সেই কবে থেকে বসে আছি আকাশের দিকে চেয়ে-
কখন বিরাট চাঁদ দেখা দেবে রুপোলী জোছনা নিয়ে।
ঘর ছেড়ে যাবার বাসনা বহুদিন ধরে
মনের গহীনের ভেতর অস্থির করে ।
হৃদয়ে কোন এক গভীর দুঃখের বোধ সদা জেগে থাকে-
পৃথিবীর এই নারী, প্রেম    সুখের আবাস শুধু ক্ষণিকের;
মিছে মনে হয় মোহে পড়ে থাকা পিতা-পুত্র আত্মীয় পরিবার।


গৃহের নিভৃত শীতল ছায়া রেখে উন্মূক্ত আলোর নিচে এসে;-
রুক্ষ কঠিন এক সত্য ভালোবেসে-
পৃথিবীর পরে যদি সন্ধান মেলে সেই অসীম জগতের।  


বিচিত্র বিশ্বাসে বিস্তর বিভেদের বেড়াজালে জড়ানো মানুষ;-
লোভের দাসত্ব নিয়ে আছে পড়ে অষ্ট প্রহর।
পলে পলে ছলনার মায়ামৃগ মরীচিকা হয়ে থাকে অধরা;
দুঃখের পাহাড় বয়ে,   ক্লান্ত প্রাণ বয়ে চলে জীবনের ঘানি।


হৃদয়ে শূন্য করে কামনার ভার,
করি যদি রচনা প্রেমের সংসার;-
এ আনন্দ ধামে, বিপুল কর্মযজ্ঞ  যদি পরমানন্দে হয় সমর্পণ;-
জন্ম-মৃত্যু ভেদ যায় ঘুচে; অনন্তের তরে ঘটে আমার মহানির্বাণ।