সমগ্র দেহ<br />ব্যাপক তল্লাশি চলে হারিয়ে যাওয়া সুখের উৎসমূলের; তোমার।</p>
<br /><p>আবার কখনো হারাই দূর থেকে দূরান্তরে, <br />চলে যাই পম্পেই; অলকা; শ্রাবস্তী কিংবা<br />বিধ্বস্ত হওয়া অতি প্রাচীন অন্য কোন নগরে।</p>
<br /><p>সপাট খুলে যায় সিংহদ্বার, কড়িকাঠহীন আবরণহীন....<br />উন্মুক্ত পড়ে থাকে স্মৃতির জাদুঘর, প্রেমের পিরামিড; <br />সময়ের সীলগালা ভেঙে, ধুলোর আস্তরণ ঝেড়ে-<br />একে একে দ্বিধাহীন স্বশরীর উঠে আসে ফসিলেরা, মমিরা!<br />অবলীলায় বুকের উপত্যকায় চেপে বসে জগদ্দল পাথর সমান।</p>
<br /><p>তবু আশাতেই বুক বাঁধি পাথরেই ফিরাবো প্রাণ!</p>
<br /><p>যতই গাইতি-শাবলে প্রাণপন পাহাড় ভাঙি; <br />ততই সুরঙ্গ পথে ফিনকি দিয়ে আঁধার আসে,<br />বানের জলের মতোই দুচোখ যায় ভেসে! </p>
<br /><p>অতএব আমি কায়ক্লেশ আঁধার কাটি;<br />অবশেষে আঁধারেই তোমার সুনিপুণ ভাস্কর্য গড়ি;<br />এখানটা এখনও স্বাধীন রয়ে গেছে বেশ; <br />সিংহদ্বারে তোমার পতাকাই উড়ে।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141231065216/ভাবনার খিড়কি পথে2014-12-31T07:12:58-05:002023-06-25T01:25:13-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ঐ চেয়ে দেখো-<br />কিভাবে লেজ গুটিয়ে তল্লাট ছাড়ে বুনো আবেগ! <br />কোথায় আজ ইচ্ছের সেই দুর্বিনীত চিতাটি?<br />ইজি চেয়ারে ঠেস দেয়া ছড়িতে করুণ চোখে চেয়ে-<br />রাজসিক যৌবনের সকল স্বপন, সকল উচ্ছাস!</p>
<br /><p>একদা প্রেয়সীর পায়ে অবলীলায় পোষ মেনে যাওয়া- <br />ঈষাণ নৈর্ঋত টলানো সেই নাচের মুদ্রাগুলোও<br />ক্রমশ আটপৌরে প্রৌঢ়ার দেহে প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায়; <br />দিবা নিদ্রার ঝিমুনিতে বেতাল, কিঞ্চিৎ দুলে মাত্র!</p>
<br /><p>তবুও মাঝ আকাশে চতুর্দশী রাতে<br />আজো কেন পূর্ণিমার চাঁদ হাসে?</p>
<br /><p>পুকুর পাড়ের কাঁচা-মিঠে গাছটা ঠায় দাঁড়িয়ে,<br />কস ছড়ানো ক্ষতটা বেশ বিস্তার পেয়েছে দিনেদিনে;<br />বড়ই নিঃসঙ্গ সে, <br />পাশের জলকড়ইয়ের চারাটা নেই আর,<br />বসত ঘরের তক্তপোষ হয়েছে বছর কয় হলো।</p>
<br /><p>এখনো ঝড়ে কড়া কুড়োয় পাড়ার কিশোর-কিশোরী; <br />আমি দাওয়ায় বসে থাকি; তাকিয়ে থাকি;<br />ভাবনার খিড়কি পথে ভূত-ভবিষ্যৎ দেখি!<br />ওদেরও কারো কারো নিতম্ব ছড়িয়ে ভেজা চুল থাকে; <br />ভেজা গায়ে তেলচিটে ঘ্রাণ থাকে, লাজুক চাহনি থাকে;<br />পাজামার গিঁটে লুকিয়ে রাখা দুমড়ানো ফুল আর- <br />বৃষ্টির জল মিলে এক হয়; <br />যৌক্তিক দাগও হয়, যা চোখে পড়ে!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141229095346/স্বীকারোক্তি2014-12-29T10:01:15-05:002023-06-25T01:25:13-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আজ জানুক সত্য যা,<br />ঠিক জানুক সবাই; আমি কোন লম্পট নই।</p>
<br /><p>মোটেও উষ্ণতা কিংবা নোনতার কোন লোভ নয়, <br />বরং সেই অস্তিত্বই ছিলো আবেশময়!<br />তার হৃদয়ের ঘ্রাণ;<br />শালুকের ঝিলের মতো চোখ; চোখের ভাষা;<br />বাহুর ছাই রঙ লোম আর- <br />পানিফল রঙ পালিশহীন নখই নেশাতুর করেছিলো; <br />দিশাহীন হয়েছিলো এ চোখ; <br />পথভোলা ক্লান্ত শ্রান্ত বেদুইন আমি!</p>
<br /><p>আসলে সে অনেকটাই নদীর মতো ছিলো<br />অন্তত আমার কাছে;<br />চৈত্রের পীচগলা দিনে তৃষ্ণার্ত দাঁড়কাক <br />যেভাবে সর্বস্বত্ব অধিকার পায় -<br />কোমল নদীর যত্রতত্র ঠোঁট ছোঁয়াবার,<br />ঠিক তেমনি ছুঁয়েছে তারে এই বিরাণ প্রাণ;<br />হাতছানি দিয়েছি তার সমস্ত অস্তিত্ব বরাবরে;<br />ছুঁয়েছে হৃদয় গভীরে!</p>
<br /><p>অতঃপর কোন যৌক্তিক ঝড়ে নিখোঁজ হলে<br />তার লাজুক মন!<br />তাও ছিলো নিখাদ কার্যকারণে <br />কিংবা ছিলো অমোঘ সময়ের প্রয়োজনে।</p>
<br /><p>তবু কেন অভিসারী বল তারে?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141228102256/ঈশ্বর2014-12-28T11:00:53-05:002023-06-26T05:10:48-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>এক তৃষিত বেদুইন মৃত সাহারায়<br />পাথর জ্বলা রোদে পুড়ে <br />গেলো বলে প্রাণ তাঁর!</p>
<br /><p>খাঁ খাঁ দিগন্তে ভয়ের মৃত্যু রেখা আঁকা -<br />এরই মাঝে মরীচিকারা গড়েছে বসত ভিটা।</p>
<br /><p>অতঃপর এক ধার্মিকে পেয়ে<br />বুকে তাঁর আশার জোনাক জ্বলে; <br />আকুল শুধোয় তাঁরে- <br />এক চুমুক জল হবে? <br />প্রাণ যে ফিরে তবে।</p>
<br /><p>কুঞ্চিত ললাটে ধার্মিক ভাবে-<br />জল- সবে ফোঁটা কতক মশক তলে; <br />কিন্তু, এ যে ঈশ্বরের নৈবেদ্য তরে!</p>
<br /><p>তোর জাত-ধর্ম কী হে তবে?<br />কিঞ্চিৎ দেয়া যায় তবু,<br />যদি সে হিসেব মিলে আগে!</p>
<br /><p>বেদুইন বলে বিনীত ভাবে-<br />যদি এ যাত্রায় বাঁচি তবে,<br />হয় তুমি নয়তোে এ জলই আমার ঈশ্বর হবে।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141227092342/লিমেরিক2014-12-27T09:48:39-05:002023-06-25T01:25:13-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>(১)<br />সময় যদি নাই আসে ফিরে, যদি নাই পাই তোরে,<br />তবু এ ধূলিকেই আপন করে, এখানেই থাকব পড়ে;<br />এই মাটিরই ভাঁজ হবো কিবা তোর পথেরই ঘাস হবো<br />নয়তো শিশির কণা হবো, পথের ঘাসেই মিশে রবো।<br />ছোঁব পা পরম আদরে, শিশির জলে ভেজাবো তোরে।</p>
<br /><p>(২)<br />খুঁজিনি তো কখনোই আমি সুখের কোন পাহাড়<br />বিলিয়ে দেবো অকাতরে তাও, আছে যা আমার, <br />চাইনি তো ভরা যৌবনের কোন নদী কিংবা সিন্ধু<br />বরং ফিরে চাই ঘাসের ডগায় একটি শিশির বিন্দু!<br />বসন্ত যাবে যাক, আমি পথ চেয়ে আছি শুধু তার।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141225033953/সর্বভুক কাল2014-12-25T03:43:58-05:002023-06-25T01:25:12-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>স্বপ্ন, প্রেম, নীতি, মানবতা-উদারতার পাহাড়; <br />আমার শৈশব, কৈশোর সবই খেয়ে সাবাড়<br />আশ্চর্য! কিছুতেই কিঞ্চিত অরুচি নেই যে তার,<br />আচ্ছা বল তো, আর কত চাই তোর আহার?<br /> <br />এ বেলায় পাতে তুলেছে আমার যৌবন সাধের <br />অচিরেই চিবিয়ে চেটেপুটে খাবে বুঝে গেছি ঢের<br />পারে তো এক লহমায় গোগ্রাসে যেন গিলে নেবে!<br />লোভী রাক্ষুসে সময় তোর কত গভীর খিদে তবে?</p>
<br /><p>একদিন এভাবেই ডালপালা খেয়ে একেএকে,<br />ঠিকঠাক এদিকে নিশানা হবে ঐ শ্যেন চোখে,<br />লোভের চোয়াল জুড়ে শাণিত দাঁত ঐ চকচকে <br />অবশেষে আস্তই খাবে যে অবলীলায় আমাকে! </p>
<br /><p>সুতরাং নয় আর কোন অপেক্ষার প্রহর,<br />থামাতে হবে বিধ্বংসী খিদের কৃষ্ণগহ্বর , <br />সাধ, আহ্লাদ কবেই পুরেছে সেই অথৈ উদর<br />উদারতা ভুলে আজ হবো রক্তপায়ী গদাধর।</p>
<br /><p>অধরের ভাজে মোটেও ওম নেই আজ প্রেমের,<br />মৃত চুম্বনেরা হয়েছে ভয়াবহ প্রেতাত্মা হিংসের<br />সুতীক্ষ্ণ দাঁতে শতভাগ সমৃদ্ধ চোয়ালের হাড়, <br />গোলাপের হাতে অযত্নের থাবা, হয়েছে নখর!</p>
<br /><p>তাই, আমিই আততায়ী হবো এবার!<br />নিমেষে ফালি ফালি হবে নির্বিচার-<br />শ্বাসনালী, যকৃত, পাকস্থলী, ডিওডেনাম, পাঁজর; <br />টেনে ছিঁড়বো ক্ষুদ্রান্ত অবধি, নগ্ন হবে তোর উদর!</p>
<br /><p>সিঁকেয় তুলেছি সব লজ্জা, ঘেন্না, ভয়-ডর,<br />এখনো সময় আছে পালা, এ তল্লাট ছাড়!<br />ফিরিয়ে দে হারানো সেই সোনালী দিন আমার,<br />গড়বো কুঁড়ে আবার স্বপ্ন-সুখের, ভালোবাসার।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141224122821/বিপ্রতীপ কোণের ভালোবাসা2014-12-24T01:37:00-05:002023-06-25T01:25:11-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>রাতভর হাওয়ায় ভাসে মায়াময় আঁধারেরা, কুয়াশারা <br />সেখানেও তো থাকে জলকণা, থাকে লুকিয়ে কোমলতা;<br />পরম যত্নে নির্বিচারে বুকে টেনে নেয় শুষ্ক পাথরেরা,<br />নাক ডুবিয়ে খানিক আর্দ্রতা খুঁজে অবহেলার খড়কুটো, তৃণরা।</p>
<br /><p>আর নিষ্পলক চেয়ে থাকি আমি, <br />দুঃস্বপ্নের চরে ডুবে যাওয়া নির্ঘুম চোখের তারা;<br />তবু নতুন উদ্যমে জাগ্রত নেশাতুর, নিশাচর মন আমার<br />সুনিপুণ জাল বুনে, কখনো বা জট খুলে।</p>
<br /><p>আর পিছদ্বারে জড়ো হয় বাস্তবতার তাড়া খাওয়া দলছুট ভাবনারা <br />স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ হয়, যৌক্তিক বিকাশও হয়;<br />সাইবেরিয়ার খানা-খন্দে জমে বরফ হওয়া জলের মতোই<br />খানিক ভৌত আকৃতি পায় তোমার আমার উদ্বাস্তু সম্পর্কটা!</p>
<br /><p>অতঃপর অবলীলায় আমি আবার আশাবাদী হই,<br />মনে হয়, এই বুঝি ঠিকঠাক মিলে গেলো! <br />ক্রমশ গড়ে উঠে সম্পর্কের জ্যামিতি, প্রেমের আকৃতি- <br />ত্রিভূজ, চতুর্ভূজ, কখনো বা বহুভূজ;<br />অবশেষে স্পষ্ট জটিলতম ভালোবাসা এক,<br />চরম অস্তিত্ব সংকটে বিপ্রতীপ কোণে বিচ্ছিন্ন!</p>
<br /><p>দূর মেঘমালায় তুমি আর এখানে পাংশু মুখচ্ছবি আমি;<br />সন্নিহিত বিন্দুতে একিভূত করার গলদঘর্ম সংগ্রামে ক্লান্ত!<br />প্রাণপন বিশ্লেষণ চলে কোরান, পুরাণ, বাইবেল, <br />সবশেষে ওল্ড টেস্টামেন্ট; সমাধান যে নেই সেখানেও!<br />পরিশেষে অপেক্ষার ক্যানভাসে ক্রমাগত করুণ আকুতি ফুটে<br />তবু কেন প্রহরের দাঁড় কাটে, আশায় বুক বাঁধে বেভোল মন?</p>
<br /><p>সুদূর মেঘমালায় বন্দি আমার গগণ কাঁদে<br />আর এখানে আমি, প্রেমের পাহাড়সম নথিপত্র বুকে;<br />যেন মর্মস্পর্শী আপীল এক সময়ের উদার এজলাসে!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141223010246/বনস্পতি স্বপন2014-12-23T02:11:09-05:002023-06-27T03:01:47-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আমার বড্ড হিংসে আর আফসোস হয়<br />এই নির্দয়, অবিবেচক বুড়ো সময়টারে;<br />আজ এখানে তো কাল ওখানে,<br />কীসের এত পথ চলাচলি তোর?<br />মরু বেদুইনের মতো শুধু ঘুরে আর ঘুরে!<br />কেউ যদি পেটানো লোহার শেকলে বেঁধে দিতো একে<br />ঐ দূর পাহাড়ের গুহার ভেতরের পাথরে,<br />অন্ততঃ থেকে যেতাম ত্রিশের শেষ কোন ঘরে।</p>
