উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা।


(১)
জগৎ-সংসারচক্রে অজ্ঞানকার্য দেখে
         ভারত-বর্ষে ফুটেছে অসংখ্য নয়নতারা;
                             কারো কাছে অশ্রু নেই
সবাই যেন হতে চায় অাগুনের উত্তরসূরি!


                            বাজেয়াপ্ত সময়ে জল ভ্রান্তি
চুপি-চুপি অামি বলি,
                 ওগো সাবিত্রী!
বাসর সাজাবো মহাশূন্যের বিছানায়........


                   এ কী!
কোন্ সর্বনাশে অামি দংশিত হলাম?
         জানি,কিছু নেই...কিছু নেই.....কিছু নেই......


উত্তরে-দক্ষিণে ঐশ্বরিক ছায়ামিশ্রিত রহস্যপর্বত,
                        সামনে হাঁটলেই নীলকান্ত মায়া....


অাহ!কপালের ভাঁজে বয়সফোঁড়া,স্বাগত অন্ধকার!
           অন্ধ করে দে,
                               মাংস পঁচার দিনে...
     নর্দমার কীটেরা একটু খুশি হোক!


কিন্তু এই অামি
                 অাগুনের ভিতর
নিজেকে পুড়িয়ে
                   জন্ম-ভাষা লিখে দিয়ে যাব
                                 তোমাদের মৃত্যু-শিরায়......


সুর্বণ-পৃথিবী জানুক,
       অালোর তপস্যার কাছে
                       মগজের প্রতিভা জানাবে প্রণাম!


(২)
শ্মশানসম্ভূত অঙ্গার নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে শুদ্ধোচ্ছিষ্টাশনী,
সৌভদ্রব্যূহ প্রাপ্তি চায় ত্রিগুণাত্মক!


গৃহসম্মার্জ্জনীধুলিতে মায়ূরাস্ত্র,
বলক্ষয়কর চেতনাযুদ্ধে বিচিত্র-তন্তু-বেষ্টিত রক্তবস্ত্রে
লেগে অাছে পশু-পক্ষীর বিষ্ঠা,
         বিষ্ঠা নয়!এ অব্যবস্থিতচিত্ততা......


স্বতেজে মুক্ত হোক মৃত্যুবন্ধন;
অগ্নি-শিখরে দাঁড়িয়ে অাসুক অন্তরে বিলীন-বোধ।
স্কন্ধজন্মবৃত্তান্ত শুনে শুনে
শোকশূন্য উজ্জ্বলদিপ্তিশালীনী দমগুণাবলম্বী একশয্যাশয়না
খুঁজে পাক মুক্তিকারণ,বুঝুক মৃত্যুঞ্জয়-বিধি!