দিন রাত আমি লিখে যাই, যেমনি নিভৃতে ডেকে যায় কুহক;
কুয়াশায় জারুলের ভেজা ডালে বসে করি বিরহের রোদন ।
ভোরের আবছা আঁধারে লাল মাটির এই পথ থাকে প্রতীক্ষায়;
নগ্ন পায়ে নূপুরের করুন-অধীর অপেক্ষায় জেগে থাকে কর্ণকুহর।
হলুদ সর্ষে ফুলে শিশির বসতি গড়ে রাতের আঁধারে, চুপিসারে;
এক বুক অভিমানে ফিরে যায় আবার, তবু আসে রোজ রাতে-
আহত প্রেমিকের মতো, হৃদয়ে সহস্র ক্ষত পুষে চেয়ে থাকে;
আকাশের তারায়। কী এক অব্যক্ত অস্ফুট ব্যথা বয় তার হৃদয়।
ভালো তারে আমি বেসেছিলাম দিগন্তের নিচে যেখানে বনানী-
শেষ হয় সাগরের কাছে; সোনালী ফসল পড়ে থাকে মাঠ জুড়ে।


দেহের কোষ ঝরে যায়, আসন্ন সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসে
চারপাশে; তবু সেই প্রেয়সীর তরে বিষম পিয়াসা জেগে রয়।
তার হাঁসের মতো নরম শরীর জুড়ে কুমারীর ঘ্রাণ লেগে আছে;
ভালো তারে বেসেছি একবার, ভুলিতে চেয়েছি আমি জনম ভর ।