<br /><p>ভেবেছিলাম হয়তো দিন এবার থেমেই যাবে!<br />দেখবো কোথাও আইনস্টাইনের ক্লোনিং হবে;<br />ক্রমশ ধীর হতে হতে এই যাযাবর সময় <br />চুপি চুপি কভু ঠিক ঠাক এসে থেমেই যাবে <br />তোমার যাবার পথের ধারের পুকুর পাড়ে, <br />কিম্বা দাঁড়াবে আমার সেই দখিনা করিডোরে।<br />আবার দেখবো তোমায় স্কুল ব্যাগ কাঁধে<br />ঝুটি বাঁধা চুল, কানে গুঁজা ফুল<br />লাজুক বক্ষাবরণী তোমার মৃদু বাতাসে উড়ে!<br /> <br />আজো টানা রাত জাগে ঘুমঘুম নির্ঘুম চোখ,<br />নিবিড় পরিচর্যায় ক্লান্ত-শ্রান্ত মন,<br />ভাবনার জরায়ুতে ক্রমশ বেড়ে উঠা<br />এমনি ঝাঁক-ঝাঁক অর্কিড, বনস্পতি স্বপন!<br />এখানেই থাকুক তবে ওরা, <br />দিনে দিনে যখন বেশ মেনেই গেছে পোষ।<br />যাবেই বা কোথায় ওরা পালিয়ে আর<br />কোথায় পাবে বসবাসের ভূমি এমন?<br />অকর্ষিত, পরিত্যক্ত, বিরান আর নির্জন।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141222030530/সুখের খনিতে তলানীর খোঁজ2014-12-22T03:31:39-05:002023-06-25T01:25:11-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>প্রাণের গাঙে নাই দখিনা, পড়েছে পূবাল,<br />জীবন নৌকোতে দুর্বিসহ নাভিশ্বাস; <br />বিবেকের মর্গে শুয়ে বীভৎস সব লাশ!<br />রূদ্ধশ্বাসে হয়রান তামাম প্রাণ।</p>
<br /><p>তবু থেমে নেই প্রহরের ঢেউ গুনাগুনি<br />এক দুই তিন.........<br />ধুঁকে ধুঁকে কেটেই যায় দিন,<br />কায়ক্লেশ পেরোয় মাসের পর মাস;<br />অতঃপর <br />ইলিশের বাজার জানিয়ে দেয় নববর্ষের আভাস, <br />ষোড়শীর গালে জলরঙ ট্যাটু আর আলপনায় <br />আবার ফিরে আসে পহেলা বৈশাখ।</p>
<br /><p>সুখের মজুদ সেই কবেই শেষ, <br />তবু যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ির কমতি নেই,<br />চারিদিকে নামে সুখ পিয়াসীর ঢল;<br />সুখের খনিতে লাখো ডুবুরী-<br />অবিরাম চলে তলানীর খোঁজ।</p>
<br /><p>আশার ভেলায় ধ্বনিত নতুন স্লোগান, <br />কষ্টের জেটিতেই কোরাসে গায় আনন্দের গান,<br />আকুল হাতছানিতে নতুনকে জানায় আহ্বান।</p>
<br /><p>রচনা কাল: ১৪ এপ্রিল ২০১৩ ইং</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141219062203/আধ বেলার এই ভবে2014-12-19T08:58:04-05:002023-06-25T01:25:09-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>স্বপ্নের ডাকে ঘরহারা হই,<br />বুকের তাপ বিলিয়ে দেই<br />পাথর কেটে বাগান গড়ি<br />সেই বাগানে ফুটে কুঁড়ি।</p>
<br /><p>যুগ কাটে কোন ক্ষণে<br />দিবারাত্রি প্রহর গুনে!<br />দ্বি-পত্র যখনি বৃক্ষ বনে <br />মৌ লোভীরা ভিড়ে বনে।</p>
<br /><p>তবু দিন যায় রাত যায় <br />কী জানি কী আশায়! <br />কিসের টানে ঘুরছি তবে<br />আধ বেলার এই ভবে।</p>
<br /><p>দিগন্ত পানে মেলে আঁখি<br />কোন সুখের ছবি আঁকি?<br />গোধূলি রাঙা মেঘমালায়, <br />বিরহী এ সাঁঝ বেলায়।</p>
<br /><p>যখনি যার ডাক আসে<br />কাল-গাঙে যে যাই ভেসে!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141217111826/পুরুষ আকাশ2014-12-18T01:28:27-05:002023-06-25T01:25:09-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>অতঃপর কাশবনে পালিয়ে কোন রকম প্রাণে বাঁচে<br />ক্রমাগত বলাৎকারে বে-আব্রু বর্ষা; <br />অবিরাম মন্থনে তুলো তুলো, <br />পাংশু মুখের ক্ষীণদেহী মেঘদল।</p>
<br /><p>আর এদিকে কী নির্বিকার! <br />ভাবখানা এমন যে আসলেই সুপুরুষ;<br />অতি প্রত্যূষেই আবার জেগে উঠে, <br />কপট হাসে লম্পট আইবুড়ো আকাশ!<br /> <br />দূরের হিজল বনের ছায়ায় কাঁদে ধর্ষিত রাত্রি, <br />লজ্জা নিবারনে ব্যর্থ অসহায়!<br />চরে অশ্রু লুকোয় নেতিয়ে পড়া বুকের বিগত যৌবনা নদী; <br />উদোম রোদে বেঘোর নাক ডাকে কালপুরুষ-সপ্তর্ষিরা,<br />আর ধূসর মুখ আজন্ম রক্ষিতা ধ্রুপদী চাঁদ!</p>
<br /><p>এদিকে গর্বিত মুখ সর্বগামী নির্লজ্জ আকাশ;<br />লাজ লজ্জা থাকবেই বা কেন, পুরুষ বলে কথা! <br />অতএব নতুন মেঘের খোঁজে সদর্প বিচরণ;<br />আবার শ্যেন দৃষ্টি হানে ঈশান নৈর্ঋত জুড়ে।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141217021510/শপথ (৫০তম কবিতা)2014-12-17T02:26:54-05:002023-06-25T01:25:09-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>-<br /> এ<br /> মাটি<br /> যেমন<br /> কোমলও<br /> শ্যামল,ঠিক<br /> তেমনি সজল <br /> এমন।পাবেনা যে<br /> কোথাও এমন ধারা। <br /> লাখো শহীদের শোণিত-<br /> মিশিয়ে একে যে পূণ্য করা! <br /> রোজ অঙ্কুরিত শতেক চারা,<br /> দেখবে এখানেই গড়বে তারা ;<br /> সবা' তরে এক স্বর্গ সুখের ধরা।<br /> দেশ মাতার প্রেমে যারা পাগল পারা;<br /> ভোগ-ভেলায় গা ভাসিয়ে হবে নাকো তারা<br /> আত্মহারা। চল, শপথ করব আজি মোরা,<br /> ঠিক সেই সোনার ছেলেটিকে যেন যায় গড়া।<br /> বয়ে যে যায় বেলা, দিতে হবে এখনই গা ঝাড়া।<br /> হুঁশ আন , কাটবে চারা, জমিতে যে হাজার চোরা!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141216050246/হিরণ্ময় স্বাধীনতা2014-12-16T06:10:02-05:002023-06-25T01:25:09-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>- <br /> এ<br /> হল<br /> প্রাণের<br /> কথা, নয়<br /> কোন কল্পনা<br /> কিবা রূপকথা।<br /> লাখো শহীদ সদা<br /> আছেন জাগ্রত যেথা;<br /> লাখো মায়ের বুকে জ্বলে-<br /> অকাল ছেলে হারানো ব্যাথা;<br /> কাঁদেন আজো পূত্র হারা পিতা।<br /> লাখো বোনের মান মিশেছে যেথা;<br /> আজো বিধবা বধূ কাঁদে পথে হেথা।<br /> বিশ্বাস কর, এ তো কভু নহে কবিতা,<br /> লাখো ভাইয়ের রক্তে আঁকা অপূর্ব গাঁথা!<br /> কোটি প্রাণের স্বপন মিশে একাকার যেথা <br /> এক সমুদ্র রক্তে কেনা হিরণ্ময় স্বাধীনতা। </p>
<br /></p>
<br /><p>*** মহান বিজয় দিবসে সকল কবিকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।</p>
<br /><p>(শ্রদ্ধেয় কবি পলক রহমানের আহ্বানে উৎসাহিত হয়ে প্রথম বারের মতো সৌধ কবিতা রচনার প্রয়াস।)</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141215012218/জেগে আছেন হাজার ঋষি2014-12-15T02:04:42-05:002023-06-25T01:25:07-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>দেশ গড়বে, স্বপ্ন চাই? ঊর্ধ্ব পানে কী খোঁজ?<br />সেথায় যে কিছুই নেই! আগে বরং দিশা বোঝ; </p>
<br /><p>মায়াবী এক আলো জ্বলা, মন ভোলানো অন্তরীক্ষ <br />আমি তো বলি পানশালা, নয়তো বিশাল ঘুম কক্ষ!</p>
<br /><p>হাজার ঋষি ঘুমায় সেথায়- <br />সবাই নেশায় বেহুঁশ বেজায়; <br />ডাক শোনেনা কুম্ভকর্ণ <br />আলোকচ্ছটার মেকি বর্ণ! <br />ঘুম কেড়ে নেয়, শুধুই ওরা স্বপ্ন চোরা, <br />বেঘোর ঘুমায়- পুলস্ত্য, পুলহ, অঙ্গিরা!</p>
<br /><p>বরং তুমি পিছন ঘোর<br />কিবা খানিক সামনে ফের, <br />নয় তো শুধু রায়ের বাজার, রাজশাহী-মীরপুরে…<br />সাগর, নদী, টিলা-পাহাড়, দৃষ্টি হারায় যতদূরে;<br />দেখ চেয়ে, গোটা বাংলা গগণ তোমার <br />নয় ঘুমিয়ে, জেগে আছে ঋষি হাজার।</p>
<br /><p>অষ্টপ্রহর আছে সাথে, <br />স্বপ্ন নদীর ছায়াপথে<br />হৃদয় মাঝে লও হে গেঁথে, <br />পথ দেখাবে তিমির রাতে।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141213111838/জবানবন্দি2014-12-14T00:45:13-05:002023-06-26T00:07:51-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কেউ জানেনা, জানবেও না কোনদিন,<br />জানিনা আমিও- <br />কখন যে তোমাতেই হয়ে গেছি এমন বিলীন;<br />প্রেমোত্তাপে বিগলিত আমি,<br />রোদের আঁচে তরল হওয়া স্নেহ-টিনের মতো <br />শতভাগ বিগলিত আমার প্রাণ-মন!</p>
<br /><p>কোন ধাতব স্কেলের মাপে নয়, <br />নয় নিরূপিত কোন পারদ-যন্ত্রের উঠানামায়;<br />হৃদয়ের বিকারে স্রেফ দ্রবীভূত <br />তোমাতে একাকার প্রাণের সর্বশেষ কণাটা অবধি,<br />ঈষদুষ্ণ জলে সমসত্ত্ব মিশে যাওয়া শর্করা কেলাসের মতো।</p>
<br /><p>তবু, কেন বারবার খুন হই আমি?<br />কেউ বুঝেনা-<br />যতোবার অবিশ্বাসের কন্টক টেবিলে শায়িত আমি,<br />ততোবার খুন হই; রক্তাক্ত হয় আমার প্রাণ।<br />ভালোবাসা অন্তরীণ হলে,<br />ভাবনার ডালাপালা কেটে নিলে,<br />অবশেষে দেহ কাণ্ড টুকু নিস্পন্দ থাকে পড়ে,<br />অনন্ত অন্তরীক্ষ তলে।</p>
<br /><p>তবু বেশ বেঁচে থাকি আমি-<br />বড় আশায় থাকি অন্তুর্বেদী ভূভাগ হয়ে;<br />বেঁচে থাকে অসাড় চোখের মুমূর্ষু আমার প্রাণ!<br />একদিন ডাব গাছের পাশের এই ছোট্ট চারা থেকে-<br />টুপটাপ একটা-দুটো বাসী কদম ঝরবে বলে;<br />মধ্য কার্তিকের এঁদো-ডোবার মতন আমার উবে যাওয়া জলে; <br />একদিন এখানেই আবার পাবো কদমের ঘ্রাণ!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141213122802/স্বপনের মৃত্যু2014-12-13T00:53:10-05:002023-06-25T01:25:07-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কথা ছিলো শুক্লপক্ষের রাতে রাতে হেঁটে <br />আমাদের বসন্ত-ফাল্গুন বেশ যাবে কেটে।</p>
<br /><p>হেলে দুলে চলে যাবে প্রেম-রথ<br />অলখেই পাড়ি দিবো বন্ধুর পথ, <br />থাকবে না কোথাও কোন ঘাত<br />অতঃপর অবিরাম পূর্ণিমা রাত।</p>
<br /><p>তোমার মধ্যমা আঙ্গুলে চাপা আমার হাত;<br />চোখের জলে জোছনা বিলোবে ভরা চাঁদ!</p>
<br /><p>খুশির বানে ভেজা ভেজা চোখ<br />চাঁদকেও হারায় হাসিমাখা মুখ<br />জোয়ারের নদী যেনো থৈ থৈ জল<br />সুখের নুড়ি ভরা তোমার আঁচল।</p>
<br /><p>পূরণ আর হলোনা প্রাণের সেই স্বপন <br />পূর্ণিমার আগেই চাঁদে নেমে এলো গ্রহণ।</p>
