আসমানের নীলিমা ছেড়ে
ভূমধ্যের জলধারা পারহয়ে
মরুর তপ্ত বালুর মত ,তীব্র আক্রোশে ফেটে ফেটে যায় বন্দর !
ভোরের পাখির গান নয় , ড্রোন বোমার তীব্র আর্তনাদে কেঁপে কেঁপে উঠে এই পবিত্র প্রান্তর !
কোথায় মানবতা হায়
পঞ্চাশ মুলুকে নেই তব ঠাঁয় !
কি পিয়াসায় জেগেছে তেলআবিব
শত বর্ষ রক্ত ঢেলে আজো কাঁদছে উম্মতে হাবীব !
এখানে শিশুরা জানেনা জাগরণী উদ্দাম
বোমা গ্রেণেডের তেজষ্ক্রিয়তা এদের নিত্যরাগের গান ।
ট্যাংক টর্পেডোর আঘাতে উত্তাল সাগর ,কাঁদে আবাবিল
শত বর্ষ কেঁদে কেঁদে কিশোরীর কাজলরেখা মলিন !
তবু
কাঁদোনা তুমি ,শুনোনা চিত্কার ,
সমৃদ্ধ তব সুখের লহরে লেগে আছে তাই অব্যক্ত ধিক্কার ।
হে পবিত্র প্রান্তর গাজা
আজো শৃঙ্খলিত তব দু'মিলিয়ন প্রজা !
পৃথিবীর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আজো দেখিনা তাঁর সীমা
এমেরিকা ইসরাইলের চক্রে তব ক্ষয়ে ক্ষয়ে আসে প্রান্তর ,উদার নীলিমা !
চৌদ্দ শতক ধরে সমৃদ্ধির এ প্রাঙ্গন তোমাদের নয়
প্রতিটি ধূলিকণা , প্রতিটি জলপাই পাতা তার সাক্ষ্য দেয় ।
তিল তিল করে গ'ড়ে তোলা এ সভ্যতার ধারক মুসলিম
কালের চক্রে ঘুরে ফিরে তার অধিকারী কেন জালিম ?
পবিত্র বন্দরের কান্নায় মানবতা বিহবল ,
তায় প্রতি কণা অশ্রুজল
আকাশের সীমায় তা সীমাহীন সজল!
!
অটোমান থেকে বৃটেনের করতলগত প্রান্তর
হায়েনার লোলুপতায় বিষাক্ত অন্তর !
সেই তব সমৃদ্ধ প্রান্ত আজ ক্ষয়ে ক্ষয়ে আসে পিশাচের কালো থাবায়
এ ক্ষুদ্র বন্দর লোকারণ্য ,বেনিয়া কারায় !
যুগ যুগ ধরে অবরুদ্ধ হে মুক্ত জাতি
তোমাদের কেউ নেই উদাস জ্ঞাতি
তোমার মৃত্যু চিত্কারে কেঁদে উঠে আসমান
তবুও নির্লিপ্ত মুসলিম সাম্রাজ্য ,দ্রোহ লেলিহান !
যুগ যুগ ধরে চলা রোধের অনলে পুড়ে
ক্ষুধা দুঃখ ত্রাসে , শুকিয়ে গেছে জল
সেই অবসরে ক্ষেপে গেছে মোসাদ ,পরিয়েছে শৃঙ্খলা-ছল ।
কোথায় মুমিন ?কোথায় অবিভক্ত জ্ঞাতি ?
তব ভাগ্যে লেখা কেন হায় এ অমানিশা রাতি !
মুসলিম আজো সীমার হয়ে তুলেছে ইজিপ্টের প্রাচীর
ভাতৃত্বের বুকে তাই বিঁধে চলছে নিঠুর অভিশপ্ত তীর ।
তবুও নিশ্চিন্ত ত্রাসে , ঘুমহীন সর্বগ্রাসে জেগেছি আমি
হামাসের বলিদানে ,শিশুর রক্তস্নানে কান্নার অগ্নিগানে
শোণিত প্রতিবাদে
দুর্বার প্রতিরোধে ভেঙ্গে যাবে ঐ অত্যাচারীর মসনদ !
ঘুচে যাবে দুঃখ ক্লেশ মাগো
আর যত অপবাদ ,
কালের বুকে লিখবো আরেকবার দ্রোহের সংঘাত ।।
..........