ভালোবাসা ছিল কাল, ছিল
তোর উজ্জ্বল হাসি,
মেঘ বৃষ্টি ঝড়ের মধ্যে অবিরাম
একটুকরো স্নিগ্ধ স্পর্শহীন আবেগ।
স্বপ্ন ভুল দেখা হলো, অন্ধকারে খুঁজতে গিয়ে
জ্যোৎস্না কেবলই নির্জনে মুখ
গুজে বসে থাকা হলো।
রাত্রি খুঁজে নিলো দিনের আলো,
কান্নার শব্দে মোমবাতি জ্বলে জ্বলে
অন্ধকারে হারলো জীবন।
তবু তো ছিলি তুই আদরের নীলকণ্ঠ পাখি!
মায়ের আচল ছিঁড়ে পালালি কোথায় হে প্রিয়
ব্যাডমিন্টনের র্যা কেট হাতে?
তোর দরাজ কণ্ঠের গানে আজও রোমাঞ্চিত হই,
বুকের মধ্যে বাজে  জয়ডঙ্কা।
ঘুমন্ত আয়নায় অতীতের শরীর ছুঁয়ে আবেগে
ঝরাই অশ্রুহীন চোখের ক্লান্তি।


আমি জানি যাবার আগে তুই
বহুবার খুঁজেছিস আমায়, আমিও!
আলোতে তোকে দেখতে চাইনি, ভয়ে; কষ্টে।
তাই অন্ধকারে তোর শরীর ছুঁয়েছি , তোর
কানের কাছে মুখ নিয়ে বলেছি,” ক্ষমা করিস।“
পৃথিবীর সবথেকে গোপন কথা
শুনিয়েছি তোকে, ব্যর্থতার; তোর কষ্ট দুর
করতে না পারার কথা।
তুই নিঃশব্দে শুনেছিস, উজ্জ্বল চোখে তাকিয়ে
আমাকে গভীর মমতায় সান্ত্বনা দিয়েছিস।
মনে হয়েছে গোলাপ গাছে একটি
গোলাপ হয়ে ফুটে আছিস তুই।
তোর চোখে দেখেছি ভোরের নরম ভালোবাসা।
আহা! ভুলি কি করে।


তোর শেষ যাত্রায় আমি নেই ভাবিস না,
আমি আছি!
আনিসের শরীর ছুঁয়ে হেটে যাবে আমার শরীর।
ও কথা দিয়েছে আমি যা পারিনি
তা করে দেবে ও।
ওর চোখের জলে তোর শরীর ভিজেছে, ও জল আমারও।
আমার আদরের তোকে বিদায় দিতে
হৃদয়ের হাত বারিয়ে ধরে নিলাম সবার হাত,
যারা তোর শরীর তুলে নিলো নিজেদের কাঁধে।


নীল আকাশ দেখি, পাতা ঝরা অরণ্য দেখি,
সন্ধ্যাবেলা আকাশে রক্তিম আলো দেখি।
তারাও এক সময় অন্ধকারে হারায়
যেমন হারায় চোখের দৃষ্টি।
কেবল মানুষের দুঃখই একা একা হেঁটে চলে।