<br /><p>ওতপেতে ছিল পথেই প্রাণঘাতী ফাঁদ <br />অবশেষে গুনতে হল নির্মম এ প্রমাদ!<br />কংক্রীটের পাঁচিলে আজ কয়েদী তুমি<br />কষ্টের সুতোতে জাল বুনে যাই আমি।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141212021119/বোধের খুঁটায় উড়ছে নিশান2014-12-12T03:01:13-05:002023-06-25T01:25:07-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>বই-খাতা, টিউশনি, ঘুরাঘুরি আর আড্ডা,<br />দিব্যি চলেই যেতো সময়- <br />বাদাম খাটা’ না'য়ের মতো।</p>
<br /><p>পাঁজর গভীরে ছিলোনা ক্ষরণের কোন দুষ্টক্ষত; <br />ভাবনার জমিনে কোন দুষ্টু কীট কিংবা <br />জীবনের অক্ষদন্ডে কোন ঘুণ পোকাও ছিলোনা দৃশ্যমান।</p>
<br /><p>আসলে কখনো দেখার ফুরসৎই হয়নি-<br />যে মনের হাঁড়িতে সুখের কতোটা টান! </p>
<br /><p>সেদিন ফুলের দোকানের পাশে গিয়ে বুঝলাম-<br />তাজা ফুলের সুবাস নেই আর, <br />বাতাসে শুধুই গা ঘিনঘিনে আতর-লুবানের ঘ্রাণ;<br />পূর্নিমার আলোতে অবলীলায় ভাসে-<br />হায়েনার সারিসারি চকচকে তীক্ষ্ণ দাঁত!<br />সহসাই বদলে গেছে ইন্দ্রিয়ানুভূতি- <br />মনের জমিন বেজায় নিরস আর টানটান; <br />খুব যুক্তিঙ্গত কারণেই বিদ্রোহী দৃষ্টি, নাসিকা ঝিল্লী!</p>
<br /><p>তবু বোধের খুঁটায় উড়ছে লাল-সবুজের নিশান,<br />রাডারের মতো জানান দেয়- <br />এখন ঋতুর বদল, প্রাণের গঙ্গায় পড়ে গেছে দখিনা বাতাস,<br />জবুথুবু নেতিয়ে বাদাম, ক্রমশ মন্থর গতি!<br />তাই ছাড়তে হবে খোলস-<br />সরাতে হবে মনের ভিটায় শায়িত হিমশীতল লাশ,<br />নিজ হাতে তুলে নিতে হবে দাঁড়।<br />সামনেই উত্তরাধিকার সূত্রের বিস্তীর্ণ উর্বর প্রান্তর;<br />এখন আমার, আমাদের, হবে আগামী প্রজন্মের;<br />এখানেই গড়তে হবে সুখের নীড়, স্বপ্নের সংসার।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141211121455/আততায়ী2014-12-11T01:10:41-05:002023-06-25T01:25:06-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>তবে কী এমন লাভ হল তোমার আততায়ী হয়ে? <br />স্মৃতির প্রেতাত্মারা যে আসে সাষ্ঠাঙ্গে হামা দিয়ে!<br />অনুতাপের হামান দিস্তা অবিরাম পিষে মারে;<br />দিন-দুপুরেই গিলে খায় অবলীলায় তোমারে।</p>
<br /><p>ভয়েদের দখলে আজ মনের ঘর;<br />গিলে খায় সযতনের সমস্ত প্রহর!<br />অদূরেই দাঁড়িয়ে নিকষ ভবিষ্যৎ; <br />স্বর্গের সুখ তো সেই দূর কল্পনাবৎ!</p>
<br /><p>খাঁ খাঁ পড়ে পড়ে আছে বসন্ত ফাল্গুন<br />কবরের নিরবতা নেই কোন গুনগুন;<br />সুখেরা কাঁদে স্মৃতির লাশকাটা ঘরে <br />পালাতে চায় প্রাণ বে-জান পিছ-দ্বারে!</p>
<br /><p>কেন তবে খুন হলো ভালোবাসা এমন?<br />নির্দয় দুমড়ে-মোচড়ে এই পাঁজরের মন!<br />যদি পাই আবার আমি সেই দেহ-ঘ্রাণ<br />ফিরে আসে খুনের লাশে আবার প্রাণ!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141209032549/প্রত্নতাত্ত্বিক2014-12-09T03:34:05-05:002023-06-25T01:25:06-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>মধ্য কুড়ির উদ্যাম প্রহরেরা স্তূপীকৃত মমি,<br />নিষ্প্রাণ লাশের পাহাড় ঘুমায় স্মৃতির ক্ষয়িষ্ণু পিরামিডে;<br />স্বপ্নের প্রাণবন্ত ঘাট এখন ধূসর অতীত- <br />পরিত্যক্ত নৌ-জেটির মতো ভূতুরে এক আঘাট।</p>
<br /><p>একদিন- <br />পিউপিল, রেটিনা, অপ্টিক নার্ভ থেকে বুকের পাঁজর অবধি-<br />সর্বত্র গড়ে উঠেছিলো একচ্ছত্র গোপন আবাস তোমার;<br />নিলয়-অলিন্দের দেয়ালের সংরক্ষিত যাদুঘরে- <br />অনুপম তুলির আঁচড়ে ফুটেছিলো অবয়ব তোমার।</p>
<br /><p>অতঃপর-<br />ক্রমশ এলে অন্তিম কাব্যময় ডায়েরীর ছেড়া পাতায়,<br />প্রাণের বদ্ধ কূপ থেকে আমৃত্যু লেহনে তুলে আনা-<br />নিখাদ শব্দের বাঁধনে সঙ্গোপনে বাঁধা ঘরে।</p>
<br /><p>অবশেষে লোভের প্রত্নতাত্ত্বিক আমি,<br />প্রাণপণ খোঁড়াখুঁড়ির পর খ্যাতির নিলামে উন্মুক্ত তুমি,<br />প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রের মতো চড়া দাম হাঁকে লুকনো আবেগ!<br />আমার ভালোবাসা; <br />আমার প্রথম প্রত্যূষের সেই সোনালী প্রেম।</p>
<br /><p>কোন পৌষের সকালে জলপাই রঙ শাড়ীতে-<br />নূপুরের আলতা রাঙা শিশির ভাঙা নগ্ন পা;<br />বাহুর ছাই রঙ লোম আর পানি ফল রঙ পলিশহীন নখ;<br />শালুকের ঝিলের মতো উদাস চোখ!<br />আজ অবলীলায় নগ্ন প্রদর্শিত খ্যাতির হাটে; <br />আর আমার লোভী আঙুল অক্লান্ত গুনে যায় খ্যাতির ধাপ-<br />এক; দশ; শত; সহস্র; অযুত; নিযুত!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141207044538/একটা গাঢ় সবুজ বনস্পতি2014-12-07T05:05:32-05:002023-06-25T01:25:06-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আহা! এখানেই থাম; <br />এটা কোন ফাঁকা মাঠ নয়, গোরস্থান! <br />কিছু কিছুই শুধু পুড়েছিলো তাপে;<br />আর জ্যান্ত কবর এখানেই অগণিত স্বপন।</p>
<br /><p>না কৃষ্ণচূড়া হতে পারিনি আমি<br />যাকে ভাঁট ফুলের ঝোঁপ ভাবছো-<br />সেটাই আমি;<br />আমার বেঁচে যাওয়া জীবন।</p>
<br /><p>প্রথমে সময়ের কাঁচিই দিয়েছিলো ছেঁটে,<br />অতঃপর আপনিই নিয়েছি বনসাই রূপ!<br />শুধুই লাশের ভাগাড়ে বাড়েনি স্তূপ, <br />এও কম কি! </p>
<br /><p>আর পাশেই সেই ছোট্ট চারাটা......<br />একটা গাঢ় সবুজ বনস্পতি;<br />এতদিন আলো জল দিয়েছি;<br />তারপর নিজহাতেই বনসাই!<br /> <br />ফুল-ফল পেতে নয়, তবুও করেছি-<br />থাকুক না এখানে সে,<br />আমার বনসাই বনস্পতি ভালোবাসা।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141206022352/বিপন্ন মানবতা2014-12-06T02:48:07-05:002023-06-25T01:25:06-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কথা ছিলো নাতিনাব্য মনের ঘাটে খুশির ঘটী উগরে-<br />ওদেরও তো জল-সিক্ত হবার, <br />কেন তবে সুখের কণাদের নিষেক হয় না এখানে?<br />হয় না কোন নিখাদ আনন্দের সূতিকাগার,<br />গুমট বাতাসে ভাসমান উদ্বাস্তু সুখ-রেণুদের জমাট হয় না-<br />দৃষ্টির কোণ ঘেঁষে ফোঁটা হয় না কোন আনন্দাশ্রু!</p>
<br /><p>যুগে যুগেই এখানে হানা দেয় চেঙিস-হালাকুরা;<br />হোক না নববর্ষ, ভালোবাসা দিবস, মে দিবস একই দৃশ্যপট,<br />বাদ যায় না পূজো-পার্বণ, বড়দিন বা ঈদের দিন পর্যন্ত;<br />অবিরাম চলে যমদূতের উল্লাস নৃত্য!<br />কেন এতো জয় জয়কার মৃত্যুর; কেন এই রক্ত-স্নান! <br />এই শোণিত পিপাসা মিটবে কখন?</p>
<br /><p>হায়েনার দাঁতাল চোয়ালে নিষ্পেষিত মানবতা কেঁদেছিলো্ -<br />হিরোশিমা-নাগাসাকিতে,কম্বোডিয়া-ভিয়েতনামে;<br />ইতিহাস ভুলেনি ৭১এর ২৫ মার্চের সেই ভয়াল কাল রাত!<br />বেয়নেটের আঘাতে খসে যাওয়া করোটি;<br />ফিনকিতে বেরিয়ে আসা মগজের কান্নায় কেঁদেছিলো চরাচর,<br />তবুও এতটুকু টলেনি ঈশ্বরের ধাতব প্রাণ!</p>
<br /><p>অতঃপর ইরাক, আফগানিস্থান সিরিয়া আর জেরুজালেম;<br />পূর্ব-পশ্চিম সর্বত্র জীবনের পেন্ডুলাম প্রতি মুহূর্তে দুলে;<br />নির্বিচারে চলেছে নারকীয় খড়গ !<br />নির্বিশেষে বিপন্ন আবাল বৃদ্ধ বনিতা, রক্তাক্ত সদ্য জাত শিশু; <br />এমন কী রেহাই মিলেনা আপন মাতৃগর্ভেও!</p>
<br /><p>স্প্লিন্টারে খসা ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে সুখাদ্যের সুবাস লাগেনা মোটেও,<br />বারংবার অনুভূতি জাগায় কোন রকমে বেঁচে থাকবার;<br />অষ্টপ্রহর প্রলুব্ধ করে পুড়ে যাওয়া জীবনের অন্তিম ঘ্রান!<br />অঙ্গ যাবে যাক; এখন সংগ্রাম শধুই টিকে থাকবার।</p>
<br /><p>কুম্ভকর্ণ বিধাতা!<br />এ কেমন আকাল তোমার? <br />আর কতো পূজো চাই; কতো কোরবানি-বলি!</p>
<br /><p>লেলিহান শিখায় বিদগ্ধ সুখের নীড়,<br />জ্যান্ত পুড়ে যাওয়া দেহের ছাঁই-ভষ্ম;<br />থেঁতলানো করোটি-মস্তক, বিখণ্ডিত দেহ-ধর;<br />সতীত্ব খোয়ানো যুবতীর করুণ চাহনি;<br />বলৎকারে সংজ্ঞাহীন কিশোরীর রক্তাক্ত গোপনাঙ্গ-<br />অভুক্ত বিকলাঙ্গ শিশুর করুণ আর্তনাদ..<br />এসবই আজকাল বড্ড প্রিয় হয়ে উঠেছে তোমার!<br />আর কতো কুমারীর জরায়ুতে যুদ্ধ শিশু চাই?</p>
<br /><p>রচনা কালঃ ১৩ জুলাই ২০১৩</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141205050136/কুরুক্ষেত্র হবে2014-12-05T05:13:17-05:002023-06-25T01:25:04-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>এবার অনায়াসে ধ্বসে যাবে সহ্যদ্বার<br />আমি বেহিসেবি হবো আরেক বার, <br />দেখো, কুরুক্ষেত্র হবে ধুন্ধুমার! <br />পাঞ্চজন্য শঙ্খ বাজবে আবার।</p>
<br /><p>আততায়ীর হাতে খুন হওয়া বিশ্বাসের শেষ গোলাপটি <br />হিংসার ফণীল বাসুকী এবার! সিংহদ্বারে সম্পাত!<br />কে হবে নীলকণ্ঠ?<br />এফোঁড় ওফোঁড় হবে এই ধরণী নির্ঘাত! </p>
<br /><p>তবু যারপর নাই অবিবেচক হবো-<br />আসলে এক ঘাত হবে দ্বিগুন প্রতিঘাত।<br />ভাবনার সিঁধকাঠিতে সময়ের পাঁজর কাটবো;<br />ফিরিয়ে আনবো ব্যাবিলনের সেই নক্ষত্র-রাত!</p>
<br /><p>দোহাই লাগে, <br />তোমরা ছেড়ে দাও আমার হাত<br />আমি না হয় চণ্ডাল হবো!<br />করুণ চোখে কাঁদবে বে-লাজ ধ্রুপদী চাঁদ!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141204033937/ধর হাল2014-12-04T03:44:19-05:002023-06-25T01:25:04-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>বিষাদের বালুচরে আটকে আছে নাও<br />লাগেনা যে প্রাণে কোন দখিনা বাও;<br />জনা বিশেক যাত্রী, যায় দিবারাত্রি<br />নাও বল, দেশ বল কিবা এই ধরিত্রী-<br />একের তরে পাহাড়টাও হয় যেনো<br />সকলের তরে তৃণসম যেনোতেনো।</p>
<br /><p>কতক ঝিমোয় ছাদে কিবা রোদে<br />নেই কাজ, সুখ খুঁজে পূর্ণিমা চাঁদে<br />দিনটাই রাত যেনো রাত কাটে হেঁটে<br />মহাপুরুষ ভেবেই তাদের যায় দিন কেটে!</p>
<br /><p>কতক বসে শুধুই প্রেমের ছক আঁকে<br />পুড়া-পুড়া হৃদয়ে বিষময় ঠেকে;<br />জীবনের লেনদেন না করেই শোধ<br />অষ্টপ্রহর ঝিমোয় নেশায় নাইকো বোধ।<br />অবশেষে গুম, খুন, ছিনতাইএ ঝোঁকে<br />শ'টাকা হলেই দেদার চাকু চালায় বুকে!</p>
<br /><p>কতক শুধুই কেবল কড়ির ঘ্রাণ বুঝে<br />লুট আর টেন্ডারে সাগর নেয় লিজে;<br />মিশিয়ে চিনি মধু গাল ভরা বুলি শুধু,<br />দেখে আবার মনে হবে খাঁটি এক সাধু।</p>
