চোখ বন্ধ করলে চলে আসে ছেলেবেলা
সহজ সুন্দর মুক্ত শৈশব।
ভোরের আলোতে শিশির ভেজা ঘাসে
খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো,
লজ্জাবতীর পাতা ছুঁয়ে লজ্জা জাগানো।


কখনো ঘাস ফড়িং এর পিছু ছুটতে ছুটতে
নদীর ধারে পৌঁছে যাওয়া।
ছোট চাচা ছিল আমার প্রধান খেলার সাথী,
রোজই নানা দুষ্টুমির নকশা।
যেমন,চল আজ মৌচাক থেকে মধু খাবো।


কাঁচা মাটির উঁচু পথের দু'পাশে নীচু ক্ষেত
ছুটতে যেয়ে মনে হত ছুঁয়ে ফেলব আকাশকে।
মুক্ত হাওয়া কখনো আমার কানে কানে বলত
সামনে আরও সামনে,ছুটে চলো।
পাখির সুরে সুর তুলে হাওয়ার তালে নেচে উঠা


নদীর তীরে এসে ওপারের দিকে চেয়ে চেয়ে
ভাবতাম,ওপারটা কত না সুন্দর!
প্রজাপতি পাখা মেলে মিশে যেত রংধনুর সাথে।
কি অদ্ভুত! আমি চেয়ে থাকতাম।
ঘাটে বাঁধা নৌকাটি নিয়ে একাই বেড়িয়ে যেতাম।


দাড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট খেলাতে কাটত সারাদিন।
স্বাধীনতা মানে হয়ত ওটাই ছিল।
এত সবের মাঝে স্কুলের পড়াটাও ঠিকই হয়ে যেত।
রাতে দ্যা সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান বা নাইট্রাইডার
সিরিয়াল গুলো না দেখলেই নয়।


সন্তানের দুরন্তপণায় মা দের কখনো হয়নি দুঃচিন্তা।
বাবা যায়নি স্কুলে আমাদের খোঁজ নিতে কখনও,
পড়াটা বোঝা ছিল না,ছিল না কোচিং এর রুটিন।
তবু পড়েছি আমরা নিজের মতো করে।
হয়ত বা বকেছে মা খাবার খাইনি বলে,
স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করেছে সকলে পূর্ণ রূপে।