আজ এই নিরানন্দ স্তব্ধ পৃথিবীর মানুষেরা
ভয়ার্ত বিসন্ন একা।
অনিশ্চিত আসঙ্খা গ্রাস করে যাদের প্রতি মুহুর্ত;
আজ যারা আর্ত,
তারাও একদিন পৃথিবীর পরে নেচেছিল উদ্বাহু, ।
যখন দখলে গেছে সবুজ বনানী, সুবিশাল প্রান্তর
শালিখের মাঠ, ।
ইট আর ইস্পাতের জঞ্জালে
গেছে ছেয়ে সেই জলা, যেখানে বুঁনোহাস গেছে ফেলে
তাহাদের স্মৃতি।
জোস্নার আলো নিভে গেছে, এসেছে নিয়ন বাতি
এ শহরে শেষ কবে এসেছিল নিশুতি রাত!
অথবা নির্মল প্রভাত?
যাদের পায়ের শব্দে থেমেছিল শিয়ালের ডাক;
বুনো ঝোপে ঝিঁঝিরা হয়েছিলো নিঃশ্চুপ-
তখনও কি তারা দেয়নি অভিশাপ?
কাদের বিলাসী স্বপ্নের খেয়ালী ধোঁয়া ওই নীল আকাশ
ঢেকেছিল? করেছিল বিসাক্ত পৃথিবীর সমস্ত বাতাস-
তোমাদের বিচিত্র স্বাদ,
সহস্র নদীর বুকে দিয়েছিল বাঁধ।
আধুনিকতার বিভৎস হলাহল নীল কন্ঠের মত
করেছিল পান, শীতল সে দেহে আর ছিল প্রান যত -
মুহুর্তে হলো সাফ-
লাগেনি কি তাহাদের শাপ?
পৃথিবীর গভীর থেকে গভীরে যখন তোমার ধ্বজ্জা
উড়েছিলো; শেষ নদী, শেষ বন তোমার শ্পর্শের লজ্জা
পাইনি সে কি?
আজো বিস্ময় চেয়ে দেখি
তোমার উগ্র কামনা সকল নীরবতা করেছে বিদীর্ণ-
নিদারুন অবহেলা পৃথিবীর প্রতি ,হয়ত কূম্ভকর্ণ
সেও লজ্জা পাবে;তোমার নির্লিপ্ত প্রলাপ
মনে কি করায়না সে পাপ?
আজ বিধাতার অকৃপন দয়ায় যদি সেই সব প্রান
আবার মুখর হয় পৃথিবীর পরে , যদি গাই জয়গান
অখন্ড পৃথিবীর, অখন্ড প্রানের-
তবে সেই মুহুর্তের
অমৃত গীত সুধায় পড়ুক বাঁধা সমস্ত অসীম সৃস্টি তার
এই চরাচরে; প্রেমের অদৃশ রশি অলক্ষে করুক বিস্তার
দুর্দন্ড প্রতাপ
এই হোক মানুষের ক্ষুদ্র অনুতাপ।