<br /><p>পাশেই কতক ভোগে দেখে না কেহ<br />অভাবের কষাঘাতে জরজর দেহ<br />বুক ভরা স্বপনেরা আকুলে কাঁদে<br />তবু নায়ে হাল ধরে, ছেঁড়া পাল বাঁধে।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141202120618/অশ্রুত কান্না2014-12-02T01:02:01-05:002023-06-25T01:25:04-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>তুমিতো আছো হেথায় পরম সুখে <br />দেখনি অগ্নি কভু অভাগার পোঁড়া বুকে!<br />নির্লিপ্ত চলে যাও ব্যথিতকে দেখে<br />উপহাসও করো তারি' চরম দুঃখে।</p>
<br /><p>দুর্গম মরু আর পর্বত পাহাড়ে, <br />কিংবা সুদূর কোন ঝর্ণার তীরে,<br />জনম যার নির্মম অবহেলা পরে<br />আছে যে টিকে সেও চরম অনাদরে!</p>
<br /><p>মমতা-প্রেম জমে গিয়ে নিষ্প্রাণ পাথুরে-<br />আবেগ ঘুমিয়ে থাকে অদৃষ্টের হিমাগারে;<br />কাটে দিবানিশি নির্মম কোন মরুঝড়ে-<br />তৃষিত প্রাণ সদা অন্তরে বসত করে!</p>
<br /><p>অলক্ষ্যেই থেমে যায় চলা অবশেষে-<br />পাথর, কাঁকর কিংবা বালিয়াড়িতে ফেঁসে;<br />জীবনাবসানেও থাকেনা কোন সুহৃদ পাশে-<br />কাল-স্রোতই শবযাত্রা বহে তার কায়ক্লেশে।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141130010215/যাদের ভোর নেই2014-11-30T01:10:30-05:002023-06-25T09:48:49-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>নিয়ন আলোর জাদুতে বেঘোরে ঘুমায় রাতের শহর<br />আর ফর্মালিনের দ্রবনে গভীর কোমায় আমাদের মনন; বিবেক<br />তখন ফুটপাতে জরাজীর্ণ বস্তায় পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ!</p>
<br /><p>যেনো ফুটপাতে সযতনে রাখা পরিপাটি সামান কারো<br />কিংবা পাশেই লাশকাটা ঘর, এখানে সারি সারি বস্তাবন্দী লাশ!<br />এখানে একেকটা বস্তা যে একেকটা ইতিহাস, কে রাখে খোঁজ?<br />বেদখলের, নদী ভাঙনের, জোতদারের ইতিহাস;<br />হরেক ইতিহাস, হরেক কান্না এখানে ঘুমায় নিয়ন আলোতে।</p>
<br /><p>সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা প্রাণের এই বাংলাদেশ;<br />সমুদ্র জয়ে অধিকতর স্ফীত গর্বিত মানচিত্র;<br />হাই কোর্টের বেদীতে পৎপৎ করে উড়া গৌরবের লাল সবুজের পতাকা, <br />এই সব ওদের কাছে নিতান্তই মূল্যহীন, উপহাস প্রায়!</p>
<br /><p>এই জীর্ণ বস্তা, ফুটপাত; রেলের ফ্ল্যাটফর্ম; ম্যানহোলের পরিত্যাক্ত রিং- <br />এখানেই সীমাবদ্ধ ওদের দেশ, ওদের মা; এখানেই ওদের সমগ্র বাংলাদেশ। <br />তাইতো পরম মমতায় যখন তখন বাড়িয়ে দেয় বুকের পাশ!<br />মমতা ভরে বলে- ঘুমা তোরা, তবু টিকে থাক, বেঁচে থাক!</p>
<br /><p>সময়ের ভারী চাকা নাকি রাষ্ট্রের অবহেলায় অবিরাম পিষ্ট ওদের জীবন?<br />কার কাছে জবাব আছে? কে নেবে এর দায়? <br />আমি, আমরা কি দায় মুক্ত!</p>
<br /><p>চারিদিকে কিলবিল করে কাল নাগিনীরা;<br />অষ্টপ্রহর ফণা তোলে আছে হতচ্ছাড়া বিধি!<br />আজন্ম জীবনের চিতায় যতোটা গভীরে পুঁড়েছে ওরা,<br />মোটেও ততোটা চাপ-তাপ সয়নি কিংবা পুঁড়েনি<br />ইট ভাটার বহু বয়স্ক কয়লা আর পুঁড়ে পুঁড়ে লাল হওয়া ইটেরাও!</p>
<br /><p>শব ভষ্মের পর চিতায় পড়ে থাকা আধপোঁড়া কাঠ<br />কিংবা গোরস্থানের ধ্বসে যাওয়া খরখুটোর মতো অস্পৃর্শতো নয় এরা! <br />তবে, কেন এত অবহেলা, অনাদর? কে দেবে জবাব?<br />এটাকি বিধির লিখন, নাকি রাষ্ট্র যন্ত্রের ব্যর্থতা!<br /> <br />কদিন পর পরম উৎসাহ উদ্দীপনায় হবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী,<br />নগরী সাজবে কোটি টাকার ব্যানারে, ফেস্টুনে, তোরনে;<br />পুঁড়বে কার্গোর পর কার্গো মোম, হবে মিলিয়ন ডলারের আতশ-বাজি!<br />তবু এই দেশে মিলবে না ওদের মাথা গোঁজার এতটুকুও ঠাঁই!<br /> <br />সুতরাং ঘুমাক ওরা এখানেই স্বর্গের ঘুম, স্বপ্নময় ঘুম;<br />কেননা ওদেরতো যে আর আ্সেনা আলোর ভোর,<br />এই রাতের পরেই আবার হাতছানি দিয়ে ডাকে আরেক রাত!<br />বিধ্বস্ত মালভূমিতে খসে যাওয়া ঝুলন্ত পাথর খণ্ডের মতো<br />চেপে বসে পেটের দায়, আব্রু বাঁচাবার দায়, শীত নিবারণের দায়!</p>
<br /><p>এক এক করে তেড়ে আসে ভয়ের মিছিল, <br />সগর্জন তেড়ে আসে শ্বাপদ সংকুল অরণ্যের মতো;<br />যেনো এই বস্তার বাইরেই ঔঁত পেতে থাকে এক শ্বাপদ রাজ্য!<br />দিনে দিনে এখন বেশ পরিণত নরপশুদের রক্ত চোষার মুখোপাঙ্গ!<br />হতে হবে ব্লটিং পেপারের মতো শোষিত, <br />পেটের দায়েই হতে হবে যে আবার কোন পেশাদার শিকারীর সরস টোপ;<br />কিংবা হতে হবে কোন সুনিপুণ অসিবাজের আত্মরক্ষার ঢাল!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141128011318/প্রাণ এক ধূপকাঠি2014-11-28T01:23:06-05:002023-06-25T01:25:02-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>এক ঝাঁক পাখি ছিলো, খাঁচা ছিলো ভরা<br />দরজা ফাঁকা বেখেয়াল সব' দিলো উড়া!<br /> <br />ভুলে গিয়ে হিসেব পাতি- <br />মোম জ্বালিয়ে ঝাড়বাতি!<br />কেনই বা এই ধানাই-পানাই;<br />কিসের এতো গর্ব-বড়াই?</p>
<br /><p>এযে এক অচিন পাখি, সার্বজনীন বন্য<br />একদিন দেখিবে খাঁচা আছে পড়ে শূন্য!</p>
<br /><p>থাকতে সময় আপন খোঁজ-<br />পাখির হিসেব আগে বোঝ;<br />পাখি নয়তো! ধূপকাঠি, <br />পুঁড়ে করে সংসার খাঁটি।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141127120321/যা খুশি করবো আমি2014-11-27T01:32:25-05:002023-06-25T01:25:02-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>যা খুশি করবো আমি, ইচ্ছে হলে আস্ত দেশ কিংবা-<br />গোটা পৃথিবীটাই ঝলসে কাবাব করে খাবো!<br />নয়তো যাকে ইচ্ছে উৎসর্গ করবো!</p>
<br /><p>ধুরছাঁই! জাতিসংঘ আর হিউম্যান রাইটস,<br />আশাকরি কিছু মনে করবেন না, বেয়াদবি নিবেন না প্লীজ,<br />আপনাদের আবার এখনো আমার কিঞ্চিত লজ্জা-ভয়!</p>
<br /><p>ভাষা আর কত শালীন থাকে বলুন ?<br />গোপনাঙ্গের আব্রু ভেসে গেলে, অনুভূতি মরে গেলে, <br />হৃদয়ের জমিন থেকে ভালোবাসা তেপান্তরে নির্বাসিত হলে-<br />আর কবর শ্মশান ভাগাড়ে আবাস হলে যেমনটা হয় আর কী!</p>
<br /><p>ভেবেছিলাম, সবেতো মাটির দেহে পঁচন লেগেছে,<br />মনের ভিটায় তবু হয়তো চড়েনি কোন ঘুঘু!<br />কিন্তু দেখতে দেখতে বেদখল স্বপ্নের সবক'টা সিঁড়িও <br />সর্বত্র কিলবিল করে ঝাঁকে ঝাঁকে লাশ খেকো কীট!</p>
<br /><p>ভোগবাদের টেবিলে গনতন্ত্রের ব্যবচ্ছেদ তো সেই কবেই শেষ,<br />এখনতো মাত্র বাস আর ট্রেনে এর শেষকৃত্য হয় এই যা!<br />স্বদেশ প্রেম, জাতীয়তাবোধ, সার্বভৌমত্ব, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড<br />এমন প্রাণের শব্দ গুলোও অবলীলায় খেয়ে ফেললো ওরা!</p>
<br /><p>আইনের রক্ষক! খানিকটা নখর-দাঁতাল নাহলে কি চলে!<br />আর ধর্ষকরা পেলে তারাই বা পাবেনা কেন ভাগ?<br />শাসক, যাজক, শিক্ষক আছেতো কী এমন ক্ষতি;<br />একটু আধটু পেলে কী এমন দোষ তাতে?<br />কাঁচা মাংসের স্বাদ আর ইন্দ্রিয় পূজা বলে কথা!</p>
<br /><p>ডাক্তার, কসাই, ডোম আর টোকাই বেশ সমার্থক, <br />আর হবেই বা না কেন ভাগাড়ের দায়িত্বেও তো তারাই!</p>
<br /><p>লুটতরাজ, গুম-খুন, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী বড়ই সেকেলে;<br />এখন বেশ উপাদেয় খাবার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র!<br />দিনেরাতে সবাই গোগ্রাসে খাচ্ছে, খাওয়াচ্ছে-<br />চুষে, চিবিয়ে, জলে ডুবিয়ে সবভাবেই খাওয়া চলছে।<br />আবাল বৃদ্ধ বণিতা, প্লে ক্লাসের শিশুটিও বেশ খাচ্ছে;<br />মাতৃদুগ্ধের মতই বেশ চেটেপুটেই খাচ্ছে!</p>
<br /><p>খা'ক, ক্ষতি কী?<br />আমি নাহয় আস্ত দেশ কিংবা পৃথিবীটাই ঝলসে খাবো!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141126010618/অব্যক্ত কথা2014-11-26T01:08:02-05:002023-06-25T01:25:02-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>তোমার চারিপাশে অঙ্কিত অরবিটে ছুটে চলে ভাবনারা <br />অনেকটা সোলার সিস্টেমের গ্রহদের মতন;<br />অবিরাম ছুটে চলি আমিও,<br />চেনাজানা গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রক্ষিপ্ত হই আলোকবর্ষ দূরে।</p>
<br /><p>কদাচিৎ ফিরে আসি আমি-<br />আর লংকা কান্ড ঘটে কখনো ভাবনারা ফিরে এলে!</p>
<br /><p>অনুভুতির সিঁড়িপথ নিমেষেই যায় গুঁড়িয়ে, <br />সওজ এর জমিনে বেদখল উচ্ছেদের নোটিসহীন বুল্ডোজারের মতন<br />ধ্বসিয়ে দেয় বোধের কর্তব্যনিষ্ঠ ইস্পাত কঠিণ পাঁচিল;<br />দিনের রুটিন, পেটের দায় আর কাজের মায়া অবলীলায় <br />সুনামী বিধ্বস্ত ঘরের কড়িকাঠের মতন ভেসে যায় কৃষ্ণগহ্বরে।</p>
<br /><p>দু'আঙুলের ফাঁকে বিশ্বস্ত আবাস গড়ছিলো যে কলমটা, <br />সেও ভুলে যায় যুগযুগের ছুটে চলা মুখস্থ পথ,<br />ভুলে যায় স্তূপীকৃত ফাইলের পাতায় সাইনের পরিচিত রেখ-পথ;<br />রূপকথার মনিবভক্ত ঘোড়াটির মতো অন্ধ ছুটে চলে,<br />প্রলাপের ছলে অবিরাম এঁকে চলে অব্যক্ত কথা মালা।</p>
<br /><p>সকল বাঁধা সরে গেলে, সকল দায় দূরে গেলে, সকল টান আলগা হলে-<br />তবু কুয়াশারাই কুন্ডলী পাকায়, দ্বিধার দেয়াল দাঁড়ায়<br />আবার সম্বিৎ আসে, কেঁপে উঠে মন স্তব্ধ প্রাণ,<br />করুণ চোখে দূরে দাড়িয়ে থাকে অচ্ছেদ্য কতক বন্ধন!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141125124030/রহস্যময় দুর্বোধ্য ছবি2014-11-25T01:27:18-05:002023-06-25T01:25:02-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>বড় ইচ্ছে ছিলো একদিন বলি- <br />“কি চাই তোমার?<br />মঙ্গলের আকাশ থেকে একরাশ গোলাপী মেঘ এনে দেই; <br />কিংবা মিল্কীওয়ের মেলা হতে একাধিক উজ্জ্বল নক্ষত্র?<br />অথবা দাও একটা মাটির গড়া পাত্র, <br />হৃদয় নিংড়ে খানিকটা প্রাণ রস দেবো যা আছে আমার!”</p>
<br /><p>একদম চুপচাপ বসেছিলো সে-<br />হাঁটুতে গাল চেপে ঐ হিজল গাছটার তলে,<br />বিড়বিড় করে কী জানি কি বলেছিলো মনে-<br />আর শুধু এক চিলতে হাসি,<br />মিলিয়ে গিয়েছিলো তাও চুপিসারেই দূরের কাঁশবনে।<br />চোখ দুটো তার আছড়ে পড়েছিলো ঠিক যেনো<br />আমার মনের ডোবায় আর-<br />দৃষ্টিরেখা গিয়েছিলো গেঁথে হৃদয়ের এঁদো কাদায়!</p>
