আমি বিশ্বজিৎকে দেখেছি রক্তস্নানে,
কিংকর্তব্যবিমূঢ়! কৈশোরের ভৌতিক কোন
স্বপ্ন দেখে চিৎকার করেও অক্সিজেনের অভাবে
শব্দহীনতা। অপার বিস্ময় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে লুটিয়ে পড়া, মৃত্যুকে আলিঙ্গণ!
বিশ্বজিৎ এর খোলা চোখে গাঢ় ঘৃণার প্রতিচ্ছবি
চাপাতির আঘাতের চেয়েও কলিজায় চাপা যন্ত্রণা।
আমি নিরুপায় ধরণী, তোর মৃত্যু যন্ত্রণায় আমি দেখেছি তামিল ছবির কোন দৃশ্যপট!


আমি অসহায়, বুড়িয়ে যাওয়া ধরণী। আমার প্রকৃতি আজ বোধহীন, শতবর্ষী কোন নারীর শরীরের ভাঁজ পড়া চামড়ার মতো।


আমি বরগুনার রিফাত শরীফকেও দেখেছি, অথচ আমি বোধ করতে পারিনি ওর যন্ত্রনাকে, যন্ত্রনায় বোধহীন হয়ে যাওয়া চোখের বিস্ময়কে।
আজকাল দেয়ালে সাঁটানো বড় কোন এলইডি স্ক্রীনের বাংলা ছবির দৃশ্যপট যেন!


আমি দেখেছি...
যশোরের কিশোর ভ্যান চালক শিশুর অসহায় চাহনি, চোখে রক্তজল। হারিয়ে যেতে বসা বুকের ধনের জন্য দরিদ্র মায়ের আহাজারি!


তনু থেকে নুসরাত আমার বুকের নিত্যদিনের
চিত্র,স্থিরচিত্র থেকে চলচ্চিত্রের আধুনিকায়ন,
বীরদর্পে আমার বুকে অদ্ভুত হিংস্র জন্তুদের বিচরণ!