তবু এই মানুষের ভিড়ে হৃদয়ের সওদা করে ফিরি-
রাত্রি দিন যেখানে নিরন্তর বিষাক্ত নিশ্বাস,
ঘিরে থাকে চারপাশ;
পচা গলা প্রেমের উৎপাত করে আহাজারি-
নিয়তির অমোঘ রশি টেনে ধরে
দ্রৌপদীর শাড়ির আঁচল।


নিষ্ঠুর অসহায়ত্ব ঘিরে থাকে মগজের শিরায় শিরায়।
তবু নিশ্চুপ মৌন যুধিষ্ঠির নত মস্তকে
                                 যুদ্ধের ছবি আঁকে-
পৃথিবীর চারপাশে জমা  হওয়া দম্ভের পরতে পরতে
ঢাকা পড়ে নির্মল বাতাস।


এখন প্রভাতে প্রার্থনা নাই অথবা মঙ্গল গীত-
খাঁ খাঁ সরযূর তীর আজ শূন্য অতীত;
আমার এই জেগে থাকা   আকাশের চাঁদের আশায়,
                        অসীম নক্ষত্রলোকে যে বিস্ময়-
আমারে আশ্চর্য করে সীমাহীন রহস্যময়তায়।


হয়ত পূর্ণিমা রাতে  ইতিহাসের পাতা খুঁড়ে
বহু পুরাতন সভ্যতার ভগ্ন স্তুত ফুঁড়ে
                               ছাঁই চাপা প্রেয়সী আমারে
            দেখা দেবে মানবীর রুপে নীল নদের তীরে
কোন এক আঁসিরিয় সম্রাটের অঁসির আগায়
পরাভূত বিজিত সৈনিক
                                        দাঁড়ায়ে নির্ভীক।  
ভিক্ষা চায় প্রিয় প্রেমিকারে।


পৃথিবীর পরে সহস্র বছর ধরে মানুষের ইতিহাস,
                               জাগাইনি এতটুকু বিশ্বাস।
এখানে প্রেমের নয় ;
পাষাণ দেবতারে তুষ্ট করে    বারে বারে
                         যুগে যুগে মানুষের কঠিন হৃদয়।