সদ্য কিশোরী বয়স পেরিয়েছি,
যৌবনের দ্বারে পৌছে কচি কিশলয়
আজ যেন এক পূর্ণ পাতার মতন।
এক অনাহুত শিহরণে ভরে থাকে আমার শরীর আর মন;
কী অসীম কৌতুহলে ডুবে থাকি সারাক্ষণ!
হটাত আমার চিরচেনা স্বভাব   গেলো বদলে,
হয়ে গেলাম রুঢ়, বদমেজাজি আর ভীষণ রকম অন্তর্মূখী।
চাপা অভিমান জুড়ে থাকে আমার হৃদয় !
অবাধ্য রকমের এক সাহস জেগে উঠল
আমার দুরন্ত স্বত্ত্বায়;-
আমি হয়ে উঠলাম বেপরোয়া-
অনেকটা গভীর রাতের মাতালের মতো।
হটাৎ পেলাম তোমার দেখা;
হটাৎ-ই বটে  তবে নতুন নয়।
দাদার সঙ্গে এ বাড়িতে তোমার অনেক দিনের যাওয়া-আসা।
অসীত দা  বলেই তোমায় ডাকতাম!
ডাকতাম বলছি, কারণ এখন তুমি শুধুই অসীত।
কতদিন তোমার কোলের উপর ছড়ে বসেছি- নির্দিধায়, নিঃসংকোচে।
তোমার হাত ধরে আমি এঘর ওঘর করেছি কতবার, কত সহজে! - তাই না।


তারপর একদিন তুমি চেনালে এই আমারে
সম্পুর্ণ নতুন করে,- অন্যরূপে, অন্যভাবে।
নিমেষেই হারিয়ে গেলো আমার বালিকাবেলা,
চিরদিনের নারী স্বরূপ ধরা দিল অজ্ঞাতে-
যেন কোন ভাস্করের নিপুন ছোয়ায়।


বদলে গেলাম আমি আরো একবার,
আমার সমস্ত চৈতন্য এখন তোমাতে বিবশ;-
এখন তোমাকে দেখি অলক্ষে,  গোপনে;
কামনা করি দারুন লজ্জায়, অভিমানে।
বয়সের বিস্তর ব্যবধান ঘুচে -
তুমি হয়ে গেলে শুধুই 'অসীত'।


না, একসাথে পৃথিবীর দুস্তর পথ -
আমাদের আর হাটা হয়নি কোনদিন।
তারপর তোমার আর আমার ভিন্ন পথের দিশা,-
শুধু দুরত্বই রচে গেছে অহর্নিশ।
সময়ে শিখেছি নিঃসঙ্গ একা থাকা,
এখন আমি  তোমারে ছাড়া ভরা যুবতী প্রেমিকা।


আমার যা কিছু পাওয়ার শুধু তোমারে ভালোবেসে,
যা কিছুসব  হারাবার,  তোমার প্রথম স্পর্শে।