একদিন হয়তবা আবেগের আতিসয্যে -
নয়ত ভুলে অথবা বয়সের দোষে,
তোমার নীলাভ আঁচল খুঁজে নিয়ে ;
নীল গলা পাখির মতো ঘর বেঁধেছিলাম,  নিঃসঙ্কচে;-
দেহের ক্লান্তি নিয়েছিলাম মুছে,  উষ্ণ আলিঙ্গনে।
আলতো গোলাপী ঠোঁটের চুম্বনে-
বৈশাখের তান্ডব নৃত্যের প্রলয়,
হৃদয়ে গিয়েছিল বয়ে ।
আমার অগোছালো দিশাহীন জীবন,
স্পন্দিত হয়েছিলো প্রেমের জয়োল্লাসে।
তোমার দেহের ভরা আষাঢ়ের উন্মত্ততা ;
নিমেষেই ভাসিয়ে নিয়েছিল সভ্যতার শিকড় ছিঁড়ে-
অনেক দূরে!
সেই থেকে আমি বানভাসী!


মুহুর্তে যে অসীম ঐশ্বর্য ধরা দিয়েছিল,
রিক্ত শুন্য এ ভিক্ষুর হাতে স্বগৌরবে।
কোন অলৌকিক মোহ সেদিন-
বেলীর গন্ধের মতো সারাদিন, -
আমার আঙিনা জুড়ে মাতাল সন্ন্যাসীর মতো নেচেছিল।


যে চোখের পানে চেয়ে
গিয়েছে কেটে এতগুলো বসন্ত।
রূপালী চাঁদের আলো,
কখন গিয়েছে ঢেকে বিষন্ন মেঘের আঁড়ালে।
এখনও আমার উষ্ণতা বয়ে ফেরে যে শরীর!
গ্রীবায় চুম্বনের দাগ এখন অটুট;
হটাৎ রাতের গভীর ঘন আঁধার
গেছে ছেয়ে এ প্রমোদ মধ্যহ্নে,-
                        সেই ক্ষণে
আমার সমস্ত চেতনা মুছে ফেলে সব বাসনা!
হতাশায় ভর করে তোমারে ঘিরে থাকা স্মৃতি;-
মুহুর্তে জেগে ওঠে ক্ষমাহীন প্রবল অনুশোচনা।