আজ এ সন্ধ্যায় যখন
    একা সে দ্রুবতারা দেখেছি সুদুরে
সেদিনের মত চেয়ে আছে ধরনীর পরে
নির্বাক, স্থির।
হটাৎ ব্যাথিত হৃদয় হলো চঞ্চল,
দীর্ঘ জীর্ণ অবসাদ উধাও ক্ষণকাল-
কোন এক ধ্রুব সত্য উদিল মনে।
কোথা হতে যেন কেউ কয়ে গেল কানে
জগতে যার লাগি বৃথা জাগি, করি হা হুতাশ-
সকল কি নিবিড় মিথ্যা ছলনা, মায়া?
এই প্রেম বিরহ ব্যাথা,
মান অভিমান, নিরাশা-
প্রিয়ার গোপন পরশ - আকুল পিয়াশা
সব ই অকারন!


এই কোলাহল মায়াজাল, কূটিল জটাজাল
হিংসা-ঘৃন- দ্বেশ,  সকলি যবে হবে শেষ
যখন প্রভাত কিরণে এ দেহের ছায়া হবে নিরুদ্দেশ
কিছু কি রইবে তবে
এই চরাচর ভবে?
বিষম অধীর আশা, অপুর্ন যা ছিল
জীবনের শেষ সন্ধ্যা রাগে,
অতৃপ্তি কি রবে তবু অনন্তকাল?
স্বজনের ব্যাথিত মুখ, নিদারুন অবহেলা
আর যা সত্যি মেনে হৃদয় হয়েছে ক্ষয় অবেলায়।
কত আঁখি জল অলক্ষে মিটালো ধুলায়।


কত ঋণ কত বঞ্চনা
যা কিছু পাওনা- দেনা
হিসেবের খাতায় অপুর্ণ যা গেছে রয়ে
কোথাও কী রইবে লেখা ? মিথ্যা আস্বাসে
তবু ভুলে থাকা যত অভিযোগ
                            ব্যাধি শোক রোগ।
সেও সেই দিন হবে শেষ।
শুন্য মুক্ত যে হাত এসে পৃথিবীর পরে
রেখেছিল নিখিল বিশ্ব আঁকড়ায় ধরে
অনন্তে সে হাত যাবে নিঃস্ব রিক্ত করে আপনারে,
এর মাঝে যা কিছু ছিল পাওয়া ,
যা কিছু হলো দেওয়া
সুখ, দুঃখ, বা ব্যাথা; সে শুধু ক্ষণকাল
স্মৃতি চিহ্ন রুপে রবে কারো মাঝে ;
                       এর পরে শুধুই বিস্মৃত জঞ্জাল।