বেঘোর ঘুমাও তুমি নিষ্প্রাণ ইটের প্রাসাদে;
নির্ঘুম নিশাচর আমি যোজন যোজন দূরে
এখানেও ঘুমায় সাঁওতাল কুমারীর মতো সাদামাঠা রাত।


ক্রমশ দিগন্তে মিলায় এক ফালি কিশোরী চাঁদ
আমি আঁধারের দেহেই সঁপে দেই প্রাণ ;
অতঃপর স্বহস্তে চলে সপ্রাণ সুরতহাল।


জেগে থাকে ভাবনার সাঁড়াশি আঁঙুল আমার,
তন্নতন্ন হয় রাতের অবয়ব, নির্মেদ সমগ্র দেহ
ব্যাপক তল্লাশি চলে হারিয়ে যাওয়া সুখের উৎসমূলের; তোমার।


আবার কখনো হারাই দূর থেকে দূরান্তরে,
চলে যাই পম্পেই; অলকা; শ্রাবস্তী কিংবা
বিধ্বস্ত হওয়া অতি প্রাচীন অন্য কোন নগরে।


সপাট খুলে যায় সিংহদ্বার, কড়িকাঠহীন আবরণহীন....
উন্মুক্ত পড়ে থাকে স্মৃতির জাদুঘর, প্রেমের পিরামিড;
সময়ের সীলগালা ভেঙে, ধুলোর আস্তরণ ঝেড়ে-
একে একে দ্বিধাহীন স্বশরীর উঠে আসে ফসিলেরা, মমিরা!
অবলীলায় বুকের উপত্যকায় চেপে বসে জগদ্দল পাথর সমান।


তবু আশাতেই বুক বাঁধি পাথরেই ফিরাবো প্রাণ!


যতই গাইতি-শাবলে প্রাণপন পাহাড় ভাঙি;
ততই সুরঙ্গ পথে ফিনকি দিয়ে আঁধার আসে,
বানের জলের মতোই দুচোখ যায় ভেসে!


অতএব আমি কায়ক্লেশ আঁধার কাটি;
অবশেষে আঁধারেই তোমার সুনিপুণ ভাস্কর্য গড়ি;
এখানটা এখনও স্বাধীন রয়ে গেছে বেশ;
সিংহদ্বারে তোমার পতাকাই উড়ে।