<br /><p>অতঃপর আবার সেই নিরবতা-<br />দেখে দেখেই কেটে গেলো অনন্ত প্রহর,<br />কাদা থেকে পাথরেই এখন একাকার বুক ধর!<br />কিছুই হলোনা শোনা, তাকেও হলোনা জানা-<br />রয়ে গেলো এলোমেলোই সবি’<br />সেটে আছে সে হৃদয়ে আজো-<br />হয়ে আছে পিকাসোর কোন রহস্যময় দুর্বোধ্য ছবি!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141124123709/আত্মকথন2014-11-24T00:38:34-05:002023-06-25T16:53:21-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>তোমার পানে চোখ নেই সেই কতদিন;<br />হয়ে গেছো প্রাগৈতিহাসিক, ভীষণ প্রাচীন!<br />কালের গাঙে বয় নিরলস প্রহর-স্রোত,<br />স্মৃতির দেয়াল-চিত্রগুলো ফোটে থাকে নিখুঁত।</p>
<br /><p>ক্যালেন্ডারের পাতার সাথে বদলায় দৃশ্যপট,<br />রোদ-পোঁড়া, শ্রাবন-ভেজা, কুয়াশা-ঘেরা মনের তট;<br />হয় ধূধূ প্রান্তর এক- প্রায় যেনো মরুময়, <br />তেতো আর নোনা জলে বিষাদের নদী বয়।</p>
<br /><p>ফণীমনসার কাণ্ডে শোভিত বেগুনী ফুল,<br />সয়াবিন ক্ষেতে কাকতাড়ুয়ার মনেও লাগে দুল;<br />অর্কিডের লতানো দেহে এলো বলে বসন্ত!<br />তবুও কেন পর্দা-আটা, হৃদয়-দ্বার বন্ধ?</p>
<br /><p>নি:সঙ্গ চারিধার নিস্তব্ধ, নি:শ্চুপ-<br />পাশেই ধূলির আস্তরণে ঘুমায় মনের টেলিস্কোপ;<br />ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন দূরে ধিকিধিকি তারা জ্বলে,<br />আর আমি পুঁড়ে যাই অষ্টপ্রহর বিষাদ-অনলে!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141122033900/আট কপালী2014-11-22T03:59:42-05:002023-06-25T01:25:00-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>একটা খেঁজুরের গাছ, পথের ধার’-<br />অর্ধ-দেহ, গিয়েছে আব্রু নেই আড়াল;<br />নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে জরাজীর্ণ দেহ তার <br />এখানেই রাতে-দিনে গত তিন কাল;<br />ঝুলন্ত হাঁড়িতে পূর্ণতা আসেনা আর। <br />কেন তার এমন তবে আটকপাল?<br />লেগেছে দগদগে পঁচন, বিঁধেছিল-<br />যেথা লোলুপ দাঁত দু-পেয়ে হায়েনার!</p>
<br /><p>অবশেষে ক্ষয়ে আসে শীতের চোয়াল <br />সম্বিৎ পায় ক্রম ক্ষয়িষ্ণু মাঘী রাত;<br />নিয়ত বসন্ত-সমীর বহে দামাল- <br />কেটে যায় আঁধার, দ্বারে সোনা-প্রভাত;<br />পুলকিত দেহ তার, সব ক্ষত ভুলে-<br />ফলবতী হবার নব আনন্দে দুলে।</p>
<br /><p>রচনা কালঃ ১৫ জানু-২০১৩ইং</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141121030534/স্ব-ব্যবচ্ছেদে সুদক্ষ হাত2014-11-21T05:10:21-05:002023-06-27T04:53:44-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>একদিন হৃদয়ের মন্দিরে ছিলে তুমি সযতনে;<br />বিশ্বাসের প্রাসাদে নির্মিত বেদীতলে-<br />সুখের দেবী হয়ে মনের প্রগাঢ় কুঞ্জবনে।</p>
<br /><p>এখনো আছো তুমি ভাবনার মেঝে জুড়ে-<br />স্মৃতির দেয়ালে প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্রের মতন,<br />অনুভূতির ফসিলেরা ঠিক ঠাক আছে জেগে।</p>
<br /><p>জেগে থাকে রাতভর আলোকবর্ষ দূরে<br />ক্যাসিওপিয়া; কালপুরুষ; রোহিনীরা-<br />পাশেই ক্রতু; পুলহ; পুলস্ত্য; অত্রি; অঙ্গিরা।</p>
<br /><p>এখানেও আদিম রাতের জমাট আঁধারেরা<br />নিশাচরের ধাতব ডাক, নিঃসঙ্গ ল্যাম্প পোস্ট-<br />রাত পাখি আর নির্ঘুম রাত পোকারা।</p>
<br /><p>মনের ঘরের ছাদ গেছে সেই কবে!<br />কর্দমাক্ত ভিটেটুকু আর আমি শুধু..<br />খোলা আকাশের নিচে সটান আছি পড়ে।</p>
<br /><p>যেনো গোটা আমিই অভিনব লাশকাটা টেবিল এক!<br />নিপুণ স্ব-ব্যবচ্ছেদে সুদক্ষ আমার হাত-<br />দিবানিশি ময়না তদন্তে উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি!</p>
<br /><p>স্মৃতির লাশ কাটাকুটি-<br />আমাকে কাটি, কাটি তোমাকেও;<br />বেদম খুর চাকু চলে অলিন্দ-নিলয় জুড়ে!</p>
<br /><p>এখনো এখানেই চিত হয়ে সটান....<br />অনেক দূরে ক্যাসিওপিয়া; রোহিনী; অত্রি; অঙ্গিরা;<br />অনন্ত আকাশ তলে রক্তাক্ত বিক্ষত একচিলতে প্রাণ!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141119021737/শুকোবে প্রাণ ফোয়ারার রূপোলী জল2014-11-19T02:43:43-05:002023-06-25T01:25:00-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>একদিন থেমে যাবে আশ্বিণী সমীর নৃত্য;<br />মনের ডোবায় নামবে সেদিন শৈত্য!</p>
<br /><p>কুয়াশার আচ্ছাদনে ভিড়বে তো শুধুই জীর্ণতা,<br />থাকবেনা রূপরস চোখে পড়বে অনন্ত রিক্ততা।</p>
<br /><p>নাব্যতা উবে গিয়ে ভীষণ টানে পড়বে প্রাণের জল,<br />নিরব চারিদিক বাজবেনা এই ঘাটে কারো পায়ে মল!</p>
<br /><p>কালের প্রাচীর ধ্বসে শুকোবে প্রাণ ফোয়ারার রূপোলী জল;<br />অতঃপর থামবে কায়ক্লেশ সন্তরণ, নিথর হবে ঘাট হবো নিশ্চল!</p>
<br /><p>অবশেষে ঘুঘুচড়া ভিটেটুকু থাকবে পড়ে নির্জন,<br />মহাকালের ঢেউয়ে ভেসে গেলে কে আর করবে স্মরণ?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141118123214/নিঃসঙ্গতা2014-11-18T00:47:39-05:002023-06-25T01:24:58-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>স্বর্ণলতার সাথে নদী পাড়ের হিজল গাছটার প্রেম ছিলো <br />হয়তো সমান্তরাল নয়তো কার্য-কারণ;<br />তবু ছিলো একটা সম্পর্ক একপেশে হলেও-<br />অন্তত এক আকাশের নিচে ছয়ঋতু কাটাবার মতোতো ছিলোই,<br />গেছে আশ্বিনী বাওয়ারের ঝাপটাটা গায়ে-গা জড়াজড়িতে পার হয়েছিলো ; <br />ওম শৈত্য যাই হোক কেটে গিয়েছিলো বেশ গত শীতটাও।<br />এদিক দিয়ে কতই তো যেতে হয়, আসতে হয়-<br />চোখে পড়তো ওদের অভিমানী মুখ, ভীষণ হাসি খুশি সুখের ঘর।</p>
<br /><p>এখন কেঁপে উঠে বুক, কী বীভৎস রূপ! <br />চোখ তোলে তাকাবার জো নেই আর- <br />পাতা হীন রিক্ত-জীর্ণ আধমরা নিঃসঙ্গ গাছটা মৃত্যুর দোয়ারে,<br />পাশের বনোজামের উঠতি বয়সী গাছটায় সেজেছে স্বর্ণলতার আয়েশী সংসার!</p>
<br /><p>প্রেমছিলো জামরুলের পাতার ফাঁকের ঐ আটপৌরে আকাশটারও<br />একদল উদ্বাস্তু মেঘের সাথে দেখেছিলাম গভীর ভাব;<br />হতো একের রঙে অন্যে রাঙা, কী মিতালী, কী সখ্য!<br />নিশি যৌবনা সৌর কন্যাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে <br />অনায়াসে মেঘের সাথেই বিহারে যেতো হিমালয়ের ওপারে!</p>
<br /><p>মাত্র তো ক'মাস হলো!<br />এখন কে বিশ্বাস করবে সেই সব কথা ?<br />খা খা পড়ে আছে শূন্য বুক,ঝিমুচ্ছে অলস নিথর বিমর্ষ আকাশ,<br />যেনো বিগত যৌবন বৃদ্ধ এক, অস্থি চর্মসার কুঠরাগত চোখ!<br />অনেক নিচে অবারিত কোমল জমিন, সবুজ মাঠ, বনভূমি।<br />এখন মেঘেরাও এখানেই বেঁধেছে ঘর,কখনো কুয়াশা হয়-<br />আবার কখনো দিগন্তের উপর গোধূলি গড়ে, রঙে পুঁড়ায় নতুন হৃদয়!<br />নিঃসঙ্গ আকাশটা সেই সুদূরে একাই আছে পড়ে।</p>
<br /><p>হয়তো এখানেও একটা প্রেম ছিলো এই ব্রহ্মপূত্র পাড়ে,<br />জোয়ারের নদীতে, নয়তো আমার বুকের গভীরে;<br />গেছে বর্ষার জলের দাগগুলো দগদগে ক্ষতের মতো ফোটে আছে নদীর দেহে,<br />সামনে অবারিত চর ক্রমশ বিস্তৃত হয়ে হয়ে যেনো-<br />আমার হৃদয় অবধি ছড়িছে গেছে, হয়তো ছড়াবে আরো বহুদূর!</p>
<br /><p>পাশেই মৃতপ্রায় হিজল গাছটা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে ,<br />দূরে উদাসী বিমর্ষ আকাশ আর সামনে বালু চরে আটকে যাওয়া নদী!<br />বেশ কিছুক্ষণ হলো গোধূলি ছাড়াই সুর্য্যটা ডুবলো,<br />নদীর ঐপাড়ের সিলভার ক্যাসেল আর রিভার প্যালেসের ঝাড় বাতি গুলোও জ্বলছে,<br />হাতে হাত, চোখে চোখ, হৃদয়ে হৃদয় সেখানে অগনিত প্রেম,<br />আর নিঃসঙ্গ আমি বসে আছি এখানে, এই ব্রহ্মপূত্র পাড়ে;<br />সামনেই অবারিত চর, ক্রমশ ছড়িয়ে যাচ্ছে হৃদয় গভীরে।।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141116122314/মনোহরা জন2014-11-16T00:30:30-05:002023-06-25T01:24:58-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আজি এমন মায়াভরা প্রভাতে<br />কে তুমি আমার মনন-নদী তীরে?<br />একেলা আছ বসি এমন নিভৃতে<br />আলো-আঁধারি প্রতিচ্ছবি আমার হৃদয়-নীরে।</p>
<br /><p>আঁখি পানে দেখিবনা,<br />আছে যেন কি জানি এক টান!<br />কেঁপে উঠে হৃদয় বীণা-<br />প্রাণ মাঝে হয় যেন তীর ভাসা বান!</p>
<br /><p>কী ই বা তোমার পরিচয়-<br />আর কোন গাঁয়েতে আছে তোমার ঘর?<br />কেনই বা দেখিয়া তোমায় হিয়া এমন হয়-<br />কেন জাগে এত ঢেউ চরা-নদী পর?</p>
<br /><p>সংসার ত্যাগী ঘর-গাঁ ছাড়ি'<br />আজি আমি গেরুয়া বসন ধারী,<br />আসমুদ্র হিমালয়ে চলি ফিরি<br />দিবা নিশি পথে প্রান্তরে ঘুরি।</p>
<br /><p>খুঁজিয়া তোমায় একাকার অগ্নি জল পবন<br />দোহাই তোমার আর করিওনা সংগোপন,<br />বল, তুমিই কি সেই মনোহরা জন?<br />যার তরে সন্যাসী অকালে এই অবুঝ মন!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141115125131/কাল-ক্ষণ2014-11-15T01:39:58-05:002023-06-25T01:24:58-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>দিন বদলায়, বদলে যায় সবকিছু-<br />ধূলিসাৎ হয় সুবিশাল অট্টালিকা-ইমারত, <br />যেভাবে বদলে যায় একদিন-<br />প্রবল প্রমত্তা নদীর অভিজাত গতিপথ।</p>
<br /><p>বদলায় ভাবনারাও আকশের রঙের মতো-<br />মনো-প্রস্রবনে উথলিয়ে উঠে নতুন মত,<br />আকাশে গোধূলি আসে, আসে ধোঁয়াশা- <br />দিগন্ত পটে আলো আঁধারীর খেলা যুগপৎ!</p>
<br /><p>থেমে গিয়েও যেনো যায়না থেমে-<br />অদূরে হাতছানি দেয় অকাল ভবিষ্যৎ,<br />ধীরে ধীরে চাকার ব্যাসার্ধ কমে গিয়ে-<br />অবশেষে শ্লথ হবে জীবন রথ ! </p>
<br /><p>কালের থাবায় করতে হবে আত্মসমর্পণ<br />মলিন হবে গৈরীক কায়া রাজসিক যৌবন;<br />মনো-দো'রে ঋজুতা এলে তো-<br />বার্ধক্যের জেটিতেই নোঙর করে জীবন!</p>
