রবির কিরণ হেতু কাঞ্চনবর্ণা,
কুলু কুলু বয়ে যায় পাহাড়ী ঝর্ণা,
তীরে তার উপহার কনকচাঁপার দুল,
অসংযত শত সাতরঙা বুনোফুল।
চিত্র বিচিত্র কত মঞ্জরী শাখে,
মন মোর পড়ে রয় বন গোলাপে,
শত শত অযূত সেঁজুতি পুঞ্জে,
মত্ত সমীরে দোলে ভ্রমরা গুঞ্জে
তৃণ মর্মরে ঝরে শ্যামলী পর্ণা,
কাঞ্চনবর্ণা পাহাড়ী ঝর্ণা ঝর না।
নাম না জানা কত ফুলের সুবাসে,
বনভূমি পদ চুমি' কহিল সুভাষে,
কেন তুমি উচাটন আনমন বল না।
পাহাড়ী ঝর্ণা।
গিরি কন্দর বর গোমুখ যথা,
ঝর্ণার দুই তীরে যূথ বনলতা,
করে কারে আলিঙ্গন,প্রমত্ত শৃঙ্গারে
ফিরে যাই ফিরে আসি আমি বারেবারে,
বনফুল দোলে ঝুলে গীতি ঝঙ্কারে।
হেলে ঢোড়া চিতি বোড়া যেখানে সেখানে,
ফোঁস ফোঁস রবে কারে যেন সাবধানে ,
এস না কেহ আর আমাদের অধিকার
ছিনিতে করো নাকো প্রয়াসের ব্যবহার ।
শুনি তার হুঙ্কার চুপিচুপি আড়ালে,
সমুখে বিপদ রহে বনফুল ছড়ালে।
থাক না তারা তাদের আপনার বিচারে,
আমি চলি স্মৃতি লয়ে আপনার দুয়ারে।