৯৮
কৃ্ষক, শ্রমীক ও পুজিপতি
রাখ যদি ব্যাঙ্কে পুজি
সুদ পাও যে সামান্যই ।
কিন্তু
কলকারখানা গড় যদি
ঋন গ্রহনে তাদের পুজি
সুদ ধরে যে অধিক বেশী ।
যে কারনে কদিন পরই
টানতে হয় যে লচের ঘানী।
চাকুরী হারায় শ্রমিক শ্রেনী
বন্ধ হওয়ায় কারখানাটি ।
ব্যাঙ্ক ব্যবসায়ীদের এমন নীতি
থাকে যদি জনম ভরি ,
বাড়বে মেশিন কেমন করি,
কাজে লাগাতে বেকার শ্রেনী ?
ফলাবে সোনা কেমন করি
কাজ না পেলে শ্রমিক শ্রেনী
স্বচ্ছলতা আনতে ধরি?
==============
৯৯
আমদানীটা কমিয়ে আনলে
দেশের মানুষ বাধ্য হবে
তৈরী করতে ,
প্রয়োজনীয় পন্যদ্রব্য দেশের মাঝে ।
ব্যাঙ্ক যদি দেয় সে কাজেতে
অল্প সুদে ঋন ছরিয়ে ,
রাতারাতি ক্ষুদ্র শিল্পে
দেশটি যে ভাই উঠবে ভরে ।
যে কারনে বাড়বে দেশে
কর্ম ক্ষেত্র অধীক হারে ।
আমদানী ব্যয় কমার ফলে
অর্থনীতিও শক্ত হবে ।
ফলায় যদি সোনা সবে
শ্রমিক মালিক মিলেমিশে ,
পন্য মোদের জায়গা পাবে
বিদেশেরও মার্কেটেতে ।
================
১০০
মাননীয় প্রধান মন্ত্রি
বেচে দিয়েছ সব কিছুই
ছিল যত মিল ফ্যাক্টরী ।
গড়ছ না আর নতুন করে
বেকার কাজে লাগতে পারে
এমন কিছু দেশের মাঝে ।
বুঝইত, এ অবস্থাতে
বাধ্য দেশের বেকার গনে
কাজে লাগতে ।
রুটি রুজীর যোগান পেতে
মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে ।
কিন্তু যদি ব্যাঙ্কের পুজি
খাটাও তুমি অধীক সুদে
টিকছে না সে প্রতিষ্ঠান যে
বেরে যাওয়ায় ব্যাঙ্কের দাবী।
  শ্রমিক তাই বেকার হয়ে
কাজ হারিয়ে ফিরছে ঘরে ,
তালা লাগায় কর্ম স্থলে ।
কর্মস্থলও হচ্ছে না যে
তেমন ভাবে দেশের মাঝে ,
অধিক সুদে পুজি নিয়ে
লোকসানেতে পড়ার ভয়ে ।
আমার মতে প্রধান মন্ত্রী
অধিক সুদে যা পাও তুমি
তারও অধিক পাবে তুমি
সুদের হারকে কমিয়ে আনি ,
খাটলে দেশে অধিক পুজি ।
অধিক পুজি খাটলে দেশে
কর্ম সংস্থান বাড়বে তাতে
কাল পাবে যে সেখানেতে
তোমার প্রীয় জনগনে ।
পন্য গড়লে নিজের দেশে
আমদানী ব্যয় নাম্বে নিচে।
ফললে সোনা দক্ষ হাতে
রফতানী আয় বাড়বে তাতে ।
সব মিলিয়ে সবার ঘড়ে
স্বচ্ছলতা আসবে ফিরে ।
============