তোমায় নিয়ে একটা কবিতা লিখবো প্রমীলা,
আমার কল্পিত কল্পনায় তোমায় সাজাবো না।
তোমার প্রতি আমার সমর্পণ প্রকাশিত হোক সে কবিতায়,-
আরো প্রকাশিত হোক তোমার লাবন্যের অপুর্ব ছটা।
শতবর্ষ ধরে জানুক তোমারে, এ মুগ্ধ প্রেমিকের চোখে!
প্রমিলা তোমার এলোকেশী চুল,  অথবা গোলাপী অধর,-
কোমল বাহু, ক্ষীন কটি কিম্বা নীটোল পয়োধর!
আমাকে যা মুগ্ধ করেছে এক জনম ভর;-
জানুক সহস্র জনে,
সহস্র বছর এ কবিতার প্রতি বর্ণ অন্বষণে।
তোমারে পেয়ে যে পুলক আমার হৃদয় সর্বক্ষন,
খেলা করে; যে ছেলেমানুষি জেগে ওঠে আমার ভেতর;
জানুক সমাজ,  আরো যত অনাগত প্রেমিক বিস্তর।


প্রমীলা, তোমার সাথে  আমার প্রতি মুহুর্ত, প্রতিক্ষণ;-
নিয়ে রচিত হোক এক প্রত্যেক শব্দ ও বর্ণ।
প্রতি বাক্যে প্রথিত হোক আমার প্রবল অনুভূতি, উচ্ছ্বাস;
তোমার চাহুনি যে ঝড় তোলে, বয়ে যায় প্রবল বাতাস,-
আমার ভেতর,  তা ছড়ায়ে যাক সর্বত্র-
আদি থেকে অন্ত, ছুয়ে যাক অনন্তকাল সমস্ত চরিত্র।


প্রমীলা তোমার প্রতি আমার পাগলামির প্রতি বিন্দু,
ছড়াক সব প্রেমিকের মাঝে সব সর্বত্র, মিশর থেকে সিন্ধু;-
অথবা প্রস্তর থেকে অন্তর্জাল সব যুগে, সবখানে;
তোমার প্রতি এ মুগ্ধতা আমায় নিয়ে গেছে নীরবধি,
সভ্যতার শুরু থেকে শেষ অবধি।
প্রেম থেকে প্রেমে, প্রেমিক থেকে প্রেমিকে, জানুক সর্বজনে;-
পঠিত হোক ভরা সভায়, করুক কানাকানি
তোমারে ভালোবেসে আমি নিতে পারি সমস্ত গ্লানি;-
নিঃসংকোচে।
তোমায় ভালোবেসে এই আমি আছি বেচে।


প্রমীলা, এ আমার নয় দূঃসাহস, এ আমার দৃঢ়তা;
তুমি আমার আগাধ প্রেম, নও আত্মরম্ভিতা,
তোমার হৃদয় যেন পরশপাথর,
আমারে দিয়েছে অমরত্বের সন্ধান, ছড়াক তোমার সে সুবাস ;
লোকালয়, গ্রাম, নগর আর যত মানুষের আবাস।