রোদেলা শীতের সকাল,
বারান্দায় ব্যালকনিতে তুই আর আমি,
একমুঠো রোদ নিয়ে মাখিয়ে দেই গায়ে ।
বুকের উলঙ্গপনায় মন তোর লাজে রাঙা।
আলস্য আনে হাতের তালুতে ।
চোখদুটো জ্বলে ; উত্তাপে পুড়ে বুক।
তোর শরীরটা গরম হয়; আমার বুকটা শীতল।
তপন তাপনে ক্লান্ত দুপুর, গ্রীষ্মের দাবদাহে
যখন ঠাণ্ডাঘরে তুই আর আমি অবসর নিই;
অলসতা জুড়ে যায় দু'নয়নে, মনে । হাতের
চেটোয় তাপ দেই তোর বুকে। মুখোশহীন
ঠোঁটে আলতো ছোঁয়াই ঠোঁট । আলস্য !
হয়তো গরম দুধে পুড়ে যাওয়া শিশুর জিভ
আলগোছে চেটে নেয় স্বাদ ; অবসাদ সব।
আলসেমি খারাপ কিছু হলে এতক্ষণ এই
গল্পটা চলত না। অলসতা ভালো হলে কবে
শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত গরমে শীতে বসন্তে।
সকালের ব্যস্ততা, দুপুরের অলসতা , রাতে বিশ্রাম।
হায় রাম !
বিশ্রাম ? সে ও তো আলসেমি। কাজে বিশ্রাম নেই।
বিশ্রাম তো সবার শেষে; সবার জীবনে আসে।
এখন আলসেমিও কাজের, স্থবিরতাটুকু ভাসে।