যোগল শ্রমের গুরুত্ব
=============
প্রীয়তম
আর কত
এভাবে দিন চলে ?
ছেলে মেয়ের স্কুল বন্ধ
রাখি তাদের ঘুম পাড়িয়ে
খেতে চাবে বলে ।
দুপুরেতে জুটলেও কিছু
রাতে আবার মিছে ,
রান্না ছেরে থাকি বসে
ঘুমিয়ে পরার আশে ।
বল, এভাবে দিন চলে ?
প্রীয়তমা ,
একা খেটে কি আর করব
খাটনিওতো কম খাটিনে ।
জায়গা খুজি ছুটির পরেও
বারতি আরও খাটার জন্যে ।
প্রীয়তমা , বিশ্বাস কর
সূযোগ কোথাও পাচ্ছিনে যে ।
প্রীয়তম,
এ সূযোগ আর কোথায় পাবে
যে দেশেতে তালা লাগে
কথায় কথায় মিলের গেটে ।
সবই বুঝি প্রীয়তম
তবুওত বাচতে হবে
সন্তানাদি বাচাতে হবে ।
তাই বলি কি
আমিও কিছু করি ,
কোথাও কাজে লাগি ।
কিন্তু প্রীয়তমা,
কাজ না জানা কর্মীদের যে
কম বেতনে খাটায় সবে ।
প্রীয়তম,
যদিও আমি কাজ জানিনে
তবুও যে আমার কাজে
আমদানী ব্যয় আসবে নেমে,
গড়ি যদি দেশী পন্যও ঘরে।
প্রীয়তমা,
কর্মস্থলে কাজের চাপে
লাবন্যতা হারাবে যে।
প্রীয়তম,
হারালেও লাবন্যতা
টিকবে তবুও রসের ধারা।
যে ধারাতে সূযোগ পাবে
মনের মত সাতার কাটতে,
সন্তানেরাও খেতে পাবে
বারতি কিছু আয়ের ফলে ।
কাজেই তুমি শিখাও আগে
কাজ করব কেমন করে ,
আদর সোহাগ লুকিয়ে রেখে ।
বিশ্বাস আমার প্রীয়তম
উভয় মিলে লাগলে কাজে
কাটবে অভাব অল্প দিনে ।
হাসতে দেখে সন্তানেরে
যোয়ার আসবে প্রেম সাগড়ে ।
যোগল শ্রমের বিনিময়ে
ফলে যদি সোনা মাঠে ,
জড়িয়ে ধরে লুটিয়ে পরো
ফসল ভরা মাঠের মাঝে  
তোমার প্রানের প্রীয়তমাকে ।
===================