প্রিয় প্রমীলা,


তোমার নাম দিলাম প্রমীলা,
খুব সংগোপনে,
ছদ্মনাম, চিনবেনা কেউ, শুধু তুমি জানলেই হবে।
অনেক ভেবে দেখলাম  যথার্থই তুমি প্রমীলা!


অল্প কদিনের জানাশোনা-
তোমায় এখনো আমি সেই অর্থে ঠিক চিনলাম না,
তবু মনে হয় কত দিনের চেনা!


থাক, ওসব বাহানা;
প্রেমে মুগ্ধ হলে ছেলেদের মুখে খই ফোটে,
সে তোমার নয় অজানা মোটে ।
তাই তোমার প্রশংসা করতে গিয়ে
বার বার থেমে যাই ভয়ে।
বাহুল্য হবার এক সংশয় গেলো রয়ে।


আমার মাঝ বয়সের পিরিতি,
না ভীমরতি;-
যখন নিজের কাছে নিজেই সংকোচে ডুবে থাকি সারাক্ষন,-
লজ্জার আর কী আছে বাকি!
আজ সব নিষেধ বারণ
ফেলে, তোমায় লিখতে বসা।
এ চিঠি তুমি পাবে কিনা জানিনা;
হয়ত ছিড়ে ফেলবে, নয়ত পড়বে না।
আমার কথাটা অন্তত লেখা থাক-
মনে আর বইয়ের পাতায়।


তোমায় লিখতে বসে প্রথম বুঝলাম,
মুখের কথায় আর মনের ভাষায় ফারাক অনেক।
আমার লেখার হাত ত নয় কবিদের মতো-
যে তোমার লাবন্যের এমন বর্ণনা তুলে আনি,
যাতে ত্রিভুবন মূখর হয় তোমার নামে।
শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে মন ভুলাবার ফন্দি
সে আমার অজানা।


শুধু জানি সেদিন আবছা আলোয়,
তোমার মুখের যে দ্বীপ্তি আমার মনে গেথে আছে
তা ভুলতে আমার এ জন্ম কেটে যাবে।
তোমার লালচে ঠোঁটের আভা -
কালো টানা দুটো চোখ,
আর কয়েকটি চুল যারা তোমার মুখের উপর খেলছিল, কী আনায়াসে;-
আমার খুব হিংসে হয় ওদের।
তোমায় একটা কথা বলার খুব ইচ্ছে ছিল
সাহস হয়নি।
'অপুর্ব লাগছিলো তোমায়' কি বিশ্বাস করনি?
যাই হোক আমার মুগ্ধতা তোমার অপার করূণা।


আর হ্যাঁ  একটা আবদার ছিল
একদিন গোলাপী শাড়িতে তোমায় দেখবো।
আসবে তো একদিন?


থাক আজ, 


তোমাকে মনে করে
আমার দিনের সকল গেছে ভেসে
উদাস হয়ে যাচ্ছে কেটে তোমায় ভালোবেসে।


ইতি