হটাৎ করেই যেন সব হয়, ধংস বা সৃষ্টি,
হটাৎ করেই বুঝি নামে বৃষ্টি?
হটাৎ করেই বুঝি কেউ আসে অথবা যায়,-
হটাৎ করেই আবার সব হারায়!
আমি জানি কী পরিমান ঘৃণা জমে পাহাড় হয় ;-
আমি জানি কি পরিমান অবহেলায় হৃদয় হয় ক্ষয়।
আচ্ছা চিত্রা আমায় বলত, -
কী পরিমান ঘৃণা মানুষ নিজেকে করতে পারে?
তোমার জানা আছে?
হয়ত আছে  হয়ত নেই!
কি এক পাপে-
আমি চাপা পড়ে আছি আমার ভুলের স্তুপে;-
আমার নিশ্বাস সারাক্ষণ দাহ করে আমায়,
আমার মূঢ়তা আমায় কুরে কুরে খায়।
আমি কোনদিন বুঝিনি এত কাছে থেকেও আপনারে,
রাখা যায় লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে!
আচ্ছা চিত্রা আমার নিশ্বাসের ভার,
কোনদিন কি পড়েনি তোমার উপর?
এতটা ফাক রেখে ভালোবাসা হয়?
এতটা শিখে পড়ে এসে কী প্রেমে পড়া যায়!
না নিজের ছাপাই নিবোনা আর!
প্রেয়সীর চোখে, প্রেয়সীর ঠোঁটে মরণের স্বাদ নেই কার?
আমি হারতে বা জিততে আসিনি কোনদিন;
প্রেমের টানেই বাজিয়ে ছিলাম মরণ নেশার বীন।
আপনার চাওয়া নিয়ে,
দাড়ায়েছি নির্ভয়ে-
স্বগৌরবে পৃথিবীর বুকে শুধু একবার, -
জানাতো ছিলোনা আমার,
রিক্ত সন্যাসীর না থাকে কোন অধিকার!


প্রেম করে যদি কেহ যায় বেঁচে ,
বুঝেনিও সময় গিয়েছে তাদের প্রেমের নাম বেচে।
জীবনের রুপ রস গন্ধ বুঝে যখন হইনি সংসারি
প্রেমের এত কলা কিভাবে তা পারি!


চিত্রা আমায় অভিশাপ দাও অপবাদ দিওনা।
আমার শাস্তি দাও ঘৃণা করোনা।
আমি ভালোবাসেছি সেই তারে,
কাছে থেকেও যে ছিলো, না পাওয়ার এক দূরে!
হয়ত এতটুকু বুঝিনি তোমারে আমি কোনদিনে,
যদি জানতাম এক বুক অভিমানে, -
যেতাম রুপসার অতল গভীরে -
নিশ্চুপ চুপিসারে আর না আসতাম ফিরে।
ভালোবেসে তুমি রয়ে গেল অধরা!
আমি শুধু নিঃশেষে হলাম সর্বোহারা।


আমার বোঝার ভুলে যে দুঃখের করেছি রচনা,
জানি তার ক্ষমা হয়না।
তবু জানি কোন একদিন সন্ধ্যার বাতাস আবার,
ভরিবে বেলীর সৌরভে পুনঃবার তোমার।
আমি এইখানে পুড়িবো বিভৃতে  অগোচরে;
কী গভীর অনুশোচনা বহি চলিবো অন্তরে!