<br /><p>কে তরাবে, কে দিবে আলো?<br />ধেয়ে যে আসছে কাল-ক্ষণ!<br />অনাগত কাল ধূলো-স্তূপে চাপা<br />অতীতের কী হবে রোমন্থন?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141114051722/তবু প্রতীক্ষায় আছি2014-11-14T06:49:55-05:002023-06-26T16:04:42-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আমি এখন এখানেই আছি<br />তবু প্রতীক্ষায় আছি তোমার সেই শহরে;<br />মরে যাওয়া নদীর স্বপনের চরে-<br />আবার আসতেই হলো ফিরে।</p>
<br /><p>অতীতের বিধ্বস্ত পাঁচিল-মেঝে খুঁড়ে<br /> সুখের ফসিল খুঁজি স্মৃতির ভিড়ে!</p>
<br /><p>এখানে ঘাসের ডগায় মুক্তো হয়না প্রেমের-<br />শিশিরেরা ঢলে পড়ে আড়াআড়ি ঢোল কলমির চওড়া পাতায়,<br />অবশেষে হয় উবে যায়, নয়তো গড়িয়ে গিয়ে- <br />ম্যানহোলে কিংবা ড্রেনের জলেই মিশে যায়।</p>
<br /><p>যেখানে বিশ্বাসের পেন্ডুলাম ডানেবামে দুলে,<br />ভালোবাসা ফেঁসে গিয়ে হৃদয়-খুঁটায় ঝুলে!</p>
<br /><p>এখন মাঝরাত, পাতার ভাঁজে শুয়ে বসে ঝিমোয়-<br />ল্যাম্পপোস্টের তাড়ায় বাস্তুচ্যুত আঁধারের কণারা; <br />আর ঝোঁপের তলায় লুকোয়-<br />ঘুম ঘুম চোখ অভিসারী ছায়ারা;</p>
<br /><p>এখানে চাঁদের আলো লজ্জাহীনা-<br />হয়তো জোনাকিদেরও নেই ডানা!</p>
<br /><p>পাশেই রেলের স্লিপারে বীভৎস মুখ আমার! <br />প্রতীক্ষায় আছি তবু আমি,<br />আমার সুইসাইডাল স্বপনের প্রেতাত্মারাও আছে <br />আর কংক্রীটের পাচিলে এক কয়েদী তুমি;</p>
<br /><p>দেখি, কিভাবে প্রাণপন পথ খুঁজে তোমার মন<br />এখনো ধ্রুপদী সুখের উৎসমূলে সারাক্ষণ!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141113034842/জীবনের কৃষ্ণপক্ষ2014-11-13T05:12:23-05:002023-06-25T01:24:57-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>একদিন আমারও একটা শুক্লপক্ষের রাত ছিলো,<br />দিগন্ত জুড়ে শুধুই তোমার মুখ ছিলো,<br />রাতের জমিনে ভীরু পায়ের ছাপ ছিলো,<br />মাথার উপর নক্ষত্র জ্বলা এক আকাশ ছিলো। </p>
<br /><p>আর- এদিকে কোথাও একটা মঠ ছিলো<br />হয়তো এখানেই নয়তো বুকের গভীরে,<br />সান্ধ্য প্রদীপে মনের ঈশ্বরের ভোগ হতো<br />ধুপকাঠির ধোঁয়ায় সুবাস ছড়াতো বহু দূরে !</p>
<br /><p>অতঃপর এখানে কৃষ্ণপক্ষ এলো, <br />লন্ডভন্ড হলো সব ধেয়ে আসা হিম-নিকষ ঝড়ে;<br />ধ্বসে গেল সুখের উৎস মুখ-<br />ভেসে গেলে তুমি নিমেষে সেই সুদূর চরে!</p>
<br /><p>আজ জমাট বরফ নেই, আঁধারের খোলসও নেই বাকী<br />তবুও কেন ধুধু পড়ে আছে নিস্প্রাণ রাতের নগ্ন বুক?<br />সাঁড়াশি অভিযানে তছনছ হলো তামাম চর-<br />কোথাওতো পাওয়া যায়নি একরত্তি সুখ !</p>
<br /><p>অনন্ত মহাকালতলে বিরান প্রান্তর আমি-<br />এখন জ্বলেনা আর কোন নক্ষত্র চোখ;<br />নিয়তির খুর চাকুতে ফালি ফালি বুক-ধর<br />আর দুঃস্বপ্নে ভরা বীভৎস-ভয়ার্ত এক মুখ !</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141112023116/জোড়া পুকুর পাড়2014-11-12T03:03:03-05:002023-06-25T01:24:57-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কিছুটা জানা কিছুটা অচেনা আর বেশীটাই কল্পনা<br />বেভুল মন ভুলে ভুলেই কিভাবে যেনো-<br />অনেক কিছুকেই ভেবে ফেলে আপন;<br />নরসন্দার বুক ফোঁড়ে গজানো এক চর<br />একদিন সেখানেই উঠেছিল গড়ে সে নগর ।</p>
<br /><p>ঋতুর ধারায় বেশ রূপ পাল্টায় এখানটার,<br />বাতাসে ভাসে কদম, শিউলী, বেল ফুলের মৌ মৌ ঘ্রাঁণ,<br />গুটি কতক নারকেল, অর্জুন আর দেবদারু গাছ;<br />বনোফুল আর ভাঁট ফুলের ঝাড়ে-<br />হয়তো মৌটুসী, দোয়েল সারাটা বেলাই চরে,<br />উঠতি বয়সী দু-একটা কলার চারাও পারে থাকতে, <br />মৃদু বাতাসে চামর দুলায় কোমল পাতায়;<br />দিন শেষে কাক-শালিকের ঝাঁক পাশে কোথাও<br />নিশ্চিন্ত ক্লান্তি ঝাড়ে কিচির মিচির কলরবে ।</p>
<br /><p>কে রাখে খোঁজ, কারই বা আছে খবর?<br />সকাল, দুপুর, বিকেল সুলভ বিনিময় রঙ বেরঙ সুখের !<br />নামের আর দরকারটাই বা কি ছিল এ শহরের?<br />আমার কাছে সবটুকুই যেনো জোড়া পুকুর পাড়।</p>
<br /><p>ডেকে চলে ফেরীওয়ালা- <br />শন-পাপড়ি, বাদাম টানা ফ্লাস্কে ভরালেবু চা <br />( অবশ্য চায়ের অভ্যাস নাই তার )<br />কখনো আইস্ক্রীম, চালতা আর জলপাই আচার,</p>
<br /><p>হয়তো বছর দশেকের কোন বালিকা আসে-<br />এলোমেলো বিবর্ণ চুল, আহা! <br />কত স্বপ্নে ভরা উজ্জ্বল চোখ!<br />তরতাজা কদম ফুল কিংবা বকুলের মালা হাতে ।</p>
<br /><p>খোসাওয়ালা বাদাম চিবিয়ে খাওয়ার ধুম<br />হয়তো এখানেই পড়ে হররোজ-<br />(যেমনটা দেখেছি অহরহ তাকে খেতে <br />ক্যাম্পাসে বসে, পটের ছবির মতো হেসে)<br />স্পষ্ট মনে আছে, একদিন বলেছিল সে-<br />পাশেই ঊর্মিদের বাড়ী তার পর ওদের ।।</p>
<br /><p>(এক সহপাঠিনীর (নামটা গোপন থাকলো) বাড়ী কিশোরগঞ্জ শহরের "জোড়াপুকুর পাড়" এর কাল্পনিক বর্ণনায় লেখা, অনেক ইচ্ছে থাকার পরও সেখানে আমার কখনোই যাবার সৌভাগ্য হয়নি। রচনাকাল- ১৮ অগাস্ট ২০০১)</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141111120451/প্রেম সূত্র2014-11-11T00:45:22-05:002023-06-25T01:24:57-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>বিশ্বাসের নদীতে আস্থার নাও<br />নিত্য পায় সুখের বাও, <br />অনতিদূরে প্রেম-স্বর্গ।</p>
<br /><p>আর সন্দেহের অন্তর নির্ঘুম চোখে-<br />খুর-কাঁচি শানে, দুরু দুরু বুকে, <br />আস্ত ধরাই যেনো এক মর্গ!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141109115420/বনসাই2014-11-10T00:00:22-05:002023-06-25T01:24:57-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ব্যালকনির শূন্য টবের মতোই পরিত্যাক্ত-<br />নির্জলা ছোট্ট একচিলতে ভিটে;<br />বহুদিন অনাদরে আর অবহেলায়;<br />সেটা মোটেও কোন ব্যাপার না!<br />-আচ্ছা,তাহলে?</p>
<br /><p>রোদ আছেতো জল নেই,<br />জল হলে আর ছায়া নেই;<br />পোড়া পোড়া কাঁকর মাটি- <br />একদম মায়া নেই;<br />না থাক, পড়ে থাকুক;<br />এটাও কোন ব্যাপার না! <br />-থাকুক, তবে?</p>
<br /><p>এখানে গহীন অরণ্য যে এমন! <br />তিল ধরবে সেই ঠাঁইও নাই-<br />একদম ঠাসাঠাসি গাদাগাদি....,,,<br />বেশ হয়েছে, আরও হোক;<br />এটাও তো কোন ব্যাপার না!<br />- হুম, কিন্তু?</p>
<br /><p>কতক লকলকে লতানো-<br />কতক আছে দেয়াল কামড়ে,<br />বীরুৎ গুল্ম বৃক্ষ সবই আছে।<br />এখন বেশ ছায়া হয়, জলও হয়.....<br />ফুল-ফল সব হয়, ইদানীং মায়াও হয়!<br />হওয়ারই তো কথা, তাই হয়, হোক.....<br />কোন ব্যাপার না!<br />-তারপর?</p>
<br /><p>মাঝখানে একটা বনসাই!<br />আমি নিজ হাতে করেছি-<br />তরতর করে বেড়ে উঠা,<br />একটা গাঢ় সবুজ বনস্পতি; <br />আমার বনসাই ভালোবাসা!<br />-বুঝলাম</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141108014035/থাকলো মনের ভাব অধরা2014-11-08T01:44:59-05:002023-06-25T01:24:56-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>গড়তে চাইলাম কাব্য শহর<br />যেথায় বইবে প্রেম-নহর,<br />ফুল-পাখিতে শোভিত বিথী<br />স্বপ্ন সুখের পূর্ণ তিথী;<br />নিকষ রাতের আঁধার ঠেলে<br />ভোরের রেখা উঠবে খেলে,<br />সাগর নীলের আকাশ ছা'পি<br />প্রভাত আনবে রোদের ঝাঁপি।</p>
<br /><p>ভাবতে গেলেই দ্বন্দ্ব জাগে<br />ভাব নাকি ছন্দ আগে?<br />ধ্বনি শব্দের নেই যে গতি<br />কেমনে মিলবে মাত্রা যতি!<br />আসমান জমিন পাতাল ঘুরে<br />ভাবের খুঁজে আলোক বর্ষদূরে!<br />নাইকো কোথাও শব্দ বহর<br />কবর হলো নিযুত প্রহর।</p>
<br /><p>শূন্য হাতেই এলাম ফিরে-<br />পুরনো সেই জীর্ণ নীড়ে;<br />কাটলো যে মোর শত অব্দ<br />হবে তো এবার প্রাণ স্তব্ধ!<br />কাব্য নগর হলোনা গড়া <br />থাকলো মনের ভাব অধরা,<br />আঁধার রঙে ভাগ্য আঁকা<br />ফোটে কেমনে আলোক রেখা?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141102094817/ভাবনার জেটিতে শতেক নাও2014-11-02T09:49:52-05:002023-06-25T01:24:56-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>সামনেই বিস্তর মাঠ, আছে অনন্ত আকাশ-<br />এখানেই বেশ কেটে যায় প্রহর;<br />একাকি স্থবির বসে অসীম শূন্যতায়- <br />অনেকটা পাশের উইয়ের ডিবির মতোই।</p>
<br /><p>পাশদিয়ে ছুটে গেছে সওজ এর চওড়া পথ<br />অনেকটা আঁকাবাঁকা সাপের মতো,<br />আর ছুটে চলে আমার মন যখন-তখন-<br />ঐ দূরের ছুটে চলা নদীর মতোই।</p>
<br /><p>কখনো ভাবনার জেটিতে নোঙর করে শতেক নাও<br />নিমেষেই কেটে যায় শূন্যতা,<br />আসে কোলাহল ভিড় করে অতীত-বর্তমান,<br />অনেকটা ছবির রীলের মতো।</p>
<br /><p>বদলে যায় ঋতু, যেভাবে বদলায় মানুষের মন;<br />আহ! কি কোমল শীতের পরশ;<br />লাজুক লাজুক শীত,<br />"স্কুল পড়ুয়া সেই কিশোরীটির মতো;</p>
<br /><p>মনে পড়লো ঠিক পটের ছবির মতোই,<br />শিউলীতলায় এই আসে তো এই যেনো আবার আসেনা, <br />অবশেষে আমাকে দেখেই পালিয়েছিলো ঝুড়িহাতে-<br />ভীরু ভীরু চোখ, মনোহর চপল হরিণীর মতো।"</p>
<br /><p>হেমন্তের গন্ধেভরা ফসলী মাঠ-<br />সোনালী রঙ অষ্টাদশী ভরাট দেহ,<br />সবুজের আবরণে ঢাকবার ব্যর্থ প্রয়াস,<br />মায়াভরা চোখ গর্ভবতী নারীর মতো।</p>
<br /><p>ঐ দূরে সবুজ শ্যামল গাঁ-<br />ঝিলের জলের শালুকের মতো চোখ;<br />তাকিয়ে আছে কেমন মায়া ভরে-<br />ডাকে আমায় ঠিক মায়ের মতো।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141022042050/নিভৃত এক গাঁয়2014-10-22T04:22:14-04:002023-06-26T13:02:59-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>যেভাবে মোলা-চ্যালারা দুপুর কাটায়-<br />নিরব ছায়ার পুকুর-ডোবায়,<br />ঘাস ফড়িঙেরা দেহ লুকোয়<br />সবুজ মাঠের মায়ায় ! </p>
<br /><p>আমি এখানেই থাকবো মিশে <br />এই বর্ষা-ধারায়;<br />কদমের গা-ধোয়া জলে ভেজা <br />লাজুক-নিভৃত এক গাঁয়।</p>
<br /><p>এখানে পাখনা মেলে বহে বাতাস-<br />পেরোয় রূপোলী মেঘের আকাশ,<br />যখন তখন উড়ে বেড়ায় <br />সারি সারি মরাল,ধনেষ, লাল ঝুটি হাঁস।</p>
