যদি সে সোনার যৌবন যুবতীর ঊপবন ছেড়ে
চলে যায়! বিষন্ন সময়ের দাবি মেনে অচেনা দূরে।
আমি মরি ঘুরে দূর্ভেদ্য কূহকের পিছে সারাক্ষণ।
বিভৎস সে দানবী জেনে তবু রামচন্দ্র করেনিত বারণ;
কেন গেলো ফেলে এই ভ্রমপাশে,   পঞ্চবটী বনে?
অজস্র জানকীরে দেখি চারপাশে, সদা সুকুমারী;
প্রবল প্রণয়ের বাঁধ সামলায়ে রাখি আর কতক্ষণে!
যখন বিপন্ন এ হৃদয় ঘিরে থাকে পঞ্চ-অপন্সরী।


না কোন মায়াবী না কোন ছলনাময়ীর প্রাচীন আখ্যাণে;
পৃথিবীর কোন এক পেয়সীর টানে এ বুকের বাম পাশে-
সুগভীর বেদনা নিয়ে ব্যাথা জেগে ওঠে ক্ষণে অক্ষণে।
এত যে প্রগাঢ় প্রণয়! যায় কি মোছা পাতাল প্রবেশে?
আরো কত শত লক্ষ বছর চেয়ে থাকি যদি তাও তুমি জানবেনা,-
হে সুন্দরী! তোমার পাওয়ার স্বাদ বুঝি কোনদিন শেষ হয়না।