আজও সূর্য ওঠে
এ ধরাধামে,
আজও উর্মিমালা জেগে ওঠে
রুপসার ঘোলা জলে।
আজও পাখি ডাকে
ভৈরবের পাড়ে,
আজও জনস্রোত বহে
মরা আঠারোবেকীর বুকে।


আজও আগষ্ট আসে
কালো রাত্রির ফ্রেমে,
আজও অবুঝ বুলেট
গুমরে ওঠে হৃদয় গহীনে।


আজও জাবুসা হতে নর্নিয়া
খাজাডাঙ্গা হতে কালিবাড়ি খেয়া
প্রতিটি পথের বাঁকে
ঘন বিলাতি গাবের বনে,
তুমি মিশে আছো
চির সবুজ পাতার সনে।


তুমি মিশে আছো
প্রভাতি গানে
সমস্বর জাতীয় সঙ্গীতে।
তুমি মিশে আছো
বড়জ্বালা কিংবা বাসুয়াখালীর বিলে,
নদী ভাংগনে শোলপুরের
অসহায় মানুষের মাঝে।


তুমি মিশে আছো জলমগ্ন
রামনগর, বাগমারার কাদাময় জলপথে,
তুমি মিশে আছো কোন জনসভায়
তথ্যময় সতেজ ভাষনে।


তুমি মিশে আছো
এ জনপথের প্রতিটি উন্নয়নে,
তুমি মিশে আছো
রুপসা ব্রীজের প্রতিটি কংক্রিটে।
তুমি মিশে আছো
বাংলাদেশ জন্মের নাভিমুলে,
তুমি মিশে আছো
অধিকার হারা মানুষের প্রতিবাদে।


হে বাঙ্গালী মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান
নেমে এসো তুমি বেহেন্তের দ্বার বেয়ে,
এই বাংলা মায়ের কোলে
সন্তানহারা আঠারোবেকীর বুকে।


হে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান
নেমে এসো তুমি স্বর্গের দ্বার বেয়ে
তোমার রক্তের উর্বর বাংলাদেশে,
এখানে আজও তোমার রক্ত কথা বলে
ডিজিটময় বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে।


হে বাঙ্গালী জাতীর পিতা
আজ এ শ্রাবনধারায়
অশ্রু মিশে একাকার,
রক্ত গঙ্গা
হয়েছি পারাপার।


তোমার শরীরের উর্বর রক্তকন্যা
আবার ধরেছে হাল,
গাহি সম্যের গান গেয়ে
উড়িয়ে দিয়েছে পাল।


তোমার বাংলা হবে
সোনার বাংলা,
এটা তোমার কাছে
মোদের একমাত্র প্রতিঙ্গা।