বই-খাতা, টিউশনি, ঘুরাঘুরি আর আড্ডা,
দিব্যি চলেই যেতো সময়-
বাদাম খাটা’ না'য়ের মতো।


পাঁজর গভীরে ছিলোনা ক্ষরণের কোন দুষ্টক্ষত;
ভাবনার জমিনে কোন দুষ্টু কীট কিংবা
জীবনের অক্ষদন্ডে কোন ঘুণ পোকাও ছিলোনা দৃশ্যমান।


আসলে কখনো দেখার ফুরসৎই হয়নি-
যে মনের হাঁড়িতে সুখের কতোটা টান!


সেদিন ফুলের দোকানের পাশে গিয়ে বুঝলাম-
তাজা ফুলের সুবাস নেই আর,
বাতাসে শুধুই গা ঘিনঘিনে আতর-লুবানের ঘ্রাণ;
পূর্নিমার আলোতে অবলীলায় ভাসে-
হায়েনার সারিসারি চকচকে তীক্ষ্ণ দাঁত!
সহসাই বদলে গেছে ইন্দ্রিয়ানুভূতি-
মনের জমিন বেজায় নিরস আর টানটান;
খুব যুক্তিঙ্গত কারণেই বিদ্রোহী দৃষ্টি, নাসিকা ঝিল্লী!


তবু বোধের খুঁটায় উড়ছে লাল-সবুজের নিশান,
রাডারের মতো জানান দেয়-
এখন ঋতুর বদল, প্রাণের গঙ্গায় পড়ে গেছে দখিনা বাতাস,
জবুথুবু নেতিয়ে বাদাম, ক্রমশ মন্থর গতি!
তাই ছাড়তে হবে খোলস-
সরাতে হবে মনের ভিটায় শায়িত হিমশীতল লাশ,
নিজ হাতে তুলে নিতে হবে দাঁড়।
সামনেই উত্তরাধিকার সূত্রের বিস্তীর্ণ উর্বর প্রান্তর;
এখন আমার, আমাদের, হবে আগামী প্রজন্মের;
এখানেই গড়তে হবে সুখের নীড়, স্বপ্নের সংসার।