শান্ত সমাহিত এই বিজন তট সহসা মুখর হলো-
হটাৎ তোমার আগমনে,
প্রানের স্পন্দন ছড়িয়ে গেলো সবখানে;
বিমোহিত তোমার কলোতানে।
বিষন্ন হৃদয় আবার  উঠলো জেগে তোমার স্পর্শে;-
আরো একবার তোমারে ভালোবেসে,-
যা কিছু জমে থাকা জীর্ণ মলিন,
ধুয়ে মুছে হলো চির নবীন।
শুন্য এই বনে বহুকাল অপেক্ষার প্রহর শেষে-
রূক্ষ পুরাতন হলুদ পাতা ফেলে,
আবার গিয়েছে ভরে বসন্ত বাতাসে!


আরাধ্য দেবীরে ছাড়া,
যে ভগ্ন মন্দির নিয়ে গিয়েছে কেটে লক্ষ বছর-
এই পুরোহিতের,
তোমারে সাধনা করে;
আজ যদি এলে,  দেখিবো প্রান ভরে!
অমানিসার ঘোর অন্ধকারে বসে,
চেয়ে থেকে সুদূর আকাশে, দীর্ঘশ্বাসে;
কী গভীর প্রত্যশা নিয়ে কেটেছে প্রত্যেক মুহুর্ত;-
খুজেছি অহর্নিশ, অবিরত।
রুপোলী জোসনা লয়ে এতদিন পরে, হে বিভাবরী,
এলে তুমি প্রিয়ে, ও প্রমীলা সুন্দরী!


হেমন্তের পাতা ঝরা এ অরণ্য,
সবুজ পাতার খোঁজে করেনি রোদন!
তোমারে বুকে করে পুনর্বার জেগেছে প্লাবন,
মরা গাঙে,-
প্রবল উচ্ছ্বাসে তাই, দুই কুল ভাঙে!
সমস্ত দিনের অবসানে পৃথিবীর পরে রাত নেমে এলে-
নিঃসঙ্গতার করুন রাগিনী সুর তোলে;
তুমি এসে বিনিদ্র রজনী করেছো মুখর,
জেগেছে আবার নতুন স্বপ্নের ভোর-
তন্দ্রায়িত চোখে;
প্রগাঢ় এক সুখে,
কেটে যায় জীবনের প্রত্যেক ক্ষণ!


প্রমীলা, অধীর অপেক্ষা নিয়ে বসে আছি,
কাছে পাবার দারুন বাসনা জানি উত্তাল ঢেউ তোলে;
হৃদয় তৃষিত হয় হটাৎ হটাৎ।
তোমারে ভালোবেসে বুঝেছি আমি,
অনন্ত কাল বুকে ধরে,     হয়ত প্রেমের তৃষা হয়না পুরণ,-
পাওয়ার প্রগাঢ় আক্ষেপ তবু বেড়ে চলে, এক অদ্ভূত কারণ!