উৎসর্গঃআমার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।


ঘনভার বেদনার দাপটে
তমসাচ্ছন্ন কবরে শীতল সাপের মত নিস্তেজ হয়ে
       গর্তমুখে লজ্জিত মৃত্যুর চতুর্ভূজ এঁকে,
                        বাইরে বেওয়ারিশ জন্ম ছুঁড়ে দিয়ে
চুপিচুপি ধ্রুপদী জ্বালা ক্রমে-ক্রমে পুঞ্জিভূত করে
ভাসমান মেঘে মেঘে গত দৃষ্টির অহেতুক প্রত্যাশা বিসর্জন দিয়ে
      সে ছুটেছে নির্বিকার অন্তহীন পথে পথে.........


কী চায়?কী চায়?কিছু নেই,কিছু নেই.....
মজ্জাগত শ্বাসবায়ু
                    ধূমায়মান শিখর থেকে শিখরে....


           অামাকে বলে দে,ওরে দুর্নিবার মরত্বের নির্মাতা!
বধির ও পঙ্গু মাটির বুকে তৃণের ব্যথা যদি প্রাণকে কাঁদায়
তাহলে অহংকারী অাগুনের কাছে জলের ভাষা শেখাতে
কোন্ অতীতবিহারী সাঁতার কেটে পেরিয়ে যাবে অায়ুষ্কাল?


ধীরে,অারো ধীরে,শান্ত হও পৃথিবী,
           দুরন্ত চোখে হানো সূচের মতোন
তবু অন্ধ করো না,অন্ধ করো না,
                       চাই শরদিন্দু কারুকাজ।


সুস্থির হও হে বিদ্যুৎ কণা!
      ঋজু হয়ে অাছি অন্ধ গাছের বিকির্ণ শাখায়......
স্বরে-সুরে কত শত ডেকে বলি,ও শুনে না,শুনে না!
ছায়ানীল বৃত্তে ফিরে ফিরে এসে দেখি,
         হৃদয়ের শাসন মানে না মাংস-গন্ধী প্রেম,
অালোর পোকাদের অাত্ম-বলিদানের উৎসবে
    অাকাশপারে তামসিক ভাব নিয়ে
                          হেঁটে যাচ্ছে রাজ্য-প্রধান,
শুক্লা-পঞ্চমী তিথিতে রক্তগঙ্গায় ভাসে জাতকের শেষ চিঠি.....
মাংস-বিদারণ বাক্য শ্রবণে কাঁপে ইন্দ্রিয়-গ্রাম
      সূর্য-সাজুয্য লাভের জন্য
                     অজ্ঞাত-তত্ত্ব নিয়ে পৃথিবীপালন।