অস্পষ্ট ছায়ার নির্জনতায়
                                  ঘুমিয়ে পড়া মেধাশ্রিত শব্দগুলো জেগে ওঠার পর
অন্তর্মুখী বাগান হতে
                                  নিঃসঙ্গ ফুল কুড়িয়ে নিয়ে
রেখে দেয় অক্ষরের বিছানায়
                                  সুরভি ছড়ায় রক্তের ভেতর,
                                  মগজে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভাবনার অলঙ্করণ,
কলমের আন্দোলনে সমর্থন জানায়
                                 ঋণগ্রস্ত চাপা আঙ্গুল,
কালির ফোঁটায় গরম নিঃশ্বাস,খাতাটা তৈরি করে দিয়েছে উন্মাদ-আগুন,
জ্বলতে থাকে শুদ্ধ শিল্পের পোষাক, অস্তিত্ব নিয়ে দাবি জানাতে আসে
অাঁকাবাঁকা সাপ,
                                 দোলতে দোলতে হারিয়ে ফেলে অনুশীলনের বিষয়বস্তু।
দৃষ্টিতে ধরা পড়ে রমণীর ভেজা শরীর,বয়স ৪০,
                       পরনে পেঁয়াজ-রঙা শাড়ী,
কলাপাতা-রঙা আঁচল
          গায়ের রঙ কিংশুক-বর্ণ,
                                   ওষ্ঠ রসুন-গন্ধী,
চিবুকে বাদামী তিল,
গলায় সাতনরী কণ্ঠহার, কপালে কালো টিপ।
    
                  অতঃপর....
                       নাগধ্বনি তুলে যাত্রা শুরু.....


পৌঁছায় স্নান-ঘাটে,
         সিক্ত জল-রেখায় দাঁড়িয়ে
                                শৈল্পিক মনের অনুভূতিতে শুরু হয় শিরশির কম্পন,
এ যেন রোমাঞ্চকর সমুদ্র-যাত্রা!
                                ঠিক কলম্বাসের মত আত্মা ,
সমুদ্রগামী জাহাজ ভাসতে ভাসতে...
                                                        চলে যায় রমণীর বক্ষ নিঃসৃত
মধুর উপত্যকায়,
                     বাতাস শন শন,
                                                      উড়ে চলে মস্ত বড় ঈগল,
নাভীমূলে আটকা পড়ে সাপ!
                               তাঁকে উদ্ধার করে
স্থানান্তরিত করা হয়
                          নিষিদ্ধ মাংসের দেশে,
কিছুক্ষণ থাকার পর...
                        জঙ্ঘা পার হয়ে
আশ্রয় নেয়
            সিল্কের মত মিহি চুলের উপর,
                               হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে শুকনো মরিচের ঝাঁঝালো গন্ধ!
                        এ কী!  সাপ দৌড়ে পালায়...............