<br /><p>পানকৌড়িরা সাঁতরে বেড়ায়-<br />শাপলা-শালুকের ঝিলে;<br />গাঙচিলেরাও সুখেইতো বেশ<br />জিরোয় বসে জল কড়ইয়ের ডালে। </p>
<br /><p>মাছরাঙারা ঝিমোয় বসে <br />একচোখে চেয়ে ছোট্ট ডোবার জলে;<br />চূনোপুটির ভেজা গায়ের সুবাস<br />এখানেই যেন দিব্যি মিলে!</p>
<br /><p>এদের সাথেই মিলেছে রঙ-<br />আমায় এদের মাঝেই মানায়;<br />তাই কাটিয়ে দেবো প্রহর আমার-<br />এই অপরূপ শ্যামল ছায়ায়।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141016125717/অনাবাদী ভূমি2014-10-16T01:16:06-04:002023-06-25T01:24:56-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>চারদিকে ফসলের ঘোর মৌসুম <br />কৃষকের এতটুকুও নেই ফুরসত ফেলবে যে দম!</p>
<br /><p>আদর-ভালবাসায় সিক্ত ফসলী জমি<br />অশ্রু সজল চোখ পাশেই ঝোঁপ-ঝাড়ের বনভূমি! <br />অবহেলায় অনাদরে যুগযুগ অনাবাদী-<br />ভেবে রসহীন, আসেনি কেউ ফলাতে ফসলাদি।</p>
<br /><p>এখানেতো শুধু বর্জ্যই ফেলা হয়<br />তাই ডুকরে উঠে তার কোমল হৃদয়-<br />"এই বুক যদি এতটাই নিরস হয়!<br />কিভাবে তবে এতো সবুজ আগাছা হয়?"</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141014114420/জীবন্ত জীবাশ্ম2014-10-15T00:05:49-04:002023-06-25T01:24:55-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>দেখেছ কি কখনো তুমি<br />প্রবাল কিভাবে হয় সাগর গভীরে? <br />কোমল জলজ কিভাবে থাকে গেঁথে-<br />মমি হয়ে খনির চুনা পাথরে;<br />কিংবা কীট-পতঙ্গ কিভাবে থাকে বিঁধে-<br />ইট, বালি আর সিমেন্টের পিলারে!</p>
<br /><p>ঠিক এভাবে জীবাশ্মই হয়ে যাবো একদিন-<br />দেখো, অবশেষে যাবো হয়ে বড্ড পাথুরে! </p>
<br /><p>সাধ তো ছিল শুভ্র মেঘ হবো<br />নীল আকাশেই বেড়াবো উড়ে;<br />কখনো তোমার দৃষ্টি ছোঁব <br />আবার কখনো হারাবো ঐ সুদূরে..</p>
<br /><p>কেন এমন নির্মম বাঁধনে তবে-<br />বাঁধতে চাও তুমি আমারে?<br />কোমল পীচ যেমনটা রাখে ধরে <br />নিষ্ঠুর ভাবে কংক্রীটের এই পথটারে <br />আর ভাটার আগুন যেমনটা- <br />ভালবাসে সহজ সরল কয়লারে!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141014050829/আমার গাঁ2014-10-14T07:18:24-04:002023-06-25T01:24:55-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<img src="http://3.bp.blogspot.com/-qaOPejmKago/UanHPQ2BkKI/AAAAAAAAN8k/aBbotGh4UZg/s400/Dakkhindihi.jpg" style="max-width:510px;" alt="" /> <br />তোমার দেহেই একাকার হ'বো-<br />মাটির ভাঁজ হয়ে মিশে র'বো, <br />সবুজ ঘাসেরা বাহু জড়িয়ে সারাবেলা<br />ফুলেল বসন্তে করবে এখানেই খেলা।<br />কৃষাণের সাথেও সখ্য হবে সবুজের ছায়ায় <br />কেটেই যাবে গ্রীষ্ম আমার ওদের চোখের মায়ায়;<br />ডাবের চারারা আমারেই আপন করে <br />টেনে নিবে শিকড়ের চুমোয় স্নেহ ভরে।</p>
<br /><p>নয়তো, জল হবো কলমিলতারা ভেসে রবে<br />অভিমানী বুকে এদিক ওদিক হামা দিবে, <br />আমার সর্বাঙ্গ জুড়ে জল সিক্ত সরীসৃপের মতো <br />আহা! আনন্দ কতো!<br />বর্ষায় এখানেই আবার কদমের ঘ্রাণ, <br />ঘ্রাণ পাবো তাজা জীবনেরও, নেচে উঠবে প্রাণ;<br />গাঁ বেয়ে সদ্য জীবনধোয়া জল নিয়ে<br />একাকার হবে ধারা এসে মিশে গিয়ে।</p>
<br /><p>দুরন্ত বাতাস হ'বো গায়ে শিউলীর গন্ধ মেখে<br />নদীর চরে দোল খা'বো কাঁশবনের বাঁকে; <br />পাঁকা আমনের বুক ছুঁয়ে <br />সুবাস নিয়ে ফিরবো গাঁয়ে;<br />সূর্য্যমুখী আর সর্ষের ক্ষেতে যখন মধুকরেরা ভিড় করে ,<br />আমিও থাকবো সেথায় কুয়াশার লাজুক পিঠে চড়ে।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141013085227/অভিমানী ব্রহ্মপূত্র2014-10-13T09:07:55-04:002023-06-25T01:24:55-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>অনাহারী নির্বিষ জলঢোরার মতো <br />বীভৎস, জরাজীর্ণ দেহ !<br />নেহায়েত অবহেলায় অনাদরে- <br />নেতিয়ে আছে একদা প্রবল-পরাক্রমী<br />হিমালয় জরায়ুজ, অভিমানী ব্রহ্মপূত্র।</p>
<br /><p>চোখের কোণ বেয়ে নামা অস্ফূট কষ্টের মতো, <br />চিকচিক করা দু'ফোটা জলে দ্রবীভূত একচিলতে প্রাণ,<br />ঝিমিয়েই কাটে কঠিন সময়-<br />যেনো গলায় ঝুলছে মৃত এ্যালবাট্রস <br />সেই অভিশপ্ত নাবিকের মতো!</p>
<br /><p>গিনিপিগ হয় ফেলে আসা দিন,<br />হয় নিষ্পেষণ জাবরে জাবরে;<br />কার্তিকের টানে খসে পড়ে নিতম্বের সর্বশেষ পাতাটা,<br />প্রাণপনে আব্রু বাঁচায়, মুখ লুকোয়, <br />নিজের পরিত্যাক্ত বিষ্ঠের মতো বালির চরে!</p>
<br /><p>মিলিয়ে গেছে কবেই ভাটিয়ালী নৌকোর স্ফীত বাদাম!<br />এখন আর জলের বুকে নয়, <br />ধইঞ্চার ক্ষেতে; নল খাগড়ার শীঁষে লাগে দুল;<br />শরতের কাঁশফুলেই শুধু কাঁপন ধরে<br />মৌসুমী উজান হাওয়ার তোরে।<br />কই আজ ভর বর্ষার সেই ছ'ফুটি ঢেউ?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141011111113/মন্ত্রভাঙ্গার মন্ত্র2014-10-11T23:13:37-04:002023-06-25T01:24:55-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ইচ্ছেতো করে ভাবনার মতো অবাধ্য হই, <br />মন্ত্র ভাঙ্গার মন্ত্র হই, জীবন স্রোতের উল্টো ব'ই!<br />হই স্বপ্নের মতো দুরন্ত;<br />না থাকুক সীমার লেশমাত্র অন্ত!</p>
<br /><p>দেখো, কল্পনারা কতো স্বাধীন হয়;<br />কত সহজেই নীতি বিলোয়!<br />সমাজ-ধর্মের লক্ষণ রেখা পেরোয়,<br />আর কতো অবলীলায় গিয়ে তোমাকে ছোঁয়!</p>
<br /><p>সময়ের হিসেবে কি কোন হেরফের হয়?<br />সাগর-পাখীরা যখন তারিখ রেখা ডিঙোয়!<br />একদিন আমি সত্যি পাখীই হবো,<br />আর চুপিসারে গিয়েই তোমাকে ছোঁব। </p>
<br /><p>নতুবা চরম বিদ্রোহী হবো,<br />মন্ত্রপূত নয়, মন্ত্র ভাঙ্গার মন্ত্র হবো!!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20141001033402/দাবানল2014-10-01T03:54:25-04:002023-06-25T01:24:53-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>বসন্তের ছোঁয়ায় বাড়ে অরণ্যের স্নেহ<br />চৈত্রদাহে উষ্ণ হয় প্রকৃতির দেহ; <br />চোখে পড়ে স্পষ্ট যৌবনের চিহ্ন-<br />ক্রমশ ঋতুবতী বৃক্ষ; গুল্ম ;তৃণ।</p>
<br /><p>যায় একাদশী, দ্বাদশী, ত্রয়োদশী রাত- <br />চতুর্দশীতে জাদুকরী ধ্রুপদী চাঁদ!<br />সরস তরু তনু ষোলকলায় পরিণত<br />নিমেষে দেহ ভাজে কাঁপন হয় অনুভূত।</p>
<br /><p>ডালা পালা ছড়িয়ে খুঁজে ফেরে স্বজন<br />আদিম টানে তরুতে তরুতে নিবিড় আলিঙ্গন;<br />আবেগের বিনিময়ে আবিষ্ট তনুমন <br />ঝড়ো ঘর্ষণে কামনার হয় দহন!</p>
<br /><p>মাতাল উন্মাদনায় জ্বলে উঠে স্ফূলিঙ্গ-<br />অনলগর্ভা বীথি পুড়ে পুড়ে অঙ্গ!<br />পলকেই হয় ছাঁই গহীন বন জীবন্ত-<br />ধেয়ে চলে দাবানল তৃষ্ণা অনন্ত!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140930033135/অন্তিম নাদ2014-09-30T03:48:55-04:002023-06-25T01:24:53-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>মানবতার বিপন্ন ভিটেয় এখন শুধু ঘুঘুই চড়ে<br />তবুও হলনা যে ভুলের শোধ!<br />এগার মাসই তো কোমায় ঘুমায়-<br />পক্ষাঘাতগ্রস্ত দেশপ্রেম, নি:শেষিত মূল্যবোধ!<br /> <br />তবু বিমর্ষ মুখে উকি দেয় ক্ষয়িষ্ণু চেতনা<br />আবার আসে গৌরবের সেই মাস,<br />ভোগবাদের ফটকে অনেকটা হামাগুড়িতেই পৌছে যেন-<br />দাঁড়ায় করুণ চোখে, অহংকারের অগ্নিঝরা মার্চ !</p>
<br /><p>বাসে ট্রেনে জীবন্ত পোড়ে ছাই গনতন্ত্র-<br />যুগযুগ অধরাইতো রয়ে যায় মুক্তির স্বাদ;<br />তাই রাত গভীরের তোপধ্বনিতে <br />যায় মিলিয়ে ভবনচাপা স্বাধীনতার অন্তিম নাদ!</p>
<br /><p>সাত কোটি থেকে এখন ষোল কোটি, <br />দিনদিন বাড়ছেই উন্মাদের হার!<br />নিভৃতেই চলে প্রলাপ যত্রতত্র-<br />কেই বা রাখে খবর কার?</p>
<br /><p>কৃষ্ণপক্ষ আর শুক্লপক্ষ এখানে সমানে সমান <br />অহরহ দৃষ্টিসীমাতেই বদল হয় মঞ্চের চেনা কুশীলব, <br />অবলীলায় পাল্টায় তাদের মুখের বোল -<br />আসে নানান বাচন ভঙ্গী কত অভিনব!</p>
<br /><p>প্রসূত হয় মুক্তিযোদ্ধা এখনো প্রতিক্ষণ -<br />দখল নিতে হবে যে লোভের আসন!<br />সুতরাং খুব সঙ্গত কারণেই আজ-<br />পূর্ণিমার চাঁদে ও চলে রাজাকারের শাসন!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140929052316/কাব্য2014-09-29T05:30:46-04:002023-06-25T01:24:53-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কাব্য তো সেই সুদূর স্বর্গীয় মেওয়া<br />তাই সাধ্য কি তাকে কাছে পাওয়া ?<br />ছন্দ-গাঁথা, ছত্রক-বাঁধা আঁটোসাঁটো গড়ন;<br />সাবধানী,অভিমানী অভিজাত তার চলন।<br />কখনো দেবলোকের নীলাভ মেঘে উড়ে<br />খুব বেশী ইচ্ছে হলে আকাশ গলে ঝরে।</p>
<br /><p>কালেভদ্রে নামলেও সে এই ধূলো-ধরায়<br />রাজ তিলক হলেই শুধু তাকে বাহু জড়ায়।<br />নদী তীরে, চাঁদনী রাতে, নিরব বাগিচায়<br />সে নাকি একা হাঁটে, বেড়ায়-নাচে-গায়;<br />কত প্রহর কাটিয়ে দিলাম বসে নিরালায়;<br />হায়! দেয়নি তো ধরা- সে যে ক্ভু আমায়।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140928122402/হারানো সাঁঝ2014-09-28T00:28:24-04:002023-06-25T01:24:53-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>কতদিন অমন সাঁঝ দেখিনা <br />আমাদের পাড়া গাঁয়;<br />কার্তিক আসে <br />কার্তিক যায়<br />আগুন নিয়ে দৌড়া হয়না <br />পাটকাঠির তিনমুখো আটায়।</p>
<br /><p>শোনা যায় না শাঁখের ধ্বনি;<br />লাহিড়ী বাড়ীর তুলসী তলায়;<br />চারি ধারই<br />নিরব প্রায়<br />উঠেনা বেজে উলুধ্বনি <br />মুখূজ্জে বউয়ের কাঁপা গলায়।</p>
<br /><p>নবান্নের দিনের কথা<br />ভীষণ পড়ে মনে,<br />রাঙা বৌদির নেমন্তন্ন<br />পেতাম জনে জনে;<br />মেটো সানকি জুটবে কি না<br />ভাবতাম ক্ষণেক্ষণে;</p>
<br /><p>সাঁঝের আগে পাতার খুঁজে<br />যেতাম রায়েদের বনে;<br />এই বুঝি হল বিপদ!<br />ভীষণ ভয় প্রাণে।<br />বন-ভূতদের ফাঁকি দিয়ে <br />পাতা কাটতাম সন্তর্পণে।</p>
<br /><p>তে-পথের মোড়েই ছিল<br />ইয়া অশত্থ গাছ,<br />নাকি সুরের গীতের তালে<br />তেত্রিশ প্রেতের নাচ;<br />আঁশটে গন্ধ ছড়িয়ে তারা<br />খেতো শুধুই মাছ।</p>
<br /><p>আঁধেক ক্রোশ জুড়েই ছিল<br />তেঁতুলবন আর বাঁশ,<br />সবাই জানে এখানেতে<br />শতেক ভূতের বাস;<br />নিমাই খুঁড়ো নিয়েছিলো<br />এখানেই তো ফাঁস !</p>
<br /><p>ফেরার পথেও সবাই ভয়ে <br />একাট্টা সদল বল ,<br />হরিনাথের দিঘীতে নাকি<br />আবার বেড়েছে জল !<br />কেষ্টদার জ্যাঠিমা তো <br />এখানেই হল তল !</p>
<br /><p>গোরস্থানে ছাড়লে গলা <br />হুক্কা হুয়ার দল,<br />আমরা সবে শশ্মান ঘাটে-<br />শুনি বল হরি, হরি বল !<br />ভয়ের চোটে ধূতি বেয়েই-<br />তখন বিষ্টুর ঝরতো জল !</p>
<br /><p>(বিঃদ্রঃ কবিতাটি ধর্মীয় মূল্যবোধের বাইরে থেকে পড়ার অনুরোধ রইলো।)</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140927124109/কুমারী ঝিল2014-09-27T00:59:04-04:002023-06-25T01:24:52-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>বিশ্বাস করুন, হলপ করেই বলতে পারি-<br />এই হল সেই কুমারী ঝিল;<br />ঠিক এখানেই ছিল কদম আর-<br />শীল কড়ইয়ের লম্বা সারি।</p>
<br /><p>দিনশেষে দিগন্ত পানে হারিয়ে যেতো-<br />শহর ফেরত হাজারো পাখীর কলতান<br />আর এরই সাথে ধুয়ে মুছে শুদ্ধ হতো,<br />হারাত ক্লান্তি, বিষাদ আর বিমারী।</p>
<br /><p>পূর্ণিমার চাঁদের সাথে কি মিতালী!<br />কখনো আবার রাতভর হাসির বড়াই<br />সেয়ানে সেয়ানে; অবশেষে জয় নিশ্চিত-<br />কুমারী ঝিলের স্ফটিক জলের।</p>
<br /><p>বর্ষার ভরা মৌসুম এলে,<br />দোল খেতো শাপলা ফুলের মাঝেই-<br />কিশোরীর চোখের মতো পাতা শালুকের;<br />আর সেখানেই জলকেলী হতো বনোহাঁসের।</p>
<br /><p>অতঃপর নোটিশ বিহীন মাটি চাপায়,<br />একদিন কেঁদেকুটে কর্দমাক্ত আর <br />পরিশেষে সম্পূর্ণ বিশোষিত ও বাস্তুচ্যূত- <br />স্বর্গথেকে আসা ঝিলের জলের প্রাণ।</p>
<br /><p>এর কিছুই নেই আজ সেখানে,<br />নির্লজ্জ চিৎকার আর জবরদখলে উল্লসিত-<br />রড, সুরকি,বালি আর সিমেন্টে গড়া<br />অসংখ্য পিলার আকাশ পানে ধাবমান।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140926125053/জীবন তো জীবনই2014-09-26T01:04:46-04:002023-06-25T01:24:52-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>জীবন তো জীবনই;<br />সব সময় গলে গিয়ে জল হয়না বৃষ্টি ভেজা নুনের মতো,<br />কখনো কখনো জমে গিয়ে বরফ হয়-<br />আর ভিতরেই ফেঁসে যায়, বোতল ভর্তি জলের মতো;<br />আবার পুড়ে পুড়ে লালও হয় ভাটার ঐ ইটের মতো।</p>
<br /><p>জীবন তো জীবনই;<br />সারাক্ষণই বয়ে যায় না-<br />মাঝে মাঝে বুক জুড়ে চর হয় শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো,<br />তট জুড়ে ফেনা হয় ক্লান্ত সমুদ্রের মতো;<br />আবার ক্ষয়ে ক্ষয়ে অক্ষয় হয় বিধ্বস্ত পাহাড়ের মতো।</p>
<br /><p>জীবন তো জীবনই;<br />হাজারো ধরণ হয়, কেউ পেটের দায়ে জীবন যুঝে,<br />কেউ আপন ভুলে পরকে বুঝে, কেউ ঘর পালানোর পথ খুঁজে-<br />পথ ভোলা পথিকের মতো; কেউ মরে গিয়েও বেঁচে থাকে<br />আবার কেউ মরে মরেই বেঁচে থাকে ।</p>
<br /><p>জীবন তো জীবনই;<br />এখানে সবার চাওয়া এক হয়না;<br />অনেকেই ইঞ্চি-ইঞ্চি অর্থ খুঁজে, জীবন মানেই যন্ত্র বুঝে;<br />কেউ সব হারিয়েও সুখী আছে, কেউ কেউ সব রেখেও-<br />শূন্য মাঝেই ডুবে আছে; এমনও কিন্তু কম হয়না ......!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140923062340/কল্পনার সে2014-09-23T06:26:40-04:002023-06-25T01:24:52-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>নিঃসঙ্গ রাত চারপাশটা ঘুমকাতুরে-<br />তাঁকে নিয়ে হিসেবে একে একে জট ধরে ,<br />যোগ-বিয়োগ আর গুণ-ভাগের পরে-<br />দ্রুত বদলায় ফল ব্যস্তানুপাতিক হারে ।</p>
<br /><p> প্রায়ই ঝড় তোলে শিরদাড়া বরাবরে,<br />নিমেষে স্পাইনাল কর্ড তছনছ করে-<br />পেলভিস গার্ডেল হয়ে নেমে যায় ধীরে ধীরে<br />ঠেকে গিয়ে ঠিক ঠাক গোঁড়ালির হাড়ে ।</p>
<br /><p>কখনো হিম-শীতল অনুভূতি কড়া নাড়ে <br />কাঁপা ঢেউ উঠে বক্ষ পিঞ্জরে,হৃদয়-গভীরে, <br />ঠিক যেখানটায় সারাক্ষণ সে বসত করে;<br />নিশ্চিন্ত ঘুমায়, ভাবনার মন্দিরে ।</p>
<br /><p>সে নিভৃতে হাঁটে আমার মন-নদী তীরে; <br />রাজহংসী হয়ে খেলা করে হৃদয় নীরে,<br />কখনো লাল জুটি হাঁস হয়ে সাদা মেঘে উড়ে-<br />একে একে মিশে যায় সমগ্র দিগন্ত জুড়ে।</p>
<br /><p>জ্যামিতি বুঝিনা আমি, মিলাবো কি করে?<br />বিন্দু থেকে বিন্দুর শুধু কৌণিক দূরত্বই বাড়ে;<br />যেখানেই আঁকি তাঁকে বারে বারে যায় সরে, <br />এভাবেই থামে গিয়ে ১৮০ ডিগ্রী থেকেও দূরে ।</p>
<br /><p>এই আছে এই না্ই, হারায় যোজন যোজন দূরে-<br />কিছুতেই দেয়না ধরা, থাকে শুধু কুয়াশা ঘিরে;<br />তবু প্রাণান্ত পাক খাই তাঁকেই কেন্দ্র করে,<br />অবশেষে মিলে যায় ভাবলে তাঁর মান ধ্রুব ধরে !!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140922022252/প্রলাপ2014-09-22T02:31:32-04:002023-06-27T13:24:50-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আঁধার ঘরেই আলোক খুঁজি<br />সত্য মিথ্যে কেমনে বুঝি ! <br />মনের মাঝেই ত্রিলোক ঘুমায়<br />ধরতে গেলেই হাওয়ায় মিলায়;</p>
<br /><p>যেই ঘরেতে ঈশ্বরের বাস,<br />সেখানেই যে অসুর বাহাস !<br />বিশাল এমন রাজ্য সুখের-<br />সেথায় কেন সৃজন দু:খের ?</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140910021016/আষাঢ়2014-09-10T02:18:08-04:002023-06-25T01:24:51-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ব্যস্ত শহরের বিস্তৃত পথ জুড়ে <br />ছোটে চলে উঠতি বয়সী আষাঢ়;<br />ভেজা স্কুল ব্যাগ, চোখের পাশেই ভেজা চুল-<br />ভাঁজ করা ছাতা, দুষ্টু হাসির তরুণীর আষাঢ়।</p>
<br /><p>কাঁঠালের বনে, লটকনের ছড়ায়-<br />ঝুলন্ত লোভনীয়-কমনীয় আষাঢ় ;<br />সবুজ পাতার ফাঁকে পানি ফল- <br />জলরঙ ত্বকে চেয়ে আছে কিশোরীর আষাঢ়।</p>
<br /><p>কালো জামের ডালে থোকা-থোকা-<br />জিহ্বায় জল আসে, ভরাট দেহ গেঁয়ো বধূর আষাঢ়;<br />আর আমি শুধুই দেখি পথে যেতে যেতে কী অপরূপ!<br />জল-সিক্ত এমন কদমের; বকুলের আষাঢ়।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140909063147/নতুনের গান2014-09-09T06:38:58-04:002023-06-26T08:28:17-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>আপন সৃষ্টির শৈল্পিক পদ চিহ্নে <br />ধূলিসাৎ হোক প্রবীণ স্রষ্টা;<br />স্মৃতির ক্ষয়িষ্ণু ক্যানভাসে বিবর্ণ হোক-<br />ভালো-মন্দ পুরোনো সব ছবি ।</p>
<br /><p>প্রসূতির রক্তাক্ত সৌন্দর্য আর-<br />প্রেমার্ত চিৎকারে <br />ঘরে ঘরে হাসুক নতুন রবি ।।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140908112804/পৃথিবী2014-09-08T23:38:59-04:002023-06-25T01:24:51-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>ধ্বংসের বীভৎস জোয়ারে বসে- <br /> অশ্লীল বেশে <br /> দেখছ নাচ তুমি, ছিঃ কী নির্লজ্জ হেসে!</p>
<br /><p> একধারে বসিয়েছ আসর সর্বনাশা <br /> মদ-গাঁজা; পর্ন-মাদক, ইয়াবা-সীসা,<br /> চলে মরন নেশা।</p>
<br /><p> আর ধারের চেহারা কী বিকট!<br /> বুভূক্ষা বিস্তীর্ণ জনপদ জুড়েই এক জট-<br /> চলে প্রাণপন সংগ্রাম অস্তিত্ব সংকট! </p>
<br /><p>কোটি প্রাণ গগণ বিদারী আওয়াজ তোলে<br />প্রকম্পিত চরাচর, মর্মস্পর্শী কোরাস চলে <br /> আর্তচিৎকারে যমের বুকও টলে!</p>
<br /><p> কবরের নিরবতায় চোখে-মুখে ডর!<br /> থমতমে শ্বাসরোদ্ধকর- <br /> অবিরাম চলে মৃত্যুর প্রহর!</p>
<br /><p> সন্তানেরা সেজেছে বিষাক্ত বানে- <br /> অহর্নিশ তারা লড়ছে রনে, <br /> করছে আঘাত একেরে অন্যে।</p>
<br /><p> সুবিচার তোমার অভিধানেই নাই,<br /> এক চোখা নীতির গেয়ে যাও সাফাই;<br /> লাজ-লজ্জার তো নেই -ই বালাই।</p>
<br /><p> স্বদুগ্ধ স্তনের নির্লজ্জ প্রদর্শনী তোমার!<br /> যে পিয়েছে তারেই ডাকছ আবার-<br /> বল, এই কি রীতি মাতার?</p>
<br /><p> জানি যতদূর- <br /> সম্ভ্রান্ত সৌরকুলের দুহিতা কোন কালের;<br /> তুমি শ্যামল রাজকন্যা সুদূর ছায়াপথের।</p>
<br /><p> শুভ্র প্রেমের চিরন্তন প্রতীক তুমি স্রষ্টার;<br /> সার্বজনীন মাতা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির-<br /> বল, কোন অমানিশাতে জন্ম তোমার!</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/post20140907053531/দাও খুলে বদ্ধঘর2014-09-07T05:39:49-04:002023-06-25T01:24:51-04:00জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )https://www.bangla-kobita.com/ekdurbasa2014/<p>প্রাণ পেয়ালার বেশীর ভাগই<br />মহাকালের গর্ভে দিনেদিনে হয় বিলীন <br />জীবন গ্লাস ভরা জল তো নয়; <br />যে শেষ ফোটা টুকুও পিয়ে নিবে ! </p>
<br /><p>হোকনা যতই যক্ষের ধন <br />যতই করুক মন কৃচ্ছ্র সাধন; <br />হিসাবের খাতার গরমিল <br />অমিলেই হয় শেষ একদিন !</p>
<br /><p>রবির প্রখর উত্তাপ আর তেজোদ্দীপ্ত কিরণ , <br />কতটুকু আর পারে রাখতে ধরে <br />এই মর্ত্য ধরা দিনশেষে ?<br />আকাশ ,বাতাস আর মেঘমালা- <br />সবই তো টিকে আছে এরই অংশ শুষে ।<br />তবে কি ক্ষতি হয় <br />যদি পাশের জন টিকে থাকে তোমার সঞ্চিত ধনে ?</p>
<br /><p>তাই, দাও খুলে বদ্ধঘর-<br />উন্মুক্ত করো এই যক্ষের ধন <br />দেখো নাব্যতা পাবে চারিধারে ,<br />সুখের খেয়ায় ভেসে ভেসে<br />আলোর বন্দরে ভিড়বে নিযুত জীবন ।<br />আর দেখে দেখে তোমারও <br />কেটেই যাবে বেশ হিসাবের ক্ষণ ।</p>@ 2024 - জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ( এক দুর্বাসা )