উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।


দৃশ্য একঃ
-----------
বহু অপেক্ষার পর যে চোখ,
           সাধনাময় ফসলের সফলতা দেখে
ফূর্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে নিমেষে;
          সেই আনাড়ি চোখ কখনোই দেখেনা
অন্ধকার ভেদ করে ওঠে আসা
               সুপ্ত বীজের নেপথ্য আন্দোলন।


দৃশ্য দুইঃ
---------


কুখ্যাত হাতের স্পর্শের জরা নিয়ে,
                  নির্জন সন্ধ্যায় বসে থাকা
ফুলের মত এক ভোরের কিশোরী দেখে,
                            যে চোখ পুলকিত হয় বারংবার;
সেই বেহায়া চোখ কখনোই দেখেনা
                       সময় যতই বাড়ছে---------
ততই ভোরের কিশোরী,
                       পূর্ণবতী নারী হয়ে উঠছে!


দৃশ্য তিনঃ
-------------


যে পথ চলে গেছে স্বর্গের দিকে
                  সেই পথে কাল সারারাত দাঁড়িয়ে
যখন জাহান্নামের আগুন নিয়ে খেলছিলাম;
                    ঠিক তখন সর্পরাজের গর্ত হতে ওঠে আসে
                                গর্ভবতী উলঙ্গ নারী।
কি অবিশ্বাস্য!
         এ ছিলো দৃষ্টির ভেতর বিদ্যুতের চমক!
তবে কি এটাই সত্য?
           প্রাণসঞ্চারী কেন্দ্রে বসে থাকা
    অনাগত প্রজন্ম চিরকাল হাবুডুবু খাবে,
                                     নীল বিষের বন্যায়!


দৃশ্য চারঃ
----------


নিষিদ্ধ রাজ্যে-
              উড়ে যাওয়া রাক্ষুসে মাছিগুলো,
জ্বলন্ত অগ্নিপিন্ড মুখে নিয়ে
   ফেলে দিচ্ছে  
           কর্দমাক্ত মাটির ভেতর বন্দি,
                        অসংখ্য আত্মার তলায়।
তারপর পোড়ামাটির উপর ধূসর ছাইয়ের স্তুপ,
জন্ম নিচ্ছে
               আকাশছোঁয়া শত শত
                                  ভয়ানক অগ্নিবৃক্ষ!
তাই চারিদিকে আগুনময় বাতাস!
                            এবার বল্ কোথায